ওই যে, অচেনা সুখ... আর কি আছে লেখার মতো..!
বর্তমান সমাজে রন্ধে রন্ধে বিষাধর সাপের মত জড়িয়ে পড়েছে জীবন বিনাশী নীল নেশা মাদকদ্রব্য। এ এক তীব্র নেশা হাজার হাজার তরুণ, তরুণী এ নেশায় আসক্ত। দাবানলের মত তা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে, শহরতলীতে, গ্রামে, গ্রামান্তরে এবং এমন কি শিাদরজায়ও । এহেন মৃত্যুময় নেশা থেকে এ বাংলাদেশের ভবিষৎ গ্রামী তরুন তরুনীকে বাঁচাবার উপায় যদি অবিলম্বে উদ্ভাবিত ও গৃহীত না হয়। তবে এ শিালয়কে পুনরুযানের স্বপ্ন অচিরেই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
মাদকাসক্তি কি? শাব্দিক অর্থে মাদক বলতে ড্রাগ, হেরোয়িন, প্যাথেডিন, আফিম, হাসিস ইত্যাদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) এর মতে নেশা এমন একটি মানুষিক, কখনো বা শারিরিক অবস্থা যার সৃষ্টি হয়েছে জীবিত প্রাণী ও মাদক ওষুধের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে।
মাদকাসক্ত ছাত্র সংখ্যাঃ বাংলাদেশে গত দুই বছর আগে তৈরী এক জরিপে জানাগেছে, যে সমগ্র বাংল দেশে ১৭ ল লোক মাদকাসক্ত। বিশ্ব চিকিৎসকদের মতে দেশে মাদকাসক্ত লোক সংখ্যা ৫০ লরও বেশী। এবং দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে ৫০ ল লোকের মধ্যে ছাত্র সমাজ অনেকটা জড়িত।
শিকাষালয়ে মাদকাসাক্তর কারন? গবেষনা লব্ধ অভিজ্ঞতায় দেখাগেছে, যে বহুবিধ কারনে শিক্ষালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
যেমনঃ সহজ আনন্দ লাভের বাসনায়, নতুত অভিজ্ঞতা লাভের প্রয়াস, পারিবারিক পরিমন্ডলের মাদকের প্রভাব, কৈশোর ও যৌবনের বেপরোয়া মনভাব, মনস্তাত্ত্বিক বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি কারনে শিক্ষালয়ে মাদকাসক্তি দিন দিন ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া কৌত’হল মেটাতে ও কুসংসর্গে পড়ে যারা একবার বা দু’বার মাদক সেবন করেছে তারা আর মাদকদ্রব্যেয় যাদুস্পর্শ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনা।
এবার প্রশ্ন হলো শিালয়ে মাদক কার মাধ্যমে ছড়ায়ঃ নতুত্বের প্রতি মানুষের চিরন্তন নেশা, নতুন অভিজ্ঞতার দুর্নিবার আর্কষণ ও আপত ভাললাগার প্রেরণার বশবর্তী হয়ে মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের পেতে রাখা ফাঁদে নিরুপায় কিট- পতঙ্গের মত ধরা দেয়। আবার প্রশ্ন উঠে জানা সত্যেও এদেরকে বাঁধা দেওয়া হয়না কেন? কথায় আছে টাকার সামনে কাঠের পুতুলও হাঁ করে। মাদকদ্রব্য ব্যাবসায়িরা আইন ও আইনরা বাহিনীদের এবং যাদের কিছু বলার বা বাঁধা দেয়ার মতা রাখে তাদের কে নিজের হাতের মধ্যে নিয়েনিয়েছে।
এবার আসাজাক মাদক মানব জীবনে কি তি করে? হেরো নের প্রতিক্রিয়া – শরীরে প্রবেশ করারোর সাথে সাথে একটা সুখবর মানসিক অনুভূতি আসে, এরপরেই একটা চিত্তবিনোদনকারী নিলিপ্তভাব আসে যা থাকে ৪ - ১৪ ঘন্টা। যা শেষ না হতেই আবার অবদারিত ভাবে প্রয়োজন হয় পুনরায় হেরোইন। প্রত্যাহারের তীব্রতা এতই অসহ্য যে, শারীরিক মানুসিক যন্তণা উপশমের জন্য হেরইন না পেলে সে আত্নহত্যা করতে উদ্যত হয়।
পরিশেষে বলব বলব, ধ্বংস ডেকে আনা ছাড়াও মাদকাসক্তি প্রচলিত মূল্যবোধ, জীবনশৈলী ও অর্থনীতির প্রভূত তি করছে। তাই সমগ্র বিশ্ববাসীকে মাদক বিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার করার মাধ্যদিয়ে এ তিকর মাদকের হাত থেকে ছাত্র সমাজকে বাঁচাতে হবে।
নতুবা মাদকাসক্তির ফলে ধ্বংস হবে ছাত্র সমাজ, বিনষ্ট হবে আধুনিক সভ্যতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।