জাতির নানা - একটি ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার!!!! গত ১৪ বা ১৫ জানুয়ারী তারিখে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের ইংরেজি শিক্ষক তারক চন্দ্র মন্ডলের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে ধর্ষিত হয় দশম শ্রেণীর ছাত্রী (এবারের এসএসসি’র এক পরিক্ষাথী)। মেয়েটি ঘটনাটি প্রথমে স্কুলের ভিপি ম্যাডামকে (তাহমিনা শামসী) ও তার অবিভাবককে জানায়। ভিপি ম্যাডাম ঘটনা শুনার পর তাকে শাসিয়ে বলে এ কথা যেন কোনভাবে প্রকাশ না পায়। ঘটনাটা তার দু’এক জন ঘনিষ্ট বান্ধবীকে জানিয়েছে। যখন ভিপি ম্যাডাম এর কথা তার বান্দবীরা শুনে তখন তাদের কেউ একজন ঘটনাটি ফেইজবুকে দিয়ে দেয় কিন্তু একদিন পর তার ফেবু আইডি উধাও হয়ে যায়।
কিন্তু এর মধ্যেই কিছু ছাত্রী ও শিক্ষক/শিক্ষিকা ব্যাপারটি যেনে যায়। এই শিক্ষকই ক্লাস সেভেন এইটের মেয়েদেরনোংরা SMS পাঠায় বলে জানতে পারি। ধিরে ধিরে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে।
মেয়ের অভিবাবক সম্ভবত পুলিশকে জানায়। পুলিশ সাংবাদিকসহ স্কুলে গেলে প্রিঞ্চিপাল কর্নেল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিকদার পুলিশ ও সাংবাদিককে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি।
প্রিঞ্চিপ্যাল সাহেব ঐ মেয়ের অভিবাবককে কোনভাবে ম্যানেজ করে নেয় হয়তো স্কুলের সুনাম রক্ষারতে অথবা তার চাকরী রক্ষার্তে। এই ঝামেলায় জড়ালে তার চাকুরি ও প্যানশন পাওয়ায় ঝামেলায় পড়বে।
প্রিঞ্চিপাল সাহেব স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই মর্মে ধমকি দেয় যে, কোন অবস্থায় কারো মাদ্ধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ পেলে বা মিডিয়ায় প্রকাশ করলে তার চাকরী যাবে। আমি নিজে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমার সাথে কোথা বলতে অপারগতা জানায়। একজন বলে ঐ মেয়ের স্বভাবও খারাপ ছিলো।
আর একজন বলে, আপনার সাথে কথা বলে নিজের চাকরী হারাতে চাই না।
গত ২৪ তারিখে অভিবাবক দিবসে অধ্যক্ষ অভিবাবকদের তোপের মুখে পড়ে। আবিভাবকরা প্রিঞ্চিপ্যাল কে অকথ্য ভাষায় আক্রমন শুরু করলে উনি করজোর ক্ষমা চেয়ে সবাইকে অনুরোধ করে ব্যাপারটা যেন মিডিয়ায় না যায় এবং তিনি কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিলোঃ ঐ ধর্ষক শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, সিসি ক্যামেরা বসানো, ওয়াসরুমের সামনে আয়া রাখা, পুরুষ শিক্ষকদের রুমের সামনে আয়া রাখা ইত্যাদি। কিছু কিছু অভিবাবক মোবাইলে ঐ মিটিং এর ভিডিও করলে তাদের মোবাইল ফোন কেডে নেওয়া হয়।
পরে মেমোরী কার্ড খুলে ফোন ফেরত দেওয়া হয়।
আজ কতৃপক্ষ নোটিস বোর্ডে এই নোটিসটি এঁটে দেয়ঃ
{১। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সকল ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষককে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ করতিপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও শিক্ষকসুলভ আচরনের পরিপন্থি কাজ করাতে তারকচন্দ্র মন্ডল, সহকারী শিক্ষককে তার চাকুরী থেকে Dismiss করা হয়েছে।
২। সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য বিষয়টি জানানো হোল।
সাক্ষর
কর্নেল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিকদার}
এই সেই ধর্ষক তারক চন্দ্র মন্ডল
দৃষ্টি আকর্ষণঃ সেনা প্রধান, ক্যান্ট বোর্ড ও সকল সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাংবাদিক ভাইরা একটু অনুসন্ধান করে রিপোর্ট করুন।
বিঃদ্রঃ প্লিজ পোস্টে কে গালাগালি করবেন না। যদি পারেন পোস্টটি যত তারাতারি শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে এই কুলাঙ্গারের বিচারের সম্মুখীন করেন। অনলাইন এক্টিভিস্টরাই পরিমলকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে।
আপনারাই পারবেন এই কুলাঙ্গার তারক চন্দ্র মন্ডলকে আইনের হাতে তুলে দিতে।
আমি অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। নতুন তথ্য পেলে পোস্টে আপগ্রেড দিব। এই স্কুলেরই ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীর সাথেও একটি জঘন্য ঘটনা শুনেছি (সঠিক তথ্য পেলে পোষ্ট দিব)। আর কারো কাছে কোন তথ্য থাকলে এখানে জানান।
আমি পোষ্টে এড করে দিব।
আপডেটঃ ২৭জানু ৮:১০>
আমার অনুরোধে আজ সারাদিন আমার এক আত্মীয়া স্কুলের সামনে ছিলো। তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম অবিভাবকরা কে কি বলে তা শুনার জন্য। আলোচনারত আবিভাবকদের কিছু কিছু কথা আমি মোবাইলেই শুনি। এই পোষ্ট দিয়ে আমি এখন নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে।
কয়েকজন অবিভাবকের মুখে শুনি স্কুল কতৃপক্ষ নাকি ঐ মেয়েকে আগামী ৩ তারিখের পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দিবে না এবং টিসি দিয়ে বিদায় করবে। গতরাতে এই পোস্ট প্রকাশের পর ফেইস বুক ও অন্যান্য ব্লগে কয়েক হাজার শেয়ার হয় যা স্কুল কতৃপক্ষের নজরেও যায়। স্কুল কতৃপক্ষের ধারনা ঐ মেয়ে বা তার পরিবার এই ঘটনা নেটে প্রকাশ করেছে। মেয়েটির পরিবারকে নাকি স্কুল কতৃপক্ষ হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমার এই পোস্টের কারনে যদি মেয়েটি পরিক্ষা দিতে না পারে আমি নিজেকে সারা জীবন অভিশাপ দিব।
জীবনেও আর ব্লগে আসবো না। এটাই আমার ব্লগের শেষ পোষ্ট। তবে আগামী ৩ তারিখ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণে রাখবো আমার উপর যত বিপদই আসুক।
আজ যে তত্থগুলো সংগ্রহ করলাম
ধর্ষক তরক চন্দ্রর ঠিকানাঃ
কচুখেত হাইটেক হাসপাতালের পাশে পকেট গেটের সাথে ৪তলা বিল্ডিং এ বাস করে। (ঐ বিল্ডিঙের নিচে মাংসের দোকান আছে)
ধর্ষক তরক চন্দ্ররের মোবাইলঃ ০১৭১২-২৪৯৯০৪ (যদি সে পালিয়ে যায় তাহলে এই নাম্বারটি ট্রেস করে পুলিশ ও তদন্তকারীরা অগ্রসর হতে পারবে)
শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের ফোন ও মেইলঃ
ফোনঃ ৮৭৫২৬০৬ (সিভিল) এবং ৭৪৭৪(আর্মি)
মেইলঃ
আপডেট ২৮জানু ২:০০
১।
এই মাত্র খবর পেলাম ধর্ষক তারকচন্দ্র মন্ডল তার ঐ বাসায় নেই। সে ইন্ডিয়া চলে যাওয়ার চেষ্টায় আছে। এই মুহূর্তে পদক্ষেপ না নিলে সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
২। এই ব্যাপারে আমি সেনা প্রধান, সররাস্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশ, ডিবি, র্যাব, শিক্ষা বোর্ড ও সকল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
৩। সকালে কিছু সাংবাদিক অধ্যক্ষ এর সাথে দেখা করার চেস্টা চালায়। আমি থাকা অবস্থায় পর্যন্ত কোন সাংবাদিক ভিতরে ঢুকতে পারেনি।
৪। এই স্কুলেরই (ইংলিশ ভার্সন) ক্লাস ফোরের বাচ্চাটির ব্যাপারে আমি সঠিক তথ্য পেলে আপডেট দিব।
শুধু এটুকু নিশ্চিত হয়েছি মেয়েটি উচ্চপদস্ত সামরিক কর্মকর্তার মেয়ে এবং সে বর্তমানে সি-এম-এইছ এ চিকিৎসারত আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার ব্যাপারে কোঠর গোপনীয়তা বজায় রাখছে কতৃপক্ষ।
৪। আজকের সংবাদপত্রের লিঙ্কঃ
(১) কালের কন্ঠঃ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক চাকরিচ্যুত
(২) আমার দেশঃ শহীদ আনোয়ারে ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে তারকচন্দ্র বরখাস্ত
যে যেভাবে পারেন এই ধর্ষকের ছবি ও খবরটি ছড়িয়ে দিন, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
ব্লগার ভাই/বোনেরা, আপ্নারা যে যার অবস্থান থেকে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। তা না হলে কাল আমার বা আপনার মেয়ে বা বোন এই খবরটির শিরোনাম হবে।
আপডেট ২৮জানুয়ারি ১১:২০ পি এম
(৩) বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ঃ ছাত্রীধর্ষক তারক মন্ডল সপরিবারে পালিয়েছে
*******************************************************
আপডেট ৩০জানু ১১। ০০
এই সেই প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল শাহাদাৎ হোসেন শিকদার যে কিনা কালের কন্ঠ পত্রিকায় বলেছে, "ঘটনা সত্য নয়, মেয়েটার গালে ধরে একটু আদর করেছেন। বিস্তারিত নিচের কালের কন্ঠের লিঙ্কে
(৪) কালের কন্ঠঃ অভিভাবক, ছাত্রী সবাই আছেন আতঙ্কে
০১।
এই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন ঐ মেয়ের অভিবাবক কেন মামলা করছেন না? বা সাধারন অভিবাবকরাই বা কেন প্রতিবাদ করছেন না?ঃ
সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, এই স্কুলের ৯৫% স্টুডেন্ট সেনা বাহিনির কর্মকর্তা কর্মচারীদের সন্তান। সেনা বাহিনীর কোন সদস্য কোন প্রতিবাদ সমবেশ, মানব বন্ধন বা মিছিলে যেতে পারেন না তাদের চাকুরির বাধ্যবাদকতার কারনে। এমন কি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে হলেও তাদের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে করতে হয়। সবাই আশা করি বিষয়টি উপলব্দধি করতে পারছেন। বাকি ৫% সিভিল অবিভাবক ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
কাল বাংলাভিশন টিভিতে যারা এক্সক্লুসিভ রিপোর্টটি দেখেছেন তারা ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন। আমি রিপোর্টটি দেখিনি। কারো কাছে রিপোর্টটির ভিডিও থাকলে কমেন্টে আপলোড করে দিন।
০২। প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল শাহাদাৎ হোসেন শিকদার কেন ধর্ষক তরক চন্দ্র মণ্ডলকে রেহাই দিলেন???ঃ
ক) ইতিমদ্ধে চাওর হয়েছে যে ধর্ষক তরক চন্দ্র মণ্ডল মন্ত্রি সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের তদবিরেই এই স্কুলে চাকুরি পেয়েছেন
খ) আরো জনশ্রুত হয়েছে যে ধর্ষক তরক চন্দ্র চন্দ্র মন্ডল বিপুল অঙ্কের (২০ লক্ষ) বিনিময়ে অধ্যক্ষের সাথে রফাদফা করে পালিয়ে যাওয়ার সুজুগ
পেয়েছিল।
ধর্ষকের বা তার স্ত্রির বা নিকটজনের ব্যাঙ্ক একাউন্ট নিরিক্ষা করলে ব্যাপারটার সত্যতা মিলবে।
===================================================
দৃষ্টি আকর্ষণঃ
০১। সাংবাদিক ভাইয়েরা একটু নজর রাখবেন যেন ভিক্টিম আগামি ৩ফেব্রুয়ারি তারিখে এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারে।
০২। সকল ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্টদের অনুরোধ স্কুলের মেইলে ও ফন নাম্বারে ফোন করে কতৃপক্ষকে চাপ সৃষ্টির মাধমে মেয়েটিকে জেন পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যাপারে উদ্দ্বোগ নেয়।
০৩। মানধিকার কর্মীরা এগিয়ে আসুন। মেয়েটার পরীক্ষা দেওয়া নিশ্চিত করুন।
শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের ফোন ও মেইলঃ
ফোনঃ ৮৭৫২৬০৬ (সিভিল) এবং ৭৪৭৪(আর্মি)
মেইলঃ
ধর্ষকের এবং একে সহযোগিতাকারিদের বিচারের ভার আমি মহিলা প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া শেখ হাসিনার উপর ছেড়ে দিলাম। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, শুধু একটু ভেবে দেখুন মেয়েটি অন্য কেউ নয়, আপনার মেয়ে পুতুল।
(কেউ নাম না প্রকাশ করে কোন তথ্য দিতে চাইলে আমার ফেইজবুকের ইনবক্সে দিতে পারেনঃ জাতির নানা
আপডেটঃ ২ফেব্রুয়ারি'২০১৩
এই পোস্টে অনেকেই ধর্ম নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে উস্কানিমূলক কমেন্ট করেছেন। কিছু কমেন্ট আমি ডিলিট করেছি, কিছু করেছেন মডারেটররা। আমি এখানে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে পোষ্ট দিয়েছি। ধর্ষক যেমন ইসলাম ধর্মঅবলম্বীতে আছে তেমনি আছে হিন্দু বা খৃস্টান ধর্মঅবলম্বীদের মধ্যে। ইসলাম ধর্মঅবলম্বিরা কি কোন হিন্দু বা খৃস্টান মেয়েকে ধর্ষণ করেনি? ধর্ষককে ধর্ম দিয়ে আলাদা করবেন না, ধর্ষক ধর্ষকই......... সে যে ধর্মেরই হোক সে একটা পশু সমতুল্য।
সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, পোস্টে উল্লেখিত মেয়েটিও হিন্দু ধর্মঅবলম্বী। ধর্ষকের বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার হোন, ধর্মের উচিলায় বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।
আপডেটঃ ৪ ফেব্রুয়ারি
ভিক্টিম মেয়েটি SSC পরিক্ষা দিচ্ছে। আমি চেক, ক্রস চেক করে নিশ্চিত হয়েছি। আর এই স্কুলের দুটি ঘটনাই AHQ (Army Head Quarter) এর নজরে এসেছে।
স্বয়ং AHQ এই ব্যাপারটি তদন্ত করছে। আশা করি ভিক্টিমরা সুবিচার পাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।