খুব দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত কমিটি দেশের ক্রিকেটের দায়িত্বভার না নিলে বাংলাদেশের ওপর নেমে আসতে পারে আইসিসি নিষেধাজ্ঞার খড়্গ। সদস্যপদ হারাতে পারে বাংলাদেশ! খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কণ্ঠে আজ নির্বাচন আয়োজনের আকুতি ঝরলেও আইনি মারপ্যাঁচে নির্বাচন-প্রক্রিয়াটিই যে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়েছিল ২০১২ সালে। উদ্দেশ্য ছিল, সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা।
কিন্তু সেই সংশোধিত গঠনতন্ত্র জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে অনুমোদিত হয়ে আসতে আসতেই শেষ হয়ে যায় আগের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ। নতুন নির্বাচনের আগে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হলেও এ বছরের শুরুতে সংশোধিত গঠনতন্ত্রের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ নির্বাচনকে করে তুলেছে অনিশ্চিত। সেই থেকে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, ক্রিকেট বোর্ডের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি সভাপতিকেও নির্বাচিত হতে হবে। এর আগে বিসিবির গঠনতন্ত্রে নির্বাচিত সভাপতির কোনো ধারা সন্নিবেশিত ছিল না।
সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিই ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ারে বসতেন। আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত সভাপতির ব্যাপারটি নিশ্চিত করতেই গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে নির্বাচন আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে যাওয়াতেই মূলত সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
বিসিবির সভাপতি নিজেই জানিয়েছেন, হাইকোর্ট যদি সংশোধিত গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে আগের (২০০৮ সালের গঠনতন্ত্র) গঠনতন্ত্র বহাল রাখে, সে ক্ষেত্রে আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী বিসিবি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না, সে ক্ষেত্রে আইসিসিতে বাংলাদেশের সদস্যপদই হুমকির মুখে পড়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘নতুন সংশোধিত গঠনতন্ত্রের ব্যাপারে যত দিন হাইকোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত না দেবেন, তত দিন নির্বাচন আয়োজনেও দেরি হতে থাকবে।
’
পুরো বিষয়টি মারাত্মক সমস্যায় ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। আইসিসি তাদের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর বোর্ডগুলোতে সরকারি প্রভাব ও হস্তক্ষেপ সর্বনিম্ন পর্যায়ে দেখতে চায়। সে কারণেই বোর্ড সভাপতির পদটিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তারা যথেষ্ট শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে।
আইসিসি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বারবারই তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নাজমুল হাসান। কিন্তু হাইকোর্টের স্থগিতাদেশটিই এ ব্যাপারে সমস্যার মধ্যে রেখেছে বিসিবিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।