আমি জাতির আধার রাতের আলো...
বাংলাদেশে অনেক মানবাধিকার রক্ষার সংগঠন রয়েছে। মানব উন্নয়নে রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। দেশী বিদেশী অনেক সংস্থা দেশের জন্য দশের জন্য কাজ করছে বলে দাবী করছে। খুব দামী মডেলের গাড়ীতে চড়ে এদেরকে ঘুরে বেড়াতেও দেখা যায়। এর উপর রয়েছে দেশের কথিত সুশীল সমাজ, সুনাগরিক সমাজ এবং বুদ্ধিজীবি সমাজ।
কবি সাহিত্যিক অপন্যাস রচনাকারীদের তো অভাব নেই। জাতীর দর্পন বলে পরিচিত মিডিয়া সংবাদপত্রের ছড়াছড়ি। এদের সবার দাবী দেশে সৃষ্টিশীল মনূষ্য গঠনে তারা কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারী আইন প্রয়োগকাারী সংস্থা সেবা সংস্থা এগুলোরও অভাব নেই। এমতাবস্থায়ও তাহলে আজকে কেন রমরমা মাদকের ব্যবসা, ইয়াবার ব্যবসা, ফেনসিডিলের ব্যবসা হচ্ছে আর এগুলোর সবচে বড় ক্রেতা হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে দেশের কিশোর যুব সমাজকে? আজকে শহরে বন্দরের রাস্তাঘাট অলিতে গলিতে চলাফেরা করতে গেলেই এমনসব কিশোর যুবকদের দেখতে পাওয়া যায় যাদের ছিরত ছুরতেই বুঝা যায় এরা সারা রাত মাদক সেবনসহ যাবতীয় অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলো।
অদ্ভুতভাবে দাড়ি কাটিং, চুল রাখা, পোষাক পড়া এবং আচার আচরন এদের কোন সভ্য জাতীর লোক বলে মনে হয়না। এদের উৎপাতের কারনে ভদ্র র”চিশীল পর্দানশীল মা-বোনেরা জর”রী প্রয়োজনেও রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে ভয় পায়। এছাড়া ইন্টারনেট মোবাইলের ছড়াছড়ি এবং ছবি ভিডিও’র ব্যাপকতার কারনে কিশোর যুবকরা প্রকাশ্যেই অশ্লীল ভিডিও বহন করছে, ডাউনলোড করছে এমনকি প্রকাশ্যে প্রদর্শনও করছে। নাউজুবিল্লাহ! এই যদি হয় একটি দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের অবস্থা তাহলে দেশ জাতি এদের থেকে কি সুফল পেতে পারে? এরা দেশ জাতির কোন ্উপকারে তো আসবেই না বরং দেশ জাতীর জন্য আগাছার মত বোঝা হয়ে রইবে। এদের সংস্পর্শে পরবর্তী প্রজন্মও বিপথগামী হবে।
এর জন্য এক নম্বরে দায়ী থাকবে তথাকথিত সুশীল সমাজ যারা বেপর্দা বেশরা, মাদকতা বস্ত্রহীনতাকে গনতান্ত্রিক স্বাধীনতা বলে এদেশে আমদানী করছে। নিজেরাও বুড়া বয়ষে আরো পাপ থেকে পাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নাউজুবিল্লাহ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।