আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদালতের নির্দেশে কুমারিত্ব পরীক্ষা!

ঢাকা, জুলাই ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ইরাকে আদালতের নির্দেশে সদ্য বিয়ে হওয়া অনেক নারী কুমারিত্ব প্রমাণে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন বলে এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে। বাগদাদের মেডিকেল লিগ্যাল ইনস্টিটিউটে (এমএলআই) প্রতিদিন বেশ কয়েক জন নারীর কুমারিত্ব পরীক্ষা হয়ে থাকে বলে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মুনজিদ আল-রেজালি জানিয়েছেন বলে সোমবার এনডিটিভির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে রেজালি বলেন, “আমাদের কাছে এই পরীক্ষার জন্য আসা নারীদের মধ্যে অধিকাংশই বিয়ের পরদিন আসেন। ” নীল রঙের জানালবিহীন একটি কক্ষে এই পরীক্ষা হয় বলে জানান তিনি। রেজালি বলেন, “স্বামী কোনো নারীর কুমারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললে আদালতের মাধ্যমে ওই নারীর পরিবার তাকে এখানে নিয়ে আসে এবং আমরা তাকে পরীক্ষা করি।

” “এটা বিরল কোনো ঘটনা নয়, প্রচুর ঘটে। ” নারীর সতীচ্ছদ এ পরীক্ষার মধ্যে পড়ে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, পরীক্ষার ফল সরাসরি আদালতে পাঠানো হয়। ওই নারী বা তার স্বামীর পরিবার কোনো পক্ষকেই দেওয়া হয় না। এমএলআই’র ফরেনসিক চিকিৎসক ডা. সামি দাউদ বলেন, “তারা মনে করে, বিয়ের প্রথম দিন বিছানায় রক্ত থাকবে।

রক্ত না থাকলে ওই নারী কুমারিত্ব হারিয়েছে বলে তাদের বিশ্বাস। ” এ ধরনের ভাবনা যৌনতা বিষয়ক জ্ঞান ও শিক্ষার ‘খুব অভাব’র ইঙ্গিত দেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। দাউদ বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি মনে করেন তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী কুমারী নন তাহলে তিনি বিষয়টি নিয়ে আদালতে যেতে পারেন এবং সেখান থেকে এমএলআই-এ ওই নারীর কুমারিত্ব পরীক্ষা হতে পারে। এসব পরীক্ষার ফল কোন ধরনের হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীর পক্ষে যায়। তবে এটা নারীর জন্য খুবই অবমাননাকর।

” অন্তত একজন নারী চিকিৎসকসহ তিনজন চিকিৎসক ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের এই পরীক্ষা করেন বলে জানান তিনি। ইরাকি আইনজীবী আলী আউয়াদ কুর্দি বলেন, “যদি কোনো নারী বিয়ের সময় কুমারী ছিলেন না বলে প্রমাণ হয় এবং যে ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে তাকে বিষয়টি না জানিয়েই বিয়ে করেন তাহলে ওই নারীকে রক্ষার কোনো আইন নেই। ” ওই নারীর পরিবারকে তখন অন্য পক্ষকে অর্থ, উপহার ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্ষতিপূরণ দিতে হয় বলে জানান তিনি। নারীর এই কুমারিত্ব পরীক্ষা নিয়ে স্থানীয় কোনো মানবাধিকার সংস্থা সোচ্চার না হলেও এর প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ম্যারিয়ানে মোলম্যান বলেন, “কুমারিত্ব পরীক্ষা, এ পরীক্ষার জন্য বাধ্য করা এবং আদালতের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে এ ধরনের পরীক্ষা নেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এটাকে কোনোভাবেই বৈধতা দেওয়া যায় না।

” এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নারী অধিকার বিভাগের পরিচালক লিস জার্নথোলজ বলেন, “কোনো নারী বা মেয়েকে যেন শারীরিক পরীক্ষা দিতে না হয় যা অবমাননাকর, কষ্টদায়ক ও ভীতিকর তা নিশ্চিত করতে ইরাক সরকারকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। ” “আদালতের মাধ্যমে এসব পরীক্ষাও নিষিদ্ধ করতে হবে। ” সূত্র: Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.