ভারত আজ অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এতে দোষের কিছু নেই। নিজ জনগণকে বঞ্চিত রেখে হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করলেও আমাদের আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু আজ খবরে দেখলাম উরিষ্যা উপকূল থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র বঙ্গোপসাগরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
ভারতের সেনাবাহিনী আজ (শুক্রবার) পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ৭০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-১ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
উড়িষ্যার একটি দ্বীপে অবস্থিত ভ্রাম্যমান উতক্ষেপণযন্ত্র থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৬ মিনিটে এটি নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সুনিপুণভাবে আঘাত হেনেছে বলে ভারতের ইংরেজি দৈনিক দি হিন্দুর অনলাইন সংস্করণের খবরে দাবি করা হয়েছে।
ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও অগ্নি-১ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। ভারতের সেনাবাহিনী এরইমধ্যে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। ভারতের কাছে অগ্নি সিরিজের পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে এবং এর আগেও অগ্নি-১-এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
গত এপ্রিলে ভারত ৫,০০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-৫-এর পরীক্ষা চালায়।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা ভি.কে সরশ্বত বলেছেন, অগ্নি-১ ক্ষেপণাস্ত্রের উতপাদন ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করছে এবং সেনাবাহিনী আজ এটি উতক্ষেপণে চমতকার পারদর্শিতা দেখিয়েছে।
ধাক্কা খেলাম এই কারণে যে বঙ্গোপসাগরের একটি অংশের ওপর কি তাহলে ভারতেরও মালিকানা আছে? যদি থেকে থাকে, তবে তার সীমানা কি নির্ধারিত? যদি নির্ধারিত হয়ে থাকে তবে উরিষ্যা উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার পর তা কি ভারতের অংশে আঘাত হেনেছে নাকি বাংলাদেশের পানিসীমায় পড়েছে? যদি বাংলাদেশে পড়ে থাকে তাহলে তাতে কি বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন ছিল? যদি বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন থেকে থাকে, তবে সরকার কি এ ব্যাপারে জনগণের অনুমতি নিয়েছে?
কে দেবে এই হতভাগ্যের প্রশ্নের উত্তর?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।