আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাকৃবি এর আনন্দ: এ আনন্দ ছড়িয়ে যাক সবখানে



সাংবাদিকতার গায়ে যতগুলো কল্ঙ্ক আছে তার একটি হল 'সাংবাদিকতা কেবল মন খারাপ করা খবর দেয়'। কথাটার সামান্য প্রতিবাদ থাকলেও এটা মোটামুটি সত্য কথা। যাক এই পুরোনো কড়চা না গিয়ে মূল কথায় আসি। গত ২০জুলাই দৈনিক যুগান্তরের ১৭ পাতায় ব্ক্স করে ছাপা একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল ' সেমিস্টার পদ্ধতিতে রের্কড, সাড়ে নয় বছরে একদিনও বন্ধ থাকেনি বাকৃবি ক্যাম্পাস' -কতগুলো দুসংবাদ এর ভিড়ে এই সুসংবাদটি আহবান করল বিস্তারিত পড়ত। পুরো প্রতিবেদন পড়ে দেখলাম গত সাড়ে নয় বছরে আভ্যন্তরীন কোন্দলে একদিন ও বন্ধ থাকেনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবে মার্স্টাস পাশ করেছি। আমার সার্টিফিকেটে পরীক্ষা পাশের বছর ২০০৭ হওয়ার কথা থাকলে ও আছে ২০১০। না আমার কোন শিক্ষা বিরতি নেই। এই ব্যবধান তৈরিতে আবদান রেখেছে কারণে আকারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়া। কেবল ঢাবি নয় আমরা সকলেই জানি এই একই সমস্যায় জর্জরিত আমাদের দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো।

শিক্ষাজীবনের বছরগুলো আকারণে দীর্ঘায়িত হওয়ার এই ভরি ভরি উদাহরণের মাঝে এই সংবাদটি আমাদের আশার বাণী শোনায়। খবরটিতে প্রকাশিত হয়েছে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা আনন্দ উতসবের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে। আসলে এই শিক্ষার্থীদের আনন্দে আমাদের সবারই সামিল হওয়া উচিত। যুগান্তরকে ধন্যবাদ তারা আমাদেরকে এই সুসংবাদটি দিয়েছে। তবে ১৭ পাতায় সংবাদটির আবস্থান না হয়ে প্রথম আথবা শেষ পাতায় স্থান পেলে সংবাদটি যোগ্য মর্যাদা পেত।

'বাকৃবি এর মত আমাদের দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন আনন্দ উতসব পালন করবে' -এই চাওয়া টা কি আনেক বড় কোন চাওয়া? জয়তু বাকৃবি............

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.