নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই মেয়েটি নিচুস্বরে সাবএডিটরকে বলল, আমি যে ছদ্মনামে লিখেছি তা কিন্তু আপনি ছাড়া কেউ জানে না। লেখা লেখি বেশ কঠিন লাগে, এভাবে হলে কিছু লেখা হয়। কাউকে বলবেন না এটা, মেয়েটি জইনকে বলেই ফেলল।
বড় ডেস্কের পিছনে একটা সাদা ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে।
আর একপাশে ছিট ছিট পাতাবাহারের স্থির একটা টব সব কথা গিলছিল।
মেয়েটি তখন তার নতুন লেখা বের জইন কে দেখায়। নদী যেখানে ক্যাস্পিয়ান হয়। নদীর উপরের জল শোষণ করে নিচের কাদা ঘোলা অসুন্দরকে।
জইন শুনে বলেছিল, তৃষ্ণার্ত না হলে কি নদীদের কথা কেউ ভাবে? দামী সওদাগরের আনাগোনা বন্ধ হলে কোথায় থাকে তার পানি?
*
বহুবছর পর । জানলায় রূপালি জ্যোৎস্না নিলাজের মত পিতিলের ঘরে ঢুকে পড়েছে।
তুমি এমন করে কথা বলতে জইন, আমার মনে হতো খুব ভারী মানুষ।
ভারী? প্রশ্ন করে জইন, তারপর পিতিলের খুব কাছে এসে শোয় ।
হ্যা, সাহিত্য ছাড়া কিছুই বলতে না।
এখনও তো বলি, বলি না?
বলো,
ঠিক, তবে যা লেখার লিখে দিতে চাই। কলম ফেলে দিয়েছি কাগজও।
মেয়েটির হাতের উল্টো পাশে মৃদু আঁচড়ে একটা লাইন লেখা হয় ..আই।
পিতিল বলে, তারপর কি লাভ? তারপর ইউ?
জইন কিছু না বলে তর্জনি দিয়ে লিখে যায়। লেখাগুলো পড়া যায় না। কিন্তু হাতের পিঠে জইনের আঙুলের স্পর্শটা বোঝা যায়। সেখানে অনেক শব্দ লেখা হয়।
দেশের কোন এক ঘরে তৃষ্ণার্ত পাঠকের জন্ম হয়। সে বলে,
আজ আঙুলের স্পর্শে একটা উপন্যাস লিখে দিতে পারবে, পারবে না, জইন?
--
ড্রাফট ১.০ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।