যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
মেঘেদের স্নায়ু টানটান
রক্তচাপের রোগীরা হাসপাতালের জানালা দিয়ে দেখে
চলমান বি-সুখ, নুয়ে পড়া মানুষের মুখ
গোঁয়ারের মত ধেয়ে যাওয়া যান্ত্রিক মুহ্যমান।
নয় নাম্বার বাসের গাঁ ঘেষে নেমে যাওয়া
জং ধরা তরুনী
আঁচল দিয়ে ফকিরের লালা সরায়
শাহবাগে লাশ মিছিল, সোহরাওয়ার্দীতে ডানাভাঙ্গা চিল
বেজন্মা বজ্রপাতে মারা গেছে
গুলশানের শ্রমিক
জাপান এম্বেসীর ঠিক গোড়াটায়।
শহরের সকল গোপন পাপের তালিকা নিয়ে বসে আছে কাক
ফোয়ারার পানিতে উবু হওয়া গরীব কোমরের বাঁক
বসে আছে উচ্ছিষ্ট লঙ্গরের অপেক্ষায়,
হাইকোর্ট থেকে ধেয়ে আসা পাজেরো
নতুন সিটে বোতাম খুলে কারো
এসি রুমে বালিকার আব্রুর দাম সাজায়।
শিশুরা বিজ্ঞাপনে দেখে বৃষ্টির ফোঁটা
নতুন ঘাস কিনতে পারা বাবার আদর
বিলবোর্ডে নাঙ্গা গ্রাম, বেলি ফুল,
দোলনচাপার ঘ্রাণ
মায়েদের হাত ধরে টিনটেড গ্লাসের ভেতর।
নোংরা অভিসারের এই শহরে
বৃষ্টি আসে,
ঝরে করুনার মতোন।
না খেতে পাওয়া পান্ডুর চোখের দল,
নেতানো বুকে জমে থাকা মল।
পুরোনো কবিতার রেশ ধরে বেঁচে থাকা অদৃশ্য মাকড়ার জাল
মুখো-বইয়ে লুকানো স্তব্ধ মানুষের পাল।
দেয়ালে দেয়ালে পুরাতন সিনেমার স্মৃতি সাজায়;
বৃষ্টি আসে নেকড়ের মতোন,
পিচের-পথের মাংস তুলে নেয় থাবায় থাবায়
বিলবোর্ড ভেঙ্গে, দ্রিমিকি দ্রিমিকি ঢংএ
উড়াল সেতুর সীমানা চেনায়।
বৃষ্টি আসে, অপ্রস্তুত আক্রমণের মতোন
শিরায় শিরায় গেঁথে যাওয়া শেওলায় বিষ ছড়ায়
ভেজা কামিজ আর নেতানো শার্টের ফাঁক দিয়ে
রক্তে রক্তে বিদ্রোহ দাঁড়ায়।
বৃষ্টি আসে, আর ভেঙ্গে দেয় এইসব প্লাষ্টিক মন
বৃষ্টি আসে, আর শুরু হয় নূহের প্লাবন।
বৃষ্টি আসে; আর খেলনার মত ভেসে যেতে থাকি
এই শহর. আমি কিংবা তুমি
বৃষ্টি আসে; নামে খলখল জল
জাগে নতুন চর, বন্ধ্যা শহরে ক্ষণিকের পূণ্যভূমি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।