পারলৌকিক হ্যাঙ্গারে হ্যাঙ্গ হয়ে আছে ইহকাল / পুনরায় জন্ম নেয়া এখন বিশেষ প্রয়োজন সাইবার যুদ্ধের নামে বাংলাদেশের একদল নব্যকম্পিউটার প্রোগ্রামার যা শুরু করেছিল এর বিপক্ষে কথা বলতে গিয়ে ভার্চুয়ালি লাঞ্ছিত হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু একটা ব্যাপার বোঝা দরকার যে ইট মেরে পাটকেল খাওয়া ছাড়া উন্নততর কোন পদ্ধতির কথা কি আমরা ভাবতে পারতাম না? সীমান্তের হত্যাকান্ডের বিপক্ষে সাইট হ্যাকিং খানিকটা কামানের বিপক্ষে গুলতির মতো দেখা যায়। আমার দেশের প্রতিভাবান প্রোগ্রামার বা হ্যাকার যা-ই বলি, তাদের একটা ব্যাপার বোঝা দরকার যে, আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি শ্রমিক রপ্তানি করে। কত টাকা আসে আমাদের? কি শ্রমিক রপ্তানি করি আমরা? কিছু নির্মান শ্রমিক, কিছু ওয়েল্ডিং শ্রমিক, কিছু পাচক/বাবুর্চি, মেইড সার্ভেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। ভারত রপ্তানি করে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার, হ্যাকার, কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
কি করে কি না? আমার জানায় গলদ থাকতে পারে। কিন্তু ভারত যে কম্পিউটিং-এ আমাদের থেকে খানিকটা এগিয়ে আছে এটি নিশ্চই কেউ অস্বীকার করবেন না। তো তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংঘাত এড়িয়ে যাওয়াই আমাদের উচিত ছিল বলে মনে করছি। কারণ এই মুহুর্তে আমাদের ওয়েবসাইটগুলোর খুব একটা উন্নয়ন ঘটেনি কিন্তু একটা সময় ঘটবে। ভারত যদি তখন প্রতিশোধ নেয় তখন আমরা তা প্রতিহত করবার জন্য যতটা এগিয়ে যাব ততদিনে ভারতও পিছিয়ে থাকবে না।
সীমান্তের হ্ত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের মতো কর্মসূচী সফলভাবে সম্পাদন করতে পারলেই ভারতের পেটের ভাত চাল করে দেয়া সম্ভব বলে মনে করি। কিন্তু আমরা তা পারি না। ভারতীয় চ্যানেল বিনে আমাদের রাত কাটেনা। ভারত শুধু আমাদের সীমান্ত নয় হত্যা করছে আমাদের ভেতরটাও। মানহীণ পণ্যে ছয়লাব হয়ে গেছে আমাদের বাজার।
আর আমাদের মানসম্পন্ন পণ্যগুলো ওরা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কৃষকের চালের দাম নেই আমরা ভারতের চাল খাচ্ছি বেশি দামে।
তরুণ প্রজন্মের একিত্রত হওয়ার সময় এসেছে। বাস্তবতা বোঝবার আর প্রতিরোধের পথ খুঁজে বের করাবার জন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার। ঢিল ছুঁড়ে লাঠির বাড়ি খাওয়ার কোন মানে হয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।