শবে-বরাতের মাঝ রাত্রিতে পূর্ণিমায়--মেঘনা বক্ষে ডা.সুরাইয়া হেলেন শুভ: তুমি কি কখনো স্টীমার,লঞ্চে চড়ে নদী ভ্রমনে গিয়েছো? সু: হ্যাঁ,এইতো সদরঘাট টু নবাবগঞ্জ ভায়া সৈয়দপুর,খুব বেশি দূরত্ব নয়, ঘন্টা তিনেক ছোট লঞ্চে! শুভ: আমি এখন এক বিরাট স্টীমারে বসে,বিশাল মেঘনা বক্ষে! সু: কী বলছো?!কীভাবে নেটে ঢুকলে? শুভ: জিপি জোশ!আর এফ.বি তো পৃথিবী সুদ্ধ! সু: হুঁম,কী দেখছো?আজ তো শবে বরাতের রাত,চাঁদের চৌদ্দ! শুভ: উফ্,না দেখলে বিশ্বাস করবে না তুমি!মাঝ রাত!কী যে অপার্থিব,অপরূপ জোছনায় ভেসে যাচ্ছে সব! আমি ছাদে দাঁড়িয়ে অপলক চোখে দেখছি আর অবগাহন করছি পূর্ণিমার চাঁদের আলোকধারায়! সু: হ্যাঁ,আমিও !জানলা গলে জোছনা ঢুকে পড়েছে,আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে পূত-পবিত্র করে দিচ্ছে!এতো আলো,এতো উজ্জ্বলতা!সত্যি সত্যি খোদা নেমে এসেছেন আসমানে!তাঁর নূরের আলোয় উদ্ভাসিত পৃথিবী! শুভ: আমিও তাই ভাবছি!আরে,একী!চাঁদের চারধার ছোট ছোট টুকরো টুকরো মেঘ ঘিরে রেখেছে,অদ্ভ্থত,অলৌকিক! সু: এরা মেঘবালিকা!চাঁদকে ঘিরে নৃত্য করছে! শুভ: কোথায় গেলো নৃত্যশিল্পী মেঘবালিকারা?নিমেষে উধাও!এখন চাঁদকে বেস্টন করে আছে সরু লতার একটা লাল বৃত্ত!আই কান্ট বিলিভ,কান্ট ইমাজিন!ওঃ গড্! সু: না,এখান থেকে এই রক্তিম মালা দেখা যাচ্ছে না! শুভ:উফ্!এ কী!সারা আকাশ এখন ধূ ধূ বালির চর!শুধু বালি আর বালির ঢেউ!আকাশ কোথা হারালো?! সু:বিশ্বব্রহ্মান্ড বিধাতা বড়ই চমৎকার করে সৃষ্টি করেছেন! শুভ:ঠিক বলেছো!কিন্তু আজ এই লায়লাতুল বরাতের gwngvwš^Z রাতে,চাঁদের চৌদ্দর পূর্ণিমায়,মেঘনা বক্ষে যা দেখলাম,হাজার বছরের তপস্যায় বা এক জীবনে এটুকু পাওয়া যেতো কিনা জানিনা!আমি ধন্য,আমি অভিভ্থত,আপ্লুত,আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।