কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার পরও ১৩৭ আসন শূন্য রয়েছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। জানা যায়, এ বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে কলেজ গুলোর উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর উদ্বোধনী ক্লাস গত ১ জুলাই শুরু হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ক্লাস ও ওই দিন শুরু হয়। কলেজ ভর্তি কমিটির সূত্রে জানা যায়, এবার মোট ১২০০ আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি হয় ১০৬৩ জন। বর্তমানে বাকী ১৩৭ আসন শূন্য রয়েছে।
ভিক্টোরিয়া কলেজের মত এমন প্রবল প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ কলেজে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও কেন ভর্তি হয়নি এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকে নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট কোচিং হওয়ার ব্যাপারে সরকারি করাকরিকে
দায়ী করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্্যালয় থেকে নির্ধারিত আসন গুলোর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫০, ব্যবসা শাখায় ৪৫০ এবং মানবিক বিভাগে ৩০০ আসন রয়েছে বলে প্রসাশনিক সূত্রে জানা গেছে। শূন্য থাকা আসন গুলো হল বিজ্ঞান বিভাগ ৩২, ব্যবসা শাখা ৪৩ এবং মানবিক বিভাগে ৬২। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর ও ভিক্টোরিয়া কলেজের মত প্রতিষ্ঠানে এতগুলো আসন খালি থাকা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
যেখানে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও ভর্তির অপেক্ষামান তালিকায় থাকতে হয়েছে, সেখানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে ও এসব শিক্ষার্থী কেন হয়নি এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদকের কাছে বিভিন্ন জনের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। অনেকের ধারণা, বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রাইভেট কোচিংয়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভিক্টোরিয়া কলেজে এসব শিক্ষর্থী ভর্তি হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এ ব্যাপারে কয়েক জন অভিভাবক জানায়, এমনিতেই সরকারি কলেজে নিয়মিত ক্লাস হয় না, তার মধ্যে যদি শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের নিকট প্রাইভেট পড়তে না পাড়ে তাহলে তাদের ভাল ফলাফলের ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেকে অন্য কলেজে ভর্তি হয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ার সুযোগ লাভের আশায় এ কৌশল নিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজ প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাইভেট কোচিং বন্ধ হবার ভয়ে অনেকে এমটি করতে পারে।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এম. এম. শাফিউদ্দিন বলেন, যেসব আসন শূন্য রয়েছে সেগুলো পূরণ করার আবেদন জানিয়ে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টি চিঠি পাঠিয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমরা মেধা তালিকা থেকে নাম দিয়েছি। তবে প্রাইভেট কোচিং সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা তিনি পুরোপুরি মানতে চাননি। তিনি বলেন, সত্যিই যদি এ কারণে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে, তবে আমরা বিচ্ছিন্নভাবে নয় কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোচিংয়ের ব্যবস্থা নেব।
http://www.bdreport24.com/archives/83686
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।