সাধারণ দৃশ্যমান জগতে আমরা যে চিরায়ত লীলার অভিজ্ঞতা লাভ করি তাকে প্রকৃতি হিসেবে অভিহিত করা হয়, তা শিল্প নয়। এই প্রকৃতির সৌন্দর্য্য অবলোকন করে মানব মন যখন বিমুগ্ধ, বিস্মিত ও বিমূঢ় হয়ে যায় তখন সে তাকে নিজের মধ্যে আপন করে পেতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় সে চায় এই নৈসর্গিকতাকে একটি স্বাভাবিক রুপ দিতে। আর এর মাধ্যমেই জন্ম হয় শিল্পের। অন্য কথায় দৃশ্য বা অদৃশ্যকে শিল্পীর চিত্তরসে রসায়িত করে যে স্থিতিশীল রূপ মহিমা দান করা হয় তা-ই শিল্প।
যে শিল্পের এই সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করে সে হচ্ছে শিল্পী বা Artist। শিল্পী মাত্রই রূপ-বিলাসী এবং তার সৃষ্ট রূপই হল শিল্প। যে শিল্পের এই সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করে সে হচ্ছে শিল্পী বা Artist। শিল্পী মাত্রই রূপ-বিলাসী এবং তার সৃষ্ট রূপই হল শিল্প।
রবীন্দ্রনাথের লেখার যে বৈচিত্র এবং সেই বৈচিত্রের মধ্যে দিয়ে যে মানব মনের নানান অনুভূতি যে তিনি ব্যক্ত করেছেন ,সেটাই সব চেয়ে বেশি আকর্ষণ করে তার পাঠক পাঠিকাদের ।
চোখের ইশারায়_বস্তুর ক্রম-ভ্রমণে বস্তু কাছে আসে, বস্তু দূরে সরে। দূরে সরে গেলে তার আকার কাঠামোয় অস্পষ্টতা আসে। আমাদের মানসপটে তখন জেগে থাকে কেবল রূপ। একজন শিল্পীর কাজ প্রকৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। হতে পারে, এটা তাঁর প্রকৃতির অন্তর্নিহিত শক্তিকে আবিষ্কারের কৌশল কিংবা মানবপ্রজাতির অন্তর্গত সম্পর্ক, সামাজিক অনাচার, নস্টালজিয়া_এসবের রূপকার্থে ব্যবহার।
শান্তিবাদী সৌন্দর্যপিয়াসি শিল্পী তিনি লুকিয়ে ফেলেন কদর্যতা, অসহায়ত্ব, কষ্টের যন্ত্রণা এবং শেষ পর্যন্ত দর্শককে আচ্ছন্নে রাখে এক স্বপ্নিল বিভ্রম । খাটি শিল্পী জানেন- সাধারণত্বের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে চিন্তাকে বিকশিত করার নানা উপাদান।
মানুষ না থাকলে শিল্পের সৃষ্টির প্রশ্নই উঠত না এবং শিল্পের ইতিহাস ও মানবসন্তানের ইতিহাস একই ধারায় প্রবাহিত। শিল্পের মাধ্যমে শিল্পীমন ও দ্রষ্টার মনের পরিচয় হয়ে যায় এবং তা হয় অত্যন্ত গভীর। এর ফলে দেখা যায় শিল্পের সৌন্দর্য্য দেখে দ্রষ্টা শিল্পীমনের অতি কাছাকাছি আসে এবং এর ফলে আত্মপরিচিতি আবিষ্কারের পথ খুঁজে পায়।
একজন শিল্পী ততটুকু স্বাধীন যতটুকু স্বাধীনতা দেশ অথবা সমাজ দিয়ে থাকে। শিল্পীর স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ। মানুষ একান্তই অনুকরণপ্রিয়। সাধারণ মতে এই অনুকরণের প্রবৃত্তি হতেই শিল্পের জন্ম। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন- হে মহাসুন্দর শেষ, হে বিদায় অনিমেষ,/ হে সৌম্য বিষাদ।
/ ক্ষণেক দাঁড়াও স্থির মুছায়ে নয়ননীর/
করো আশীর্বাদ।
পাবলো নেরুদা বলেছিলেন, Speake in the name of those who cannot write, if the poet did not make himself the spokesman of the human condition, what else was there for him to do.শিল্প একটি মাধ্যম, সৃজনশীলতা সেই মাধ্যমকে পূর্ণতা দেয়। কোনো সৃজনশীল মানুষই জীবনের বিরুদ্ধাচরণ করে না। কারণ শিল্পের সবচেয়ে বড় উপাদান মানুষ এবং তার বহমান জীবন। শিল্প একটি মাধ্যম, সৃজনশীলতা সেই মাধ্যমকে পূর্ণতা দেয়।
কোনো সৃজনশীল মানুষই জীবনের বিরুদ্ধাচরণ করে না। কারণ শিল্পের সবচেয়ে বড় উপাদান মানুষ এবং তার বহমান জীবন। একজন ফোটোগ্রাফারের দেখার চোখ থাকতে হবে । অর্থ্যাৎ শিল্পবোধ । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের অপরূপ চিত্র কেবলমাত্র পরিচ্ছন্ন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে আনা সম্ভব।
ফটোগ্রাফী এখন আর সখের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটা পেশায় পরিণত হয়েছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের এই পেশায় যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে।
সারা দেশে স্টুডিও এবং কালার ল্যাব আছে প্রায় ১০ হাজার। এর মধ্যে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আড়াই হাজার। দেশের ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ সরাসরি এ খাতের সঙ্গে জড়িত।
ফোটোগ্রাফী শিল্পের প্রধান উপকরণ ক্যামেরা। এই শিল্প সৃষ্টিতে যে জিনিষটি খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আলো। এই আলো আর ছায়ার যুগলবন্দীতেই সৃষ্টি হয় অপূর্ব সব শিল্পকর্ম। ফটোগ্রাফী ব্যয়বহুল একটা শিল্প মাধ্যম বিশেষতঃ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফী সত্যিই খুবই ব্যয়বহুল একটা ব্যাপার যা আমাদের অনেকের সামর্থের বাইরে। ফটোগ্রাফীর কাজে ব্যবহৃত সবকিছুই ব্যয়সাপেক্ষ।
ক্যামেরা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের লেন্স, ফ্লাশ, ফিল্টার, ট্রাইপড এমন কি ক্যামেরা ক্যারিং ব্যাগ ও ক্যামেরার কভার কিনতেও বেশ পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হয়। একটা ছোট্র টিপস দেই- সাটার টেপার সময় ক্যামেরা যেন না নড়ে ওঠে সেদিকে খুব লক্ষ্য রাখবেন ।
আমি ছবি তুলতে জানি না । ভাববেন না বিনয় দেখাচ্ছি- এটা সত্যি । তারপরও সময় সুযোগ হলে ছবি তুলি ।
নিজের ছবি দেখে নিজের মুগ্ধ হই । আমি পারি দারুন আড্ডা দিতে আর গল্প করতে । ছবি যেমন ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সংরক্ষণ করে তেমনি মানুষের আবেগ অনুভূতিও জাগ্রত করে৷ এমন কি মানুষের চিন্তা চেতনা, বোধবুদ্ধিকেও পাল্টে দিতে পারে৷ আমি যখন ক্যামেরা নিয়ে বের হই, তখন মাথার মধ্যে এই গান টা খুব বাজতে থাকে - "'আমি এক যাযাবর, পৃথিবী আমাকে আপন করেছে, ভুলেছি নিজের ঘর''। আমি বিশ্বাস করি একটা ভালো আলোকচিত্র আগামীদিনের ইতিহাসের পাতা ৷ একেকজনের রুচি একেকরকম ফলে একজনের কাছে যে ছবি ভাল বলে স্বীকৃ্ত তা অন্যের কাছে ভাল নাও হতে পারে। আর এখানেই গন্ডগলটা বাঁধে।
“রুচির নির্দেশ মেনে চলতে গিয়ে সমালোচনার ইতিহাস স্বৈরাচারের তালিকায় পরিণত হয়েছে। “আমার খুব বড় একটা স্বপ্ন "আমি একজন ভালো মানুষ এবং একদিন ভাল একজন ফটোগ্রাফার হব ।
এখন অনেকের হাতে ক্যামেরা আছে আর আছে বড় বড় কথা কিন্তু তাদের মধ্যে থাকে না শিল্পবোধ । অনেকে গুরু বা তার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে চেষ্টা করছে । বই পড়ে কি আর সাঁতার শেখা যায় ?তারা রাস্তার শুয়ে থাকা একটা ভিক্ষুকের ছবি তোলে আর খুব ভাব দেখায়- যেনো দুনিয়া জয় করে ফেলেছে ! কিন্তু তারা সত্য থেকে কেন এক আকাশ দূরে থাকে ? সবাই এক রকম ছবি তোলে ।
ভিন্নতা পাই না । আর কিছু লোভী পুরস্কারের আশায় আমাদের দেশের দরিদ্রতা পশ্চিমাদের দেখায় । বুঝায় যায় তাদের মধ্যে সততার খুব অভাব । অন্যের চোখ দিয়ে নয়- নিজের মনের চোখ দিয়ে দুনিয়াকে দেখতে হবে ।
“To take photographs means to recognize – simultaneously and within a fraction of a second – both the fact itself and the rigorous organization of visually perceived forms that give it meaning. It is putting one’s head, one’s eye and one’s heart on the same axis”।
( উক্তিটি কার ঠিক এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না । )
চলবে....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।