বিকল্প গনমাধ্যমের চিন্তা থেকেই এখানে একটু লেখালেখি করি আব্দুর রব নাহিদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঃ রবিবার রাতে শ্রমিকদের সমস্যা নিরশনের জন্য রাজশাহীতে সমঝোতা বৈঠক করতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক রাজশাহী শ্রমিক কতৃক বেদম প্রহারের শিকার হয়। এই খবর জানার পর আজ সোমবার সকাল থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্রমিকরা অনিদিষ্টকালের জন্য যানচলাচল বন্ধের ঘোষনা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শ্রমিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে ও রাস্তায় বেরিকেট দেয়। এক পর্যায়ে আহত সাধারণ সম্পাদককে শ্রমিক ভবনে নিয়ে আসলে শ্রমিকরা তাঁর অবস্থা দেখে আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে, তারা রাস্তায় চলাচলরত যানবহন ভাংচুর করে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। দিনভর শ্রমিরা দফায় দফায় লাঠি শোটা নিয়ে শহরের শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ মোড় ,শান্তিমোড়, হরিপুর দারিয়াপুর সহ বিভিন্ন রাস্তায় যানবহন ভাংচুর করেছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকালে রাজশাহীর এক শ্রমিকে চিনে ফেললে বেদম মারধর করে ও পরে তাঁকে অন্য শ্রমিকরা উদ্ধার করে শ্রমিক ভবন অফিসে নিয়ে যায়।
এছাড়াও সকালে প্রথম আলো পত্রিকা বহনকারী গাড়ীর ডাইভারকে মারধর করে এবং অফিসে আটকিয়ে রাখে। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে দুপুরের দিকে শহরের দারিয়াপুর এলাকায় একটি ট্রাক ভাংচুর ও এক শ্রমিককে পিটিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সন্ধায় শহরের শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ মোড়ে রাজশাহীর অপর শ্রমিককে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বেদম মারধর করে। পরে তাকে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে রাতেও শ্রমিকরা টার্মিনাল এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তায় বেরিকেট সৃষ্টি করে রেখেছে। উল্লেখ্য সাকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তাব্যাক্তিরা শ্রমিকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেও ব্যার্থ হন। এক পর্যায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মতিন ঘটনাস্থলে আসলেও শ্রমিকদের শাস্ত করা যায়নি। শ্রমিকরা রাজশাহীর দোষী শ্রমিকদের গ্রেফতার ও এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি করে শ্লোগান দিতে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ থাকবে।
বর্তমানে শ্রমিকনেতা আব্দুল খালেক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সহ গুরুত্বপূর্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতয়েন করা হয়েছে। এই বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে ভারপাপ্ত জেলা প্রশাসক এ কে এম মাসুদুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সমস্যা নিরশনে দুই পক্ষের মাঝে আলোচনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি নওশাদ আলী জানান রাজশাহীর দোষী শ্রমিকদের গ্রেফতারের পরেই আলোচনায় যাবে তারা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।