লক্ষণ ও উপসর্গ
১. জোরে, শব্দ করে কাশি হওয়া২. শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া৩. শ্বাস নেবার সময় শন শন শব্দ হওয়া৪. গলার স্বর কর্কশ হয়ে ওঠা বা ভেঙ্গে যাওয়া৫. মাঝে মধ্যে ১০৪ ডিগ্রীরও বেশি জ্বর আসা
কী করা উচিত
কী করা উচতি১. আপনার শিশুকে আদ্র বাতাসে নিয়ে গিয়ে শ্বাস নিতে দিন, সেটা করতে এক বল ফুটন্ত পানির উপর নিরাপদ দূরত্বে তাকে ধরে রেখে শ্বাস নেয়াতে পারেন, কিংবা কোন আদ্রতাকারী যন্ত্র বা হিউমিডিফায়ার-এর সামনেও নিয়ে যেতে পারেন, কিংবা তাকে উষä জলে স্নান করাতে পারেন। এতে করে আপনার শিশুর শ্বাস প্রক্রিয়া ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে ওঠার কথা। ২. আপনার শিশুকে ঘরের বাইরে নিয়ে যান অন্তত কয়েক মিনিটের জন্যে। বাইরে যদি ঠাণ্ডা থাকে সেক্ষেত্রে তাকে গরম পরিধেয় পরিয়ে দিন। ৩. ঠাণ্ডা, আদ্র বাতাস, বিশেষত রাতের বেলায় শ্বাস নেয়াকে সহজ করে তোলে।
গাড়ির কাচ খুলে দিয়ে চালালেও শ্বাস নিতে সুবিধা হয়। ৪. আপনার শিশুকে সোজা ভাবে বসিয়ে রাখুন এতে করে তার শ্বাস নিতে সুবিধা হবে। ৫. নিজেকে শান্ত রাখুন এবং একই সাথে আপনার শিশুকেও শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। কান্নাকাটি এই সমস্যাকে আরও গুরুতর করে তোলে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আপনার শিশুটি শ্বাস নেবার সময় বুকে খুব জোরে তীক্ষî শব্দ হয় কিংবা নাক দিয়ে হিস হিস শব্দ হয়।
২. যদি আপনার শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, যদি সে ঠিক মতো কথা বলতে না পারে, কিংবা তার অক্সিজেনের অভাব বোধ হয়। ৩. যদি আপনার শিশুর কোন কিছু গিলতে বা গলাধকরণ করতে সমস্যা হয়।
জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন যদি:
১. আপনার শিশু দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস নিতে থাকে এবং শ্বাস নেবার সময় শব্দ হতে থাকে। ২. যদি আপনার শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রী বা তারও বেশি হয়।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. শিশুর শ্বাস প্রশ্বাসের যেকোন সমস্যা হলেই তার চিকিৎসার দ্রুত ব্যবস্হা গ্রহণ করুন।
২. আপনার শিশুর রোগ যেন সংক্রামিত হতে না পারে সে জন্যে লক্ষ্য রাখুন যেন সে ঠিক মতো তার হাত ধুয়ে ফেলে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।