আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি মাদক ব্যবসায়ীদের মৃত্যুদণ্ড চাই

ইতোপূর্বে আমার একাধিক লেখায় খাদ্যদ্রব্যে ফর্মালিনের মত বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো ও ক্যালসিয়াম কার্বাইড, রাইপেন, ইত্যাদি রাসায়নিকদ্রব্য দিয়ে বিভিন্ন ফল পাকানোর কাজে যারা জড়িত, আমি তাদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছি। এখনো চাই। দেশকে ওদের রাহুগ্রাস থেকে বাঁচাতে হলে ওদের মূলোৎপাটন করার বিকল্প নাই। আর ওদের মূলোৎপাটন করতে হলে তাদের কৃত অপরাধের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। গতকাল “বাংলাদেশ প্রতিদিন”-এ একটা খবর প্রকাশিত হয়েছে।

যারা পড়েননি তাদের জন্য খবরটা নিচে হুবহু তুলে দিচ্ছিঃ ভয়ঙ্কর মুগদা! নিজস্ব প্রতিবেদক “মাত্র ছয় বছরের মধ্যেই রাজধানীর মুগদাপাড়া মহল্লায় মাদক সেবনের কারণে অন্তত ৩৭ জনের অকাল মৃত্যু ঘটেছে। উল্লিখিত সময়ে অস্বাভাবিক দুর্দশা, নিপীড়ন, নির্যাতনের মুখে ২৬ জনেরও বেশি নারী তার 'মাদকসেবী স্বামী'কে স্বেচ্ছায় তালাক দিয়ে চলে গেছেন। মাদক সেবনের কারণে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ভিটেমাটি, সহায়-সম্পদ বিক্রি করে কমপক্ষে ৩০ জন রাস্তার ফকির পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। এখানেই শেষ নয়, সচেতন পরিবার-স্বজনদের সহায়তায় এ এলাকার ৪২ জনেরও বেশি যুবককে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করার ঘটনা ঘটে। এ সব নিরাময় কেন্দ্র থেকে ফিরে বেশিরভাগ আসক্তই আবার মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়েন।

তাদের মধ্যে ১৯ জনকে দ্বিতীয় দফায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কিন্তু খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তারা প্রায় সবাই মানসিক ভারসাম্যহীনতা নিয়ে ফিরে এসেছেন”। মুগদা থানা আয়োজিত মাদকবিরোধী একটি সেমিনারে এ সব উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছেন মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাসুদ করিম। তিনি জানান, এ থানায় যোগদানের পর থেকে একাধিক সাংবাদিকের সহায়তা নিয়ে তিনি বাড়ি বাড়ি পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এ তথ্য উদঘাটন করেছেন। তবে আরও ভালোভাবে অনুসন্ধান চালালে মাদকের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গের সংখ্যা আরও বেশি পাওয়া যাবে।

গতকাল (শনিবার) বিকাল ৩টায় মুগদা থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোল্লা মো. জাহাঙ্গীর। ওসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলররা, মান্ডা ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দসহ সব শ্রেণীর লোকজন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। তারা এলাকাকে সম্পূর্ণভাবে মাদকমুক্ত করতে শপথ করেন সেমিনারে। ঢাকা মহানগরের প্রায় সব পাড়া-মহল্লার অবস্থাই মুগদাপাড়ার চেয়ে খুব একটা ভাল নয়। একটু হাত বাড়ালেই কোন না কোন মাদকদ্রব্য আপনি পেয়ে যাবেন।

দেশকে মাদকের থাবামুক্ত করতে হলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার মত কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার পক্ষপাতহীন প্রয়োগ করতে হবে। ঐ দুই দেশে ধরা পড়লে মাদকের কারবারীদের মৃত্যুদণ্ডের মত কঠিন শাস্তির বিধান আছে। আমাদের দেশেও তেমন কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। দুর্জনেরা বলে, আমাদের দেশে এই ব্যবসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য; আর এই ব্যবসায় যারা জড়িত তাদের বেশিরভাগের তথ্যই থানা-পুলিশের জানা। থানা-পুলিশ যদি মাদকের কারবারীদেরকে প্রশ্রয় দেয়, তবে দেশ থেকে মাদকদ্রব্যের ব্যবসার মূলোৎপাটন কোনভাবেই সম্ভব হবেনা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.