আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথমআলোর ষড়যন্ত্র

লেখক এনামুল হকের "আমরা ও ওরা" বই থেকে কিছু লেখা তুলে ধরছি "ইন্দোনেশিয়ায় ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার Bowling club/centre/alley বা Billiard room/club/centre বা health club/spa ইত্যাদি একদিকে যেমন semi-professional whore joint বা আধা-পেশাদার আধা সৌখিন বেশ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সেদেশের দিশেহারা তারুণ্যের গোল্লায় যাওয়ার পথ প্রশিস্ত করছে, ...। এই উপসর্গগুলি অতি সম্প্রতিককালে সন্তর্পনে আমাদের দেশের উর্বর ক্ষেত্রে কেবল শিকড় ছড়াতে শরু করেছে, এরকম innocent বা আপাতঃ নির্দোষ একটা অবয়বের আড়ালে। ইন্দোনেশিয়ায়ও বোধকরি এভাবেই এসবের প্রচলন হয়েছিল। উধাহরন স্বরুপ কারো মনে হতেই পারে যে, ঢাকা শহরে যেহেতু খেলার মাঠের ওভাব রয়েছে তাই কোথাও Billiard খেয়াল্র ব্যবস্থা থাকলে মন্দ কি?... প্রথমে খেলার পাশাপাশি snacks/sof drinks এর ব্যবস্থা থাকবে- ধারাবাহিকভাবে একপর্যায়ে তা পরিনত হবে কিশোর/কিশোরী বা তরুন/তরিনীর মিলিত হবার থিকানায়- তারপর সময় বুঝে এসব জায়গায় introduce করা হবে 'বিয়ার' জাতীয় পানীও...পরবর্তীতে মাদকাশক্তির মতই 'গরীবের ঘোড়ারোগ'- এ পরিনত হবে এবং মহামারীর আকার ধারন করে সমাজের সকল শ্রেনীর তারুণ্যের একটা বিরাত অংশকে জাতির জন্য বোঝা এক অথর্ব ও অক্ষম জনসমস্টির রুপান্তর করবে। " লেখক কিন্তু ভুল বলেন নি।

আমি আমার কলেজ জীবনে দেখেছি, অনেক মেধাবী ছাত্র আমাদের সাথে গোলডেন এ+ পেয়ে আমাদের সাথে ভর্তি হত। কিন্তু কলেজের পাশেই বিলিয়ার্ড ক্লাব গুলো হাতছানি দিয়ে তাদের ডাকত। চোখের সামনে কত মেধাবী ছেলে মেকে বিলিয়ার্ড ক্লাব আর কনসার্ট এর এর জন্য কলেজ ফাকি দিয়ে ধিরে ধিরে ঝরে পরতে দেখেছি! কলেজ জীবনে ছাত্র/ছাত্রিরা জীবনের একটা নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে। মন কিছুটা উড়ু উড়ু তো করেই। আর তাই স্বাধীনতার মাঝখান দিয়ে shortcut ভোগবাদের একটু মেজে পেয়ে গেলে পড়াশুনা আর কে করে? প্রথমালোর নজর আবার আমাদের মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের দিকে।

তাদের কে যদি জাতির জন্য বোঝা বানাতে পারে আর কি লাগে তাইলে? আর তাই প্রতি বৎসর এস.এস.সি তে জিপিএ ৫ পাওয়া মেধাবী ছাত্র/ছাত্রিদের নিয়ে করা হয় গান বাজনার বিশাল আয়োজন, জাতে একটা চড়ম পড়ুয়া ছাত্র ও কলেজে উঠার আগেই কনসার্ট নামক এক বিশেষ উন্মাদনার ধারনা পায়। Click This Link আগে কনসার্টের জন্য private পড়ার নাম করে রাত করে বাড়ি ফিরত ঘরের কোনরকমে পাশ করা ছেলেটা। আর এখন পড়ার নাম করে কনসার্টে গাজা সিগারেট খেয়ে বাড়ি ফিরবে ঘরের মেধাবী ছাত্রটা। বিস্বাষ করুন, Click This Link এই যে দেখছেন মাদক বিরোধী কনসার্ট, কনসার্টে গিয়ে কোন ছেলে সিগারেট খায় না, এমনটা আমি খুব কম দেখেছি। অনেকে বলে থাকে, এই সব কনা, মনা কে মাদক বিরোধী কনসার্টে ডাকার আগে এদের ব্লাড টেস্ট করে শিউর হয়ে যাওয়া দরকার,গায়ক/গায়িকা নিজে মাদকাশক্তনাত আবার! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.