একবার হুমায়ূন আহমেদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি ঈশ্বর বিশ্বাস করে ?উত্তরে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন-" ঈশ্বরবিশ্বাস আমার আছে । ধরা যাক, তুমি একটি গ্রহে গেছ । গ্রহটা দেখে তোমার মনে হতে পারে, চিরকাল ধরে গ্রহটা একই রকম আছে । কিন্তু সেখানে গিয়ে তুমি যদি একটা নাইকন ক্যামেরা দেখ, তোমাকে সেটা হাতে নিয়ে বলতেই হবে, এটার একজন কারিগর বা মেকার আছে । সামান্য একটি প্লাষ্টিকের ক্যামেরা দেখে তুমি বলছো এর একটা মেকার আছে ।
ক্যামেরার কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতা আছে । তোমার পেছনে একটা মানুষ আছে । ক্যামেরার পেছনের মানুষটকে ফোকাস করার সঙ্গে সঙ্গে তুমি হয়ে যাবে আউট অব ফোকাস । আবার তোমাকে ফোকাস করার সঙ্গে সঙ্গে পেছনের জন হবে আউট অব ফোকাস । মানুষের চোখের কিন্তু এই অসুবিধা নেই ।
চোখ ক্যামেরার চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী । আমাদের শরীরে একটা যন্ত্র আছে, যার কাজ শরীরের সুগার-লেভেল ঠিক রাখা । মানুষের পুরো শরীর এমন বিচিত্র আর জটিল যন্ত্রপাতিতে ভরপুর । এসব জটিল ব্যাপার এক দিনে এমনি এমনি হয়ে গেছে, এটা আমার মনে হয় না ।
‘ডারউইন থিওরি’ কি বলে ? বলে, সারভাইভাল অব দ্য ফিটেষ্ট।
বলে, পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে মানুষের সামনে নানা রকম বিপত্তি আসবে, সেগুলো জয় করতে গিয়ে আমরা এ রকম হয়ে গেছি । পশুর চোখ কিন্তু হলুদ । আর আমাদের চোখ সাদা । এটা হয়েছে, যাতে মানুষ অন্ধকারের মধ্যে নিজেরা নিজেদের চিনতে পারে । আমাদের টিকে থাকার জন্য এইটুকু জ্ঞানই যথেষ্ট ছিল ।
কিন্তু মানুষের মাথায় এই জ্ঞান কীভাবে এল যে রীতিমতো ‘বিগ ব্যাং থিওরি’ আবিষ্কার করে ফেলল ? এই এক্সট্রা-অর্ডিনারি জ্ঞানটা মানুষকে কে দিল ? খেয়াল করলে দেখা যাবে, মানুষ সবার আগে যে বাড়িটা বানায়, সেটা একটা প্রার্থনাকক্ষ । সব জাতির মানুষের ক্ষেত্রেই তা-ই । তার মানে, সেই একদম শুরু থেকেই মানুষ আসলে একটা ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত – হু ইজ গাইডিং মি ?
Exposure কন্ট্রোল: Aperture ও Shutter Speed এর যথার্থ সমন্বয়েই সম্ভব সুন্দর ছবি তোলা । শাটার স্পিড এবং এপারচারের সঠিক সমন্বয় না হলে ছবি “ওভার এক্সপোজ” (বেশি উজ্জ্বল) কিম্বা “আন্ডার এক্সপোজ” (বেশি কালো) হয়ে যাবে । সাধারণত প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররা Aperture ও Shutter Speed ম্যানুয়েলি নিয়ন্ত্রণ করে ছবি তোলেন।
কমপ্যাক্ট ক্যামেরা অটোমেটিক মুডে এগুলো নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে। তবে তা সবসময় পুরোপুরি সঠিক নাও হতে পারে । SO 100 - ISO 400 ব্যবহার হয় বেশি । ISO Rating যত বেশি হবে ক্যামেরা কম আলোর ছবি তত বেশি ভালো তুলতে পারবে । Viewfinder/LCD Display: যে ব্স্তু বা ব্যক্তির ছবি তুলব তা আমরা ভিউ ফাইন্ডারের মাধ্যমেই দেখি ।
আমরা যে দৃশ্যের ছবি তুলবো সেটা ফ্রেমের মধ্যে কেমন দেখাচ্ছে তা ভিউ ফাইন্ডারের মাধ্যমে অথবা এলসিডি ডিসপ্লেতে দেখে সন্তুষ্ট হলেই শাটার বাটন চাপ দিয়ে ছবি তুলি । এছাড়া ছবি তোলার পর ডিসপ্লেতে দেখতে পারি ছবিটি ভালো হয়েছে কিনা, নাহলে ডিলিট করতে পারি । সুর্যের প্রকট আলোতে ডিসপ্লের পরিবর্তে ভিউ ফাইন্ডার ভাল । সুতরাং ভিউ ফাইন্ডার ও ডিসপ্লে দুটিই প্রয়োজনীয়। ডিসপ্লের ব্যবহারে ব্যাটারী তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় ।
ছবির ক্ষেত্রে লাইটটাই বেশি দরকারি । ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আলোর যথাযথ প্রভাব থাকে । যদি ফ্ল্যাশ না থাকে তবে অবশ্যই আলোর দিকে বেশি খেয়াল করতে হবে। আলোটাই মুলতঃ ছবির প্রাণ । তাই বলে অন্ধকারের ছবি তুলতে গিয়েও কিন্তু আলো ব্যবহার করবেন না ! ছবি তোলার সময় অবশ্যই ক্যামেরাটিকে ভালো করে ধরতে হবে যাতে ছবি ব্লারি বা ঘোলা না ওঠে ।
লেন্সের প্রতি যত্নবান হতে হবে । লেন্সে ঘোলা হয়ে গেলে ব্লারি বা ঘোলা ছবি ওঠা সাধারণ ব্যাপার । লেন্সকে সবসময় পাতলা শুকনো কাপড় বা পাতলা টিস্যু দিয়ে আস্তে করে মোছা উচিত, তাই বলে কেউ জোরে ঘসা দিবেন না, এতে লেন্স ভালো হঊয়া তো দূর নষ্টও হয়ে যেতে পারে । বিষয় নির্বাচন ছবি তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ছবি তোলার বিষয় বস্তু ভালো হতে হবে ।
নিজেই নিজের ছবি তোলা ভালো বিষয় বস্তু না । চেষ্টা করবেন প্রকৃ্তির ছবি তুলতে বা বৈচিত্রময় কিছুর ছবি তুলতে, এতে ছবি তোলার প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়বে এবং একই সাথে ছবি তুলে মজাও পাবেন আপনি । নিজের ছবি যদি তুলতে চান তবে নিজে না তুলে অন্য কাউকে দিয়ে তোলান, যদি সম্ভব না হয় তবে সতর্কতার সাথে নিজেই তুলুন । কোন বিষয়ের শুধু একটি ছবি না তুলে একাধিক ছবি তুলুন, এতে ভালো শট পাবার সম্ভাবনা থাকে ।
নতুন মডেলের ক্যামেরা বাজারে আসছে, আসবে।
তবে ভালো ছবির ব্যাপারে শেষ কথা হচ্ছে, ভালো ছবি শুধু ক্যামেরার জন্য হয় না, এর জন্য প্রয়োজন ক্যামেরার পিছনে একজন দক্ষ মানুষ। ডিজিটাল ক্যামেরা আপনার জীবনের মধুরতম স্মৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো স্বপ্নীল এলবামে সাজিয়ে রেখে আগামী দিনগুলোকে আরো অর্থময় ও আনন্দময় করুক ।
আজকাল সাধারন ভদ্র মানুষ SLR ক্যামেরাধারীদের কাকের সাথে তুলনা করে । কেউ আবার তুলনা করে বানরের সাথে । স্ট্রিট ফটোগ্রাফি কি ? এর মানে কি পথে পথে ছবি তুলে বেড়ানো? অনেকটা তাই ।
এর বৈশিষ্ট্য হলো ক্যান্ডিড শট । হতে পারে বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে যেমন পথে, পার্কে, সি বিচে, শপিং মলে এমনকি পলিটিকাল মুভমেন্টে । একেবারে হালকা মেজাজে টুরিস্টের মতো ছবি তুলতে বের হন এরা । ফলে আশপাশের লোকজন এদের দিকে তেমন মনোযোগ দেয় না । অবশ্য বাংলাদেশে এতেই লোকজনের আগ্রহ বেড়ে যেতে পারে অনেক গুণ ।
ছবি তোলার উদ্যোগটি নিতে হবে আপনাকেই । এ তথ্য থেকে আরো একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। সেটি হলো এটি কোনো লাজুক ফটোগ্রাফারের কাজ নয় । আর যদি লাজুকতা থাকেই তবে তা দূর করার কাজটি নিজেকেই করতে হবে । যেমনটা পেরেছিলেন ব্রেসো ।
মজার ব্যাপার হলো, অতীত ঘাটলে দেখা যায় অনেক বিখ্যাত স্ট্রিট ফটোগ্রাফারই ক্যারিয়ারের শুরুতে যথেষ্ট শাই বা লাজুক ছিলেন ।
( চলবে ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।