আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তরুণীরা, মোবাইল সাবধানে!

“অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে আইন-শৃংখলা পরিস্হিতি অনেক ভালো” এই অমোঘ সত্যটি যে কেন আমরা বাংলার ১৫ কোটি মানুষ বুঝতে পারছিনা এ নিয়ে আমার নিরেট মগজে বহুদিন ধরেই প্রশ্ন ছিলো। অবশেষে আজ এক ঘটনায় ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম। আমার মনে এ ভাবোদয় হলো যে আমাদের সবারই চোখের সমস্যা কিংবা মনোবৈকল্য। এ কারণেই এত নির্মল সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, যেখানে কোন চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, খুন-ধর্ষণ কিছুই নেই, সেখানেও আমরা কেন চোখের সামনে এত অন্যায় হতে দেখছি? নিশ্চয়ই এটা চোখে দেখার ভুল, কিংবা মনের অলীক কল্পনা! যাহোক, যে কারণে এ পোস্টের অবতারণা, সেটায় আসি। যারা উত্তরায় থাকেন তারা জায়গাটা চিনতে পারবেন, সাত নম্বর সেক্টরের ১৯ আর ১৩ রোডের মোড়ে।

বড় মামা কোন এক বাড়ীতে থাকেন। মা তার বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে যাবেন তাই বিকেলে নিয়ে গিয়েছিলাম। পোনে ছ'টার দিকে এক তরুণী রিক্সায় ফোনে গল্প করতে করতে যাচ্ছিলো। জায়গাটা যথেষ্ট নির্জন হলেও ঐ মুহূর্তে দারোয়ান, কেয়ারটেকার, রিক্সাওয়ালা ইত্যাদি মিলিয়ে কিছু লোক ছিলো। হঠাৎ ঐ তরুণীর চিৎকারে সবাই তাকিয়ে দেখলাম জিনস্ আর টি-শার্ট পড়া এক যুবক রিক্সার পেছন থেকে লাফিয়ে নেমে ১৩ নং রোড ধরে দৌড় দিলো।

যাহোক ধাতস্থ হয়ে তরুণী সবাইকে জানালো যে ঐ যুবক তার মোবাইলে হুডের পেছন থেকে থাবা মেরেছিলো কিন্তু নিতে পারেনি। ব্যাপারটা চোখের ভুল বা মনের কল্পনা। হতে পারে কোন নাটকের ড্রেস রিহার্সাল চলছিলো। যাই ধরুণ না কেন, তরুণীরা সাবধানে থাকবেন। আর জোর গলায় চিৎকার দিয়ে বলবেন - “অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে আইন-শৃংখলা পরিস্হিতি অনেক ভালো”।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.