টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
সিঙ্গাপুরে সাবমেরিন কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় শিগগিরই ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসসিসিএলের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, জুলাই মাসের ২০ তারিখের আগ পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হবে না। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
তবে কারিগরি ঝামেলা থাকায় ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতির জন্য আরও অপেক্ষা করতে হতে পারে।
ইন্টারনেট কবেনাগাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। প্রথম আলোয় ফোন করে অনেকে বিষয়টি জানতে চান।
এর আগে ৬ জুন বুধবার দুপুর থেকে সমুদ্রের তলদেশে থাকা ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্কের তার কাটা পড়ায় দেশের ইন্টারনেট সংযোগের গতি ধীর হয়। ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ মাত্র একটি সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্কে (সি-মি-উই-৪) যুক্ত থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর থেকে চেন্নাইয়ের দিকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের তলদেশে (সাবমেরিন) ফাইবার অপটিক তার কাটা পড়ে। এর পর থেকে বাংলাদেশ থেকে শুধু পশ্চিম দিক (ইউরোপ প্রান্ত) দিয়ে তথ্য (ডেটা) আদান-প্রদান চলছে। ’
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারনেটের জন্য বেশির ভাগ সার্ভারের সঙ্গে সিঙ্গাপুর প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ। সে কারণে ইন্টারনেট যোগাযোগ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চলছে।
কিন্তু বেশ কিছু কারণে স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। ’
এই ছিল প্রমআলোর নিউজ
আর এই ছিল প্রকৃত কাহিনী
[ আপনার মন্তব্য বিবেচনার জন্য অপেক্ষমান এবং সকলের নিকট প্রদর্শিত নয় ]
ওরা আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যবল কম্পানীর সিমিউই-৪ এর কক্সবাজার সংযোগে ১৬৪ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আছে এবং যার ৭ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ২২ জিবিপিএস আমরা সারাদেশ ব্যবহার করছি। তথ্যটি বিএসসিসিএল ডটকম ডটবিডি সাইটে ভেরিফাই করতে পারেন। ওখানে সরকারের তিন বছরের এ্যাচিভম্যান্ট বাটনে প্রেসরিলিজে আছে।
ইউটিউবে Bangladesh upgraded 164 Gbps BW সার্চ দিয়ে দেখুন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলছে গত অক্টবরে বাংলাদেশ ১৬৪.৪ জিবিপিএস এ আপগ্রেড করেছে (যা ডিসেম্বর ২০০৯ এ হওয়ার কথা ছিল)
দেশটি সব সময়ই জনগণের টাকায় কেনা ব্যান্ডউইথের বিপুল পরিমান সব সময় অব্যবহৃত রেখে দেশের অপরিমেয় ক্ষতি করছে। ব্যান্ডউইথ সংরক্ষন করার বস্তু না, গ্রামীনের পি২ প্যাকেজ নিয়ে আপনি ব্যবহার না করলেও যেমন মাস শেষে থাকবে না, তেমনি ১৬৪ জিবিপিএস এর ২২ জিবিপিএস ব্যবহার করলেও বাকিটুকু আমরা সঞ্চয় করতে পারি না। এখন এই মুহুর্তে সিঙ্গাপুরে ফল্টের পরও যদি বাকি ৬ গুন ব্যান্ডউইথ নেটে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে আপনার বর্তমান গতি ৬ গুন বেড়ে যাবে, সিম্পল হিসাব। বিশ্বে কোথাও ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত রাখার ইডিয়ট নীতি কখনও করা হয় না, কোন প্রয়োজনই নেই।
অথচ দেখুন বাংলাদেশের একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবল যার জন্ম থেকেই বেশির ভাগ ব্যান্ডউইথ আমরা অব্যবহৃত রাখছি।
আছ সরকার বলছে দেশে সাড়ে ৪ কোটি নেট ইউজার (অর্থাৎ দেশে প্রতি ৩ জনের একজন ইন্টারনেট তথা ফেইসবুক ব্যবহার করে) আবার তারা ব্যবহার করছে মাত্র ২২ জিবিপিএস, অব্যবহৃত ১৪২ জিবিপিএস। ভারতে ১০ টি সাবমেরিন ক্যবল আছে। দক্ষিন কোরিয়ায় ৫ কোটি ইউজার দেশটির ১১টি সাবমেরিন ক্যাবলের ২৫০০০ (পচিশ হাজার)জিবিপিএস ব্যন্ডউথ ব্যবহার করছে।
সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য সহ তথ্যপ্রযুক্তির সকল ক্ষেত্রে আপনাদের মিথ্যা বলছে, ও প্রতারনা করে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড স্ট্যাট নামক সাইটে দেখা যায় গত মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৫ লাখ।
আরও কয়েকটি সাইটে একই রকম ডাটা অর্থাৎ বাংলাদেশে ফেইসবুক ব্যবহারকারী মাত্র ১.৬% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ ২%, এটা হিসেব করে দেখানো যাবে। সরকারের মনে রাখা উচিত ইন্টারনেট মিথ্যা বলার জায়গা না।
যদি মনে করে থাকেন সরকার বাকি ব্যন্ডউইথ আসলেই অব্যবহৃত রাখছে তাহলেও বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বিএসসিসিএল, বিটিসিল অবশিষ্ট ১৪২ জিগাবিট ব্যান্ডউইথ অবৈধ্য ভিওআইপি কলে গোপনে ডাইভার্ট করে প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক কল করছে। যার প্রতিনিটে ৩ সেন্ট দুর্নীতি হচ্ছে প্রতিদিন।
আপনার ইন্টারনেট বিষয়ে একটু সচেতন হউন তা না হলে দেশের অপরিমেয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
এখানে দেয়া প্রতিটি তথ্য সত্য ও ভিরিফাইড এবং হিসেব করে প্রমান করা যাবে।
আমি শিওর প্রথমআলো এই কমেন্ট প্রকাশ করবে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।