গ্রামীন ব্যাংক গত প্রায় ২ বছরে সরকারের সেচ্ছাচারিতায় হারিয়ে ফেলেছে এর সমস্ত বৈশিষ্ট্য এবং গ্রহণযোগ্যতা । সাতানব্বই ভাগ জনগণের অংশিদারিত্তের ব্যাংকে তিন ভাগ সরকারি হস্তক্ষেপ ন্যায়সঙ্গত নয়ই বরং সেটা করা আইনসংগতও নয়।
সম্পূর্ণ মানব কল্যাণে গড়া এই গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টিলগ্ন থেকে গ্রামের দরিদ্র জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং বলা যায় বহু গ্রামবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে এটি সফল ভুমিকাও রাখতে সক্ষম হয়েছে ।
এই ব্যাংকের গঠন এবং কাজের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা । মালিকানার ৯৭ ভাগ জনগনের আর ৩ ভাগ হল সরকারের ।
কাজের প্রক্রিয়া শুরু থেকেই ডাঃ মুহাম্মাদ ইউনুস সাহেবের মাস্টার প্ল্যানিং এর অনুসারে চলে আসছে কিন্তু এই সুন্দর প্রক্রিয়ায় বাদ সাধলেন সরকার । তাদের ওই তিন ভাগ অংশিদারিত্তের প্রভাব খাটিয়ে গোটা ব্যাংক এর পরিচালনা প্রক্রিয়াই পরিবর্তন করে চলছে সরকার যা এই প্রতিষ্ঠানটিকে তার লক্ষ অর্জনের পথ থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে ।
ব্যাংকটি এখন আর তার আগের নীতিতে চলছে না যা ইউনুস সাহেব এমডি থাকাকালীন চালাতেন । যা শুধু তার দায়িত্বই ছিল না ছিল তার সপ্ন । এখন সরকারের হস্তক্ষেপে ধীরে ধীরে এটি একটি বাণিজ্যিক প্রতিস্থানে রূপান্তরিত হচ্ছে ।
এই ব্যাপারে জনগনের দৃষ্টি গোচর করতে তিনি নিজেও একই কথা বলেছেন এক অনুস্থানে কিছুদিন আগে । তিনি যথেষ্ট সন্দিহান গ্রামীণ ব্যাংক এর ভবিতসত নিয়ে সাথে সাথে তিনি এর উপর সরকারের হস্তক্ষেপের ব্যাপারেও যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন ।
আমাদের সরকারের এটি এখন নিয়মিত চর্চা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে এরা সঠিক জায়গায় কখনও হস্তক্কেপ করতে পারেন না বরং এমন যায়গায় করেন যেখানে তাদেরকে কামনা করা হচ্ছে না । দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে আপনাদের মত আমিও নিন্দা এবং সমালোচনা করছি এরুপ কার্যকলাপকে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।