I am very simple man ভাগ্য কী- আল্লাহ মানুষের জন্যে নির্ধারণ করে রেখেছেন যে, তার মাথায় কোনোদিন শিং গজাবে না। গরুর মতন শিং। গন্ডারের মতন শিংও তার মাথায় গজাবে না। এটা হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত, এটা হচ্ছে ভাগ্য। নির্ধারণ করে রেখেছেন যে মুখ দিয়ে খেতে হবে, অন্য কোনো জায়গা দিয়ে খাওয়া যাবে না, খেতে হবে মুখ দিয়ে, নাক দিয়ে খাওয়া যাবে না।
নাক দিয়ে খাওয়া যাবে; কিন্তু এটা বড় কষ্টের, বড় করুণ। এটা হচ্ছে নির্ধারিত। নির্ধারিত যে, দুটো হাতের জায়গায় তিনটা হাত তার হবে না, এটা হচ্ছে ভাগ্য। এটা হচ্ছে ডিএনএ প্রোগ্রামিং, এটাই ভাগ্য, এটাই কিতাবে লিখে রাখা হয়েছে। বাকি সবটাই হচ্ছে কর্ম।
বাকি সবকিছু করার জন্যে আল্লাহ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন। যে বিষয়গুলোতে আমাদের জবাবদিহি করতে হয় সে পুরো জিনিসিটাই হলো কর্ম। কারণ যদি আমি কী করবো এটা পূর্ব নির্ধারিতই হয়ে থাকে তাহলে আমার তো প্রতিদান-প্রতিফলের কিছু থাকতে পারে না। যেখানে আমার স্বাধীনতা রয়েছে সেটা নিয়েই আমাকে জবাবদিহিতা করতে হবে। যেখানে আমার স্বাধীনতা নেই সেটা জবাবদিহিতার বিষয় হতে পারে না।
অতএব আপনাকে আপনার কাজের জন্যে জবাবদিহিতা করতে হবে তার মানেই হচ্ছে আপনি স্বাধীন। যেমন, আপনি প্রতারিত হচ্ছেন। শেয়ার বাজার নামক জুয়া বাজারে বিনা পরিশ্রমে লাভের লোভে গিয়ে সর্বশান্ত হলেন। এটা কি ভাগ্য? এটা তো ভাগ্য নয়। স্রষ্টা আপনাকে মস্তিষ্ক দিয়েছেন, চিন্তা, বিচার-বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য দিয়েছেন।
তা দিয়ে আপনাকে যাচাই-বাছাই করতে হবে যে, এ যে কথাগুলো বলছে তা কতটুকু বাস্তবসম্মত। এমনকি আপনার জেনেটিক কোনো বৈশিষ্ট্য যদি থেকেও থাকে যাকে হয়তো ‘নিয়তি’ বলা যেতে পারে তাকেও পরিবেশ, পারিপার্শিবকতা বা ইতিবাচকতা দ্বারা প্রভাবিত করা যায়। এ প্রসঙ্গে টাইম ম্যাগাজিনের জানুয়ারি সংখ্যায় একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিলো ‘হোয়াই জিনস আর নট ডেস্টিনি’ নামে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।