মানবতার মৃত্যু হয়েছিল ওই কয়েক দিনে । আমার মান সম্মান ওই হায়ান জানোয়ারদের পায়ের নিচে পিশে গিয়েছিল ওই দিনগুলায় । মানব ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক অধ্যায় এর স্বীকারোক্তি দিলেন খোদ ওই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর এক মৃত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা ।
তাঁর লেখা এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি: ইস্ট পাকিস্তান, ১৯৬৯-১৯৭১ শীর্ষক বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাসদস্যদের বাঙালি নারীদের ওপর লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি। শুধু তাই নয়, হয়ে নতুন জাতিগোষ্ঠী সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত বাঙালি নারীদের ওপর সেনাদের নির্যাতন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
ইয়া আল্লাহ কি জালিম ।
শুধু এই নয় মেজর খাদিম আরও লিখেছেন, জেনারেল টিক্কা খান আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকায় জনসমক্ষে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলেন।
ঘটনার যেই ভয়াবহতা সেটা অনুমান করে তিনি তাঁর মৃত্যুর পর তা বই আকারে প্রকাশ করতে বলেছিলেন। ৭ জুলাই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস বইটি প্রকাশ করে । পাকিস্তানের দৈনিক দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ৮ জুলাই ওই বই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আল্লাহ ওই সব হায়ানদের তুমি জাহান্নামে নিক্ষেপ কর । আমিন ।
আসুন একটু দৃষ্টি দেই কেন তারা চাইত নারিদেরকে এভাবে কলঙ্কিত করতে । কারন ছিল দেশকে দ্বিখণ্ডিত করা যা আজকে হয়ে আছে একদিকে বাংলার স্বাধীনতাকামীরা আর অন্য দিকে এর বিরুদ্ধাচরণকারিরা ।
তারা চেয়েছিল তাদের বীজ থাকুক এই দেশে এবং হ্যা তাতে তারা কামিয়াব হয়েছে ।
আজ এখনো সেই সব লকজন এই দেশে রয়ে গেছে যাদের সত্তা এবং রক্ত পাকিস্তানি যাদেরকে আমরা সড়াতে পারিনি এখনো । এবং এই ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে হয়ত আগামিতে একটা সময় আসবে যে এই দেশে বাংলার মানুষ আর পাওয়া যাবে না যা থাকবে সব হবে পাকিস্তানি দালাল । সেই দর্শনেই প্রত্যেক বাঙালি নারীর গর্ভে পাকিস্তানী সন্তান দেখতে চেয়েছিলেন নিয়াজি যাতে আগামি দিনে আবার পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।