I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই হ্যা, আমিও প্রেমপত্র পুড়াই! রোজ রোজ পুড়ানোর মত বিশিষ্ট কেউ আমি নই কিন্তু, তবে প্রতিবছর এই দিনটায় পুড়ানোর মত অবশিষ্ট একটা হলেও জমিয়ে রাখি! কেউ জোক করেই বলেছিল যে কাউকে জীবনে কয়জন প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে প্রশ্ন করলে ভাব ধরে যেনো সেই মুহুর্তে তারা গণনা ভুলে যায়, কিংবা অগনিত, টু দ্যা পাওয়ার ওফ ইনফিনিটিতে অবস্থান তাদের পাওয়া প্রেম প্রস্তাবের সংখ্যা!! আবার তারা কয়জনকে দিয়েছে প্রস্তাব জানতে চাইলে এমন চাহনি নিপাত করেন, যেনো তারা "আমি তোমার প্রেমে পড়েছি বা আমি তোমাকে ভালোবাসি," কিভাবে লেখতে হয় তা জানেনই না! হা হা হা! এটা কিন্তু নারী-পুরুষ, উভয় এবং অধিকাংশের জন্যই প্রযোজ্য! কি, আপনার লাগেনি তো? যেচে বাড়িয়ে বলছি না, অন্তত বর্তমান সময়ের কিশোর-কিশোরী/যুবক যুবতীদের দেখলেই বুঝবেন, ইঙ্গিতটা কার দিকে পড়ছে! তাই বলে আবার বলে বসবেন না যানো, আমি বৃদ্ধ, আমার কি আর বয়স আছে? এটা কিন্তু পার পেয়ে যাবার মত যুক্তি হল না, আর ভালবাসাবিদরা বলেন ভালোবাসা বয়স মেনে চলে না! তাই অহেতুক রাগ নয়, আমার আবার কারো রাগ দেখতে ভালো লাগেনা, তবে আপনি পাল্টা প্রশ্ন করলে উত্তর দেব নিজের রাগটা দেখাতে ততটা মন্দ লাগে না!
ওহ, যা বলছিলাম। প্রেম নিয়ে জটিল তত্ব কিংবা ইকোয়েশন ফাদতে পারব না! তাই সহজ করেই বলি, প্রেমে পড়লে যে পত্র আদান- প্রদান করা হয়, তা পুড়ানোর সুখ জীবনে কখনো ভোগ করেছেন? উত্তর হ্যা হলে হাই ফাইভ নিয়ে নিন হাওয়া থেকে, আর না হলে বলব, কি করছেন কি? এতবড় শান্তির কাজ আপনি না করেই বসে আছেন? একটা কাহিনি শুনুন, তারপর আমার কথার মর্মদ্ধার করা সহজ হবে। ইউএস হিস্টোরিতে সিভিল ওয়ার নিয়ে পড়ার সময় জেনেছিলাম সিভিল ওয়ারের সময় এত পেপার মানি ছিল তখন, অর্থাত কাগজের ডলার প্রিন্ট করেছিল যে ডলারের মুল্য কমে গিয়েছিল। অতিরিক্ত ডলার প্রিন্ট এর ফলে সরকার ঠিক করল, কাগজের ডলার পুড়ানো হবে, তাতে শীতের থেকে বাচাও যাবে, আবার অতিরিক্ত ডলারের জন্য মুল্যহ্রাস ও কমবে। আমার একজন শিক্ষিকার মা তখন কাগজের ডলার পুড়ানোর চাকরি করেছিলেন বলে আমাদের শিক্ষিকা অভিহিত করেন।
তা ভেবেই দেখুন, যে ডলার আয় করার জন্য সবাই পাগল হয়ে থাকত, তাকেই পুড়ানো হচ্ছিল প্রয়জনের সময বলতে গেলে অতিরিক্ত হয়ে গেছে সেই যুক্তিতে! আর প্রেমপত্র কি ছাড়?
এখন আসি আমার আলোচ্য বিষয়-বস্তুর সম্পর্কে বলতে! প্রেম পত্র পুড়ানোর আনন্দটা অযাচিত কিংবা মোটেও অবহেলিত নয়। একটু চিন্তা করুন আমার ডলার পুড়ানোর আনন্দের উধাহরনটা। হ্যা, হতে পারে ডলারের মুল্য একসময় অতিব ছিল, কিন্তু তখন প্রায় মুল্যহীন হয়ে পড়ছিল ডলার। আর ঐ ডলার গুলো বাচতে পারলে অদুর ভবিষ্যতে ডলারদের দাম কমে যেত আরো! তখন বেকায়দায় পড়ত সরকার। তাই অনেকে চাকরি পেল ডলার পুড়ানোর।
এবং শুধু ডলার না, শুনেছি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির কারেন্সির রেট ও কমে যায়। তাই তারাও সরকার থেকে নয়, নিজ নিজ দায়িত্বে নিজেদের টাকা পুড়িয়েছিল শীতকালে শীতের প্রকোপ থেকে বাচতে সবাই সেখানে। এবার ভেবে দেখুন, যে টাকা কাজে দেয়না, বেচে থাকলে সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাকে পুড়িয়ে ফেলার আনন্দ কি এতই হেলাফেলার বিষয়?
প্রেমপত্রের কথা বললে এখনকার সময়ে সবাই ততটা প্রেমপত্র আদান-প্রদান করে না। টেকনোলোজির কারবারে পুরো কনসেপ্টটা হারিয়ে যাচ্ছে! অথচ আমাদের সময়ে কেউ প্রেপে পড়লে দিস্ত দিস্তা পেজ ভরে লেখতে প্রেমপত্র! আহারে, সেসব দিন! তবে এখনকার কিছু নবীনরাও প্রেম প্রেম খেলতে গিয়ে পত্র লেখে, ভেরিয়েশন পেতে আরকি, তবে সেই মনোভাব তাদের নেই! তা যাই হোক, এই প্রেমপত্র কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে পরে। কিভাবে, তা আর নাই বললাম।
এখন এত সহজে প্রেম হয়ে যায়, আর এত সহজে ভাঙ্গে, বলার বাইরে! "ইন লাভ" আর "ব্রেকআপ" খুব চাঞ্চল্যকর এবং বহুব্যবহৃত শব্দ/বাক্যদয়! তাই আগের প্রেমকে মুছে ফেলতে পত্র পুড়িয়ে ফেলাটাই সমীচিন। আমিও তাই করছি। তবে এবারের প্রেমপত্রটা একটু অন্যরকম। অনেকদিন জমিয়ে রেখেছিলাম এটা, কেউ বুঝতে পারত না এটা তাই। ল্যাটিন এ লিখেছিল যে সে, তাই, হাতের লেখা খারাপ বলে নয়! এদিকে কেউ ল্যাটিন শেখা নেই তেমন, আমি ছাড়া।
তার বুদ্ধিতে আমি অভিভুত, কিন্তু প্রত্যাখান করেছিলাম। প্রেম-ভালোবাসায় বিশ্বাস করলে এতদিনে কোথায় ভেসে যেতাম! তবে এই প্রেমপত্রটি বিশেষভাবে লেখা, আর কেউ পড়ে কিছু বুঝত না বলে রেখে দিয়েছিলাম অনেক গুলো বছর। আজ, চৌদ্দ'ই ফেব্রুয়ারী দু'হাজার তেরোতে পুড়াব বলে বের করলাম অনেক বছর পর, আহ, এখন তার হাতের গন্ধটা পাই। যা আনন্দ লাগছে আগুনে ধরা পত্রটা দেখে। একটু কষ্টের ঢেউ উঠছে, এতদিন সজতনে রেখেছিলাম কিনা! কিন্তু রীতি তো রীতিই! আমি মেনে চলিও বটে! নেই কোন ক্ষমা আজকে উক্ত প্রেমপত্রের প্রতি! একটা পাশবিক আনন্দ হেলে দুলে উঠছে মনের কোনায়, অনেক রক্তাক্ত মনটা আজ স্থির হল হয়ত! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।