মাদক কারও বন্ধু নয় : আসুন মাদক প্রতিরোধ করি
দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্বজনরা পারেন নিজ নিজ এলাকায় মাদক প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে। স্বজনদের স্লোগান ‘আসুন মাদক প্রতিরোধ করি’। বিশ্ববাসীর কামনা- মাদক নয়, চাই জীবনের উৎসব! বিশ্বের মতো দেশজুড়ে বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস সফল হোক। স্বজন হিসেবে আবারও বলি : আসুন মাদক প্রতিরোধ করি
২৬ জুন ‘বিশ্ব মাকদবিরোধী দিবস’। ১৯৮৭ সালে ২৩টি দেশ সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সর্বপ্রথম মাদকবিরোধী আন্দোলন শুরু করে।
বর্তমান বিশ্বে ৩টি জিনিস অঘোষিতভাবে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ ঘটিয়ে রেখেছে- এইডস, মাদক ও সন্ত্রাস। (বাকি দুটির মূলেও আছে মাদক) ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, ‘মাদক হচ্ছে সব পাপের জননী’। সমাজবিজ্ঞানী ঞড়বিষ বলেছেন, উৎরহম ধনঁংব সঁংঃ নব ৎবংরংঃবফ ঃড় সরহরসরুব ঝড়পরধষ রহংঃধনরষরঃু, ুড়ঁঃয ফবঢ়ৎবংংরড়হ ড়ভ ফবলবপঃরড়হ সোভিয়েত বিজ্ঞানী ফিওদর উগলভ বলেছেন, ‘মানব জাতির জন্য যুদ্ধ, ক্ষুধা ও প্লেগের চেয়েও ভয়াবহ হচ্ছে মাদক’। মাদক হচ্ছে এমন সব খাদ্য, পানীয়, ওষুধ বা পদার্থ যা সুস্থ মস্তিষ্কে বিকৃতি ঘটায়, জ্ঞানবৃদ্ধি লোপ করে বা নেশা সৃষ্টি করে। এই মাদক প্রতিরোধের প্রথম পথ হচ্ছে ধূমপান বন্ধ করা।
কারণ ‘ধূমপান হচ্ছে মাদকের জননী’। মাদক প্রতিরোধে যুবসমাজের দিকে (যারা জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ) বেশি নজর দিতে হবে, অসৎসঙ্গ পরিহার করতে হবে, কৌতূহল বন্ধ করতে হবে (মাদক প্রথম কৌতূহলী চুমুকেই সর্বনাশ), অপসংস্কৃতি, কালো টাকার দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে, নৈতিক অবক্ষয় মূল্যবোধের অভাব সমাজ থেকে দূর করতে হবে, সন্ত্রাসী লালন-পালন, ক্যাডার রাজনীতি চিরতরে শেষ করতে হবে, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সুস্থ বিনোদন, খেলাধুলা, দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ, সাহিত্য চর্চা, যুবসমাজকে সামাজিক ও মানবিক কাজে বেশি করে নিয়োজিত রাখতে হবে, সৃষ্টিশীল কাজে উৎসাহিত করতে হবে, পারিবারিক ও সামাজিক সুস্থ জীবনধারার নিশ্চয়তা দিতে হবে। মা-বাবা, ভাই-বোন, অভিভাবকদের পরিবারের যুবক-যুবতীদের ওপর কড়া নজর রাখতে হবে। যুবক-যুবতীরা কার সঙ্গে মেলামেশা করছে তার ‘সঙ্গীদের খোঁজ-খবর নিতে হবে। ‘মাদকাসক্ত মানে চির অন্ধকার জগতের জিন্দা লাশ’- বিষয়টি বোঝাতে পাড়ায় পাড়ায় সামাজিক আন্দোলন করতে হবে।
মিডিয়া, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন মাদকবিরোধী প্রচারে নামতে পারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত মাদকবিরোধী আলোচনাসভাসহ নানা কার্যক্রম হাতে নেয়া যেতে পারে, টিভি নাটক-সিনেমায় মাদকাসক্ত চরিত্র চিত্রণ বন্ধ করতে হবে (এতে হিতে বিপরীত হয়), পাড়ায় পাড়ায় কমিটি করে ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়া যেতে পারে, ‘এই এলাকা মাদকমুক্ত’। যেখানে সেখানে, পার্কে, নিরিবিলি স্থানে ‘মাদক আড্ডা’ তুলে দিতে হবে, মাদক পাচার বেচাকেনা, সরবরাহ, চালান কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। সমাজের উঁচু স্তরে ‘ইয়াবা’, ‘নিচু স্তরে ‘সুইট্টা’, মধ্য স্তরে ‘ডাইল’ বন্ধ করতে হবে (যার যার অবস্থান থেকে)। মাদক প্রতিরোধে পাঠ্যপুস্তকে, মিডিয়ায়, পত্র-পত্রিকায়, সভা-সেমিনারে আরও ব্যাপক প্রচার ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। মাদক ধেয়ে আসছে ভয়াবহ রূপ নিয়ে।
ব্যক্তি জীবনের দুঃখ, হতাশা, রাগ, ক্রোধ, অভিমান বা বিলাসিতা, কৌতূহলের ছলে কখনোই ‘মাদক’কে স্পর্শ করতে নেই। মাদককে ‘না’ বলুন- জীবনকে ‘হ্যাঁ’ বলুন (ঘড় ঃড় উৎঁম, ণবং ঃড় খরভব) দেশজুড়ে স্বজনরা পারেন নিজ নিজ এলাকায় মাদক প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে। স্বজনদের স্লোগান ‘আসুন মাদক প্রতিরোধ করি’। বিশ্বে মাদকবিরোধী দিবসে কামনা ‘মাদক নয়, চাই জীবনের উৎসব!’ বিশ্বের মতো দেশজুড়ে বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস সফল হোক। স্বজন হিসেবে আবারও বলি : ‘আসুন মাদক প্রতিরোধ করি!’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।