কে আমার আমি কার সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের সমাবেশে হাতাহাতির ঘটনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ১১ সদস্যকে বহিষ্কার করেছে।
ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বৃহস্পতিবার বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত ১১ সাংবাদিকের মধ্যে ১০ জন এটিএন বাংলার। তারা হলেন- টেলিভিশনটির বার্তা প্রধান জহিরুল ইসলাম মামুন (জ ই মামুন), বিশেষ প্রতিনিধি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, মাহমুদুর রহমান, নাদিরা কিরণ, মানস ঘোষ ও শওকত মিলটন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম বাবু ও মাহফুজ রহমান মিশু এবং নিজস্ব প্রতিবেদক রাহাত মিনহাজ ও মঈনুল আহসান।
বহিষ্কৃত অন্যজন হলেন ভোরের কাগজের প্রতিবেদক শামীম আহমেদ।
১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি ডিআরইউতে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত যৌথ মানববন্ধন কর্মসূচিতে হাতাহাতি হয়।
এটিএন বাংলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে ডিইউজের এক নেতা বক্তব্য রাখলে তাতে ক্ষুব্ধ হন ওই টেলিভিশনের সাংবাদিকরা।
এটিএন বাংলার সাংবাদিকরা অবশ্য দাবি করেছেন, তাদের ওপরই সেদিন হামলা হয়েছিল।
চার সংগঠন ওইদিনই যৌথসভায় হামলার সঙ্গে জড়িত সাংবাদিকদের এ চারটি সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা জানান, কার্যনির্বাহীর সভায় এসব সদস্যের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এজন্য তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক ভানুরঞ্জন চক্রবর্তীকেও সেদিনের ঘটনার জন্য দায়ী করছে রিপোর্টার্স ইউনিটি। তবে তিনি এই সংগঠনের সদস্য না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি ডিআরইউ।
তবে ভানুরঞ্জনকে ডিআরইউ চত্বরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে, বলেন ডিআরইউ সভাপতি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।