আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার আশপাশে উপশহর গড়তে চায় ভারতের সাহারা গ্রুপ । দেশের মাটি এখন ভারতের!!!!!

আমি মানুষ রাজধানী ঢাকার অদূরে উপশহর গড়তে বিনিয়োগ করবে ভারতের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক গ্রুপ সাহারা। এ লক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে গ্রুপটি। তবে কী পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবে সে ব্যাপারে স্মারকে কিছুই বলা হয়নি। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের পক্ষে এতে সই করেন চেয়ারম্যান সুব্রত রায় সাহারা।

বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) সৈয়দ মাতলুবুর রহমান। স্মারকে বলা হয়েছে, ঢাকার আশপাশে যে উপশহর গড়ে তুলবে তা নতুন ঢাকা নামে পরিচিত হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের সামর্থ্যের কথা ভেবে এ উপশহর করা হবে। সরকার ইচ্ছে করলে এসব প্রকল্প তাদের সঙ্গে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। তাদের বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশে সাহারা গ্রুপের একটি কোম্পানি খোলা হবে।

ওই কোম্পানি মন্ত্রণালয়কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে। এরপর এটির খসড়া চুক্তি হবে। তবে কোনো চুক্তি না হলে এই এমওইউ ৩৬ মাস কার্যকর থাকবে। সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জনগণের চাপে রাজধানী ঢাকা ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে এ চাপ কমাতে সরকার ঢাকার আশপাশে উপশহর গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

এতে ভারতের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। শুধু উপশহর নয়, তারা পুরো আবাসন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুধু ভারতের এ শিল্প প্রতিষ্ঠানই নয়, কেউ আবাসন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করলে সেটি যদি দেশের জন্য টেকসই হয় আমরা তা গ্রহণ করব।

সাহারা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের প্রতি তার টান রয়েছে। তিনি মনে করেন তার নিজের দেশেই তিনি বিনিয়োগ করছেন। কারণ তার পূর্ব-পুরুষরা এ দেশে বাস করতেন। ছেলেবেলায় তিনি তার মায়ের কাছ থেকে বিক্রমপুরের কথা শুনেছেন। তিনি বলেন, যেন তার নিজের দেশে এসেছেন।

এ দেশের উন্নয়নে তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, পত্রিকায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন বলা কঠিন আসলে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা হবে। তবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা খাতে বিশেষ করে আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ খাতে তিনি বিনিয়োগে আগ্রহী। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশপাশে উপশহর করতে ৮০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে সাহারা গ্রুপ।

এ স্যাটেলাইট শহরের মধ্যে প্রশস্ত রাস্তা, ভূমিকম্প নিরোধক ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া থাকবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ইত্যাদি। যানজটের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আকাশপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা হবে এসব স্যাটেলাইট শহরে। এ ছাড়া নাগরিক জীবনের সব প্রয়োজনকে বিবেচনায় রেখে গড়ে তোলা হবে শহরগুলো। সরকারের কাছ থেকে সাহারা শুধু জমি নেবে।

বাকি সবকিছুই করবে সাহারা গ্রুপ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ঢাকার অদূরে স্যাটেলাইট শহর গড়তে চারটি জায়গাও নির্ধারণ করে। এগুলো হচ্ছে_ ঢাকার ধামরাই, সাভার, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান। অর্থ সংগ্রহ করতে না পারায় এটি পরিকল্পনা আকারে থেকে গেছে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গেও আলোচনা করেছে সরকার।

উল্লেখযোগ্য কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এমন পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতীয় এ প্রতিষ্ঠানটি এ দেশে আবাসন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা সরেজমিনে যাচাই করে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহারার কর্ণধার বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেতে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান স্বদেশ প্রপার্টিজের স্বর্ণালী প্রকল্প পরিদর্শন করেন সুব্রত রায়। আজ প্রধানমন্ত্রী ও বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক সফররত সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের চেয়ারম্যান সুব্রত রায় সাহারা আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিস্তারিত জানাবেন সুব্রত রায়। এছাড়া সাহারা গ্রুপ ও তার প্রতিনিধি দল আজ বিনিয়োগ বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস. এ. সামাদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ, বিধি-বিধান ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাত সম্পর্কে সাহারা গ্রুপের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।