'রবীন্দ্রনাথ তো স্কুলে যেতে পারেনি, স্কুলে যেতাম আমরা। তখন দেখতাম, রবীন্দ্রনাথ স্কুল গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছে আর পেটভরে ছোলামুড়ি খাচ্ছে, এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। বুঝলাম, পোলাডা ফাজিল আছে...' গল্পের এই পর্যন্ত আমি বলার পর আন্দালিব রাশদী বললেন, 'আমি তো হচ্ছি দেবেন্দ্রনাথের বন্ধু। তাই ভাতিজাকে দেখে একদিন বললাম, কি রে রবি, তুই এখানে কি করছিস? যা, বাড়ি যা। রবীন্দ্রনাথ আমাকে দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়ে বলল, কাকু, বাবাকে কিছু বলবেন না, প্লিজ...' এরপর শাহনাজ মুন্নী; মুন্নীর কথা থেকে জানা গেল, 'রবীন্দ্রনাথ ছেলেদের স্কুলের চেয়ে বেশি দাঁড়িয়ে থাকত গার্লস স্কুলের গেইটের সামনে।
উদ্দেশ্য ভালো না। মুখচোরা চাহনি...ফটকা-গোছের। ' শেষে সারওয়ার উল ইসলাম দাবি করলেন, 'তো রবি একদিন আমার সঙ্গে আমাদের বাড়িতে এসে আমার কবিতা-ছড়া গোপনে চুরি করে নিয়ে গেল এবং শেষপর্যন্ত নিজের নামেই সব ছেপে ছেপে চালিয়ে দিল...'
...আষাঢ়ে গল্পের শেষটা ছিল এরকমই। অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা বললেন, 'বাবা রবীন্দ্রনাথ, যেখানেই থাকুন, যদি সময় টিভির এই অনুষ্ঠান দেখে থাকেন, মাফ করে দিয়েন...আজ আষাঢ়ে গল্পের শেষটা আপনার উপর দিয়েই গেল...'
প্রায় ৫০ মিনিটের অনুষ্ঠান ছিল লাইভ, গতরাতে(২১ জুন), ৮.১০ থেকে ৯.০০টা পর্যন্ত। আজ (২২জুন) বিডি টাইম সকাল ১০.১০ এ পুন:প্রচার।
যারা দেখার সুযোগ পাননি, দেখতে পারেন। অনুষ্ঠানের নাম 'আনন্দ আড্ডা', সময় টিভিতে... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।