আসেন সবাই। একটু হাসতে চেষ্টা করি। দেশের যে অবস্থা , হাসি কি আর সহজে আসে? তাও কারণে অকারণে আমরা প্রায়শই হাসি। অট্টহাসি, মুচকি হাসি, তাচ্ছিল্যের হাসি, উপহাসের হাসি, তৈলবাজি হাসি -হো হো, হা হা, হি হি, হে হে ইত্যাদি ইত্যাদি। আজকে নাহয় আমরা কয়টি কৌতুক শুনেই হাসি।
তবে হ্যা, সবকয়টি কৌতুকই অতিথিকে নিয়ে মানে অতিথি রঙ্গ
এক-
বাড়িতে অতিথি এসেছেন। মা পল্টুকে ডেকে বললেন, ‘বাবা পল্টু, জলদি অতিথিদের জন্য বাইরে থেকে একটা কিছু নিয়ে এসো তো’।
দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল পল্টু। কিছুক্ষণ পর ফিরল খালি হাতে।
মা: কী হলো? কী আনলে ওনাদের জন্য?
পল্টু: ট্যাক্সি! ওনারা যেন চটজলদি বাড়ি ফিরতে পারেন!
দুই-
শফিক আর কেয়া—দুজনের ছোট্ট সংসার।
এর মাঝে একদিন উটকো এক অতিথির আগমন।
দিন গড়িয়ে সপ্তাহ পেরোয়, অতিথির আর যাওয়ার নামগন্ধ নেই। বিরক্ত হয়ে একদিন লোকটাকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটল দুজন।
পরদিন সকাল না হতেই তুমুল ঝগড়া শুরু করল শফিক-কেয়া। ঝগড়া একসময় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেল।
অবস্থা বেগতিক দেখে চুপচাপ বাক্স-পেটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল অতিথি।
অতিথি বেরিয়ে গেলে ঝগড়া থামাল দুজন। কেয়াকে বলল শফিক, ‘ওগো, বেশি লেগেছে তোমার?’
কেয়া: আরে নাহ্! আমি তো লোক দেখানো কাঁদছিলাম!
এমন সময় দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল অতিথি, ‘আমিও তো লোক দেখানো গিয়েছিলাম!’
তিন-
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বাড়িতে তাঁর কিছু বন্ধু এসেছেন। অতিথিদের তরমুজ দিয়ে আপ্যায়ন করলেন হোজ্জা। বন্ধুদের সঙ্গে খেতে বসলেন হোজ্জা নিজেও।
হোজ্জার পাশেই বসেছিলেন তাঁর এক দুষ্টু বন্ধু। তরমুজ খেয়ে খেয়ে বন্ধুটি হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসা রাখছিলেন। খাওয়া শেষে দেখা গেল, হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ। দুষ্টু বন্ধুটি অন্যদের বললেন, ‘দেখেছেন কাণ্ড? হোজ্জা কেমন পেটুক? তার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ হয়ে গেছে’!
হোজ্জা হেসে বললেন, ‘আর আমার বন্ধুটির সামনে দেখছি একটা খোসাও নেই! উনি খোসাশুদ্ধ খেয়েছেন! এখন আপনারাই বলুন, কে বেশি পেটুক!’
চার-
বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেছেন শাকিল। গিয়ে দেখেন বন্ধুর স্ত্রী কাঁদছেন।
শাকিল: কিরে, তোর বউ কাঁদছে কেন?
বন্ধু: জানি না। জিজ্ঞেস করিনি।
শাকিল: ওমা! জিজ্ঞেস করিসনি কেন?
বন্ধু: আগে যতবার জিজ্ঞেস করিছি, প্রতিবারই আমাকে ফতুর হতে হয়েছে!
পাঁচ-
বাড়ির ছোট্ট মেয়েটার সঙ্গে খাতির জমানোর চেষ্টা করছেন অতিথি।
অতিথি: বাবু, তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
ছোট্ট মেয়ে: ক্লাস ওয়ানে।
অতিথি: বাহ্! পাঁচটি ফুলের নাম বলো তো দেখি।
ছোট্ট মেয়ে: দুটি গোলাপ, তিনটি জবা!
ছয়-
সর্দারজি বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গেছেন। গল্প করতে করতে রাত হয়ে গেছে। এমন সময় বাইরে নামল প্রচণ্ড বৃষ্টি। বন্ধু বললেন, ‘আজ রাতটা না হয় আমার বাড়ি থেকে যাও। বাইরে যে ঝড়, আজ রাতে আর বেরোতে পারবে না।
’
সর্দারও সায় দিলেন। বন্ধু গেলেন ভেতরের ঘরে সর্দারজির ঘুমানোর বন্দোবস্ত করতে। কিছুক্ষণ বাদে এসে দেখেন বসার ঘরে সর্দারজি নেই। কী হলো? গেল কোথায়!
খানিক বাদে সর্দার এলেন। সারা গা কাদাপানিতে মাখামাখি।
বিস্মিত বন্ধু বললেন, ‘কী হলো? কোথায় গিয়েছিলে?’
সর্দারজি বললেন, ‘বাড়ি গিয়ে বউকে বলে এলাম, বাইরে যে ঝড়, আজ রাতটা আমি তোমার বাড়িতেই কাটাব! নইলে আবার দুশ্চিন্তা করবে!’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।