আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! কোনো এক আমাবস্যা রাতে....
: দোস্ত, একটা কাহিনী মাথায় ঘুরতেছে। ভাবতেছি আগামী বই মেলায় গল্প বানাইয়া হট কেক বিকামু!
: রাত তিনটা বাজে। কাহিনী ক। দেখি ঘুম আসে কিনা!
: কাহিনীটা পুরা মৌলিক, কেউ এইখানে যৌগমূলক বানাইয়া লেখে নাই!নায়ক হইলো এইখানে বডি বিল্ডার, সাবেক মেলেটারী।
যুদ্ধ ভালো লাগে না বইলা চাকরী ছাইড়া এখন রিয়েল এস্টেটের ব্যাবসা করতেছে।
: নায়িকা কি ভিক্ষুকের মাইয়া?
: আরে না। নায়িকা হইলো আরেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর মালিক।
: তাইলে ভিলেন কেডা? তারেক জিয়া?
: আরে না। ভিলেন হইলো এলাকার বখাইটা এক পোলা।
জন্ম থিকা পোলিও। ডাইলের ব্যাবসা করে!
: নায়ক হইলো পালোয়ান আর টাকশালের খনি, নায়িকাও সেমন। ভিলেন বানালি পোলিওর রোগী। হটকেক তো গরম হইবো না!
: বুঝবি কেমনে? আমি নিজেই তো বুঝতেছি না!
: দোস্ত, ঘুম ধরছে। কাইলকা রাইতে মোবাইল চালু থাকবো।
তোর নম্বর ব্লক করুম না, সোয়ার আপন গড। তোর বাকি কথা শুনুম নে!
ফোন রাইখা মাজহার ঘুমাইতে গেলো!
আমাবস্যার পরের দিন.....
: দোস্ত, ঘুমাইতেছিলা?
: না দোস্ত, তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম। রাত ৪ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর তুমি আমার ফুন মারলা!
: দোস্ত, কাহিনীটা মাথায় ঘুর ঘুর করতেছে। ফিনিশিং কি দিমু বুঝতেছি না!
: ও আচ্ছা, একখান কাম কর, তোর পোলিও হওয়া ভিলেন নায়িকার শালীরে ভরা ময়দানে রেপ করবে! রেপ করনের পর ময়দানে দাবানল লাগায় দিবে। দাবানলের আগুনে নায়কের রিয়েল এস্টেটের গোডাউন পুইড়া গেলে সেই শোধ নিবে।
নায়ক রকেট লান্ঞ্চারের মাথায় বসাইয়া লালবাগ জেলখানায় চেঙ্গা মাইরা আসবে! পুরাই যৌগিক কাহিনী হইয়া যাবে, দুনিয়াবাসী বাদ দেও, ইউরোপের লার্জ হেড্রন কোলাইডার দিয়াও তার খোজ পাওয়া যাবে না!
: কি কইলা এইটা? ভিলেনরে এমন কড়া শাস্তি দিও না। খুব বেশী হইলে নদীর পাড় নিয়া দুই চটকানা দেওন যায়, মাগার এইটার জন্য লালবাগের লালদালান দেখানোটা অবিচার হইয়া যায়। জনগন আন্দোলনে নামবে!
: মানে? তুই ভিলেনরে দুই চটকানা দিবি শালীর গায়ে দাবানল জ্বালানোর জন্য, কেমনে কি? দেশের আদালতে কি আইন নাই?
: আছেতো, কিন্তু ভিলেনের ভালোবাসা এতো ফেলনা না। তুইই বল ভিলেনের জায়গায় আমি হইলে কি এমুন কিছু করতে পারতি?
: তুই মানে? কাহিনী কি?
: কিছু না। বাদ দে।
আমার মন উদাস হইছে। তোর খবর কি? কি অবস্হা?
: রাইত চারটার সময় আমার ডানসাইডে চিত হইয়া শুওনের অবস্হা ছিলো। তন্দ্রা ভালাই লাগছিলো। মাগার তোর রিংটোন শুইনা আমার বেডমেটের ঘুম ভাংছে। আমারে গুতা মাইরা কয়,"৬-৭ খান কল আইছে, সাইলেন্ট করতে কি আঙ্গুলে বিষ হয়?" আমি ফোন রাখলাম, কালকা থিকা মোবাইল সাইলেন্ট রাখমু!
মাজহার ফোন বন্ধ কইরা ঘুম দিলো মুখ হা কইরা!
আমাবস্যার দুই দিন পর.....আকাশে ফক ফকা তারা আর আকাশের কুনায় ঝুলে চিকনা চান একখানা!
: দোস্ত, ঘুমাও?
: না, ডাব গাছ গুনি।
সন্ধ্যার সময় চক্ষু বন্ধ কইরা গুনি ডাব গাছ!
:চেতো কেন?
: সত্যি কইরা বলতো কাহিনী কি?
: দোস্ত মন খান বেচেন হইছে। তুমি তো জানো আমি কাম কাইজ করি না। একজনরে মনে ধরছে। প্রথমে বুঝি নাই মনে ধরছে, মাগার দুই দিন পর কাহিনী ক্লিয়ার হইছে!
: মাইয়াডা কেডা?
: আছে একজন!
: খুব বড় লোকের মাইয়া,তাই না?
: হ, খালি বড় লোক না, মাইয়ার বাপ বিশাল একজন লোক, লম্বায় ৬ ফুট!
: ধুশ শালা, কইছি মেলা টাকার মালিক, তাই না?
: মনে হয়, ফেসবুকের ফটুক দেইখা তো তাই মনে হইলো!
: বয় ফ্রেন্ডও মনে হয় হেভী বড় লোক, তাই না?
: ওর বয় ফ্রেন্ড নাই।
: তাইলে সমস্যা কি?
: সমস্যা হইলো ওর জামাই আছে!
: কস কি? ঐ তুই ফোন রাখ! ফোন রাখ! আবার ফোন মারলে তোরে আমি নিজেই লালবাগে চেন্ঙ্গা মারুম!
মাজহারের মনে হলো ১ সপ্তাহ টানা জ্বরে ভুগার পর সে এক কাপ চা মুখে দিছে যার স্বাদ হলো যখ্যের তিতা!
আমাবস্যার চারদিন পর..চাদ মোটামোটি হ্রষ্টপুষ্ট......
: দোস্ত, ঘুমাও না পেয়ার করো?
: না, পুলিশ দাবড়াইতেছি, একটু আগে রুমে আইছিলো চুরি করতে, ধরা খাইয়া পলাইতেছে!
: দোস্ত চেতো কেন?
: সন্ধ্যা ৮ টার সময় কোনো ছাত্র নিশ্চয় বাইরে বাইরে ডেটিং কইরা ঘুমায় না!
: না দোস্ত, আসলে মনটা বেচেন!
: হুমমম
: দোস্ত, অখন আমি কি করুম?
: মাইয়াটা কি তোরে ভালোবাসে?
: মনে হয়।
আজকা ইনডাইরেক্ট তার রূপের গুন গান গাইলাম, মিচকি হাসি দিছে!
: হুমমম.....ওর জামাই কি খুব ঘাড়তেড়া?
: হ....ঘাড়ের রগ সবকয়টা ত্যাড়া!
: লোক কেমুন?
: পুরাই হারামজাদা! মন চায় সামনে পাইলে বটতলায় নিয়া নাইড়া কইরা ৫ মিনিটা তবলা বাজাইয়া দুই গালে জুতাইতে পারতাম, তাইলে শান্তি পাইতাম!
: হুমমম.....মাইয়াটার কাছ থিকা আগে কনফার্মেশন ল। তারপর দেখি কি করন যায়! তুই আমার দোস্ত, তোর কিছু হইবো এইটা আমি হইতে দিমু না! মাইয়া কনফার্ম করলে, বাকী সব দায়িত্ব আমার উপর!
: সত্যি কইলা দোস্ত?
: কসম! অখন ফোন রাখ! একটু বিজি আছি!
মাজহার ফোন রেখে পাশের রুমে গেলো!
আমাবস্যার পাচ দিন পর....চাদ মামা গর্ভবতী হইতাছে!
: দোস্ত, গায়ে কতো গোস্ত, কেমুন আছো?
: ফূর্তি কেন? ঈদের চানের তো অখনও মাস খানেক দেরী!
: এমনেই দোস্ত। একটু খুশী হইতে পারুম না?
: তা হইবা না কেন? তো খবর কও!
: দোস্ত, মাইয়া কইছে মাইয়া কি কইছে জানো? কইছে যেহেতু তার সাথে আমার সম্পর্ক অন্যরকম সেহেতু বাসায় আইসা আমি জানি সবার সাথে পরিচিত হই। এরকম বাসায় যাওয়া আসা করলেই নাকি সম্পর্ক পরিণতির দিকে যায়!
: তাইলে তো কাহিনী ভালোর দিকে। ডিভোর্স কবে দিবো কিছু কইছে?
: ওগুলা নিয়া নাকি অখন ও ভাবে না।
জীবনে নাকি ওর অনেক কষ্ট আছে, তাই নাকি বলার লোক নাই, কাউরে বিশ্বাসও করে না! দোস্ত কালকা তোমার লগে একটু দেখা করুম! টাইম দাও!
: সন্ধার পর বাসায় আছি। আইসা পর!
: ওকে দোস্ত!
আমাবস্যার ৬ দিন গত হইছে... ফকফকা আকশের বদলে মেঘলা আকাশ পুচকা পুলাপানের হিস্যুর মতো বৃষ্টি পড়তেছে!
শাহেদ মাজহারের বাসায় সোফায় বসে আছে। দু জনে মুখোমুখি!
: দোস্ত, আমার খুব ডর করতেছে।
: ডরের কিছু নাই। তাগো ফ্যামিলির লোকজন কেমুন?
: ফ্যামিলি সমস্যা না, জামাইটা এমনে ভালো।
মাগার যখন জানবার পারবো তখন আমারে বটিকাবাব বানাইয়া গাধারে খাওয়াইবো!
: ঐটা ঐ মাইয়ারে ক...আগে ডিভোর্স দিবো। তারপরই তোগো বিয়া!.....কইতে পারবি না?
: হ পারুম!
: তাইলে কালকাই ক। দেরী করিস না!
: ওকে
মাজহারের বাসা থিকা শাহেদ বিদায় নিলো!
আমবস্যার ৬ দিন....আজকা আকাশের ডায়রিয়া লাগছে...হেমন্ত কালে বর্ষাকালের বৃষ্টি!
: দোস্ত, আছো?
: এতক্ষন কই আছিলি? রাত ১ টা বাজে! ঘুমাস না?
: কেবল বাসায় আসলাম। মাথাটা নষ্ট!
: কেন কি হইছে?
: ওগো বাসার সামনে থিকা ফিরা আসছি। কারেন্ট আছিলো না।
বেল টিপলাম ১ ঘন্টা। পরে বুঝলাম কারেন্ট নাই দেইখা বেল বাজেনাই!
: আরে আমাগো বাসায়ও কারেন্ট নাই। তা তুই দরজায় টোকা মারতে পারস নাই? উজবুক!!
: দরজায় টোকা দিলে ব্যাথা লাগে!
: শালা! ওর লগে আর কথা হয় নাই?
: হইছে!
: কি কয়?
: কইছে আমি নাকি একটা উজবুক!
: ঠিকই কইছে! অখন কি করবি?
: আ....আ....আ....মি ভাবতেছি ওর জামাইয়ের লগে কথা কমু!
: তারপর?
: জানি না!
: কথা ক তুই। যদি কিছু কয় আমারে জানাইস। তুই আমার দোস্ত, তোর গায়ে ফুলের টোকা পড়তে দিমু না।
বুঝছস?
: হ।
: কি কবি?
: কমু যে ওর বৌ ওর লগে কথা কইতে চায়। আমরা এক অপরকে ভালোবাসি।
: হ, ডাইরেক্ট কবি। আমি থাকমু তোগো লগে।
কালকা ডেট ফালাইস না। তোর ভাবীর কালকা সব বন্ধ। আমরা একসাথে বাসায় একটু সময় কাটামু!
: ওকে দোস্ত!
আমাবস্যার ৭ দিন পর......আজকা ঠাটাইয়া রোইদ পড়ছে, বাইরে একখান ফ্রাই পেনে আন্ডা নিয়া বাইরে খাড়ায় থাকলে পোচ হইয়া যাবে!
হঠাৎ শাহেদ মাজহারের বাসায়। শাহেদের চেহারা দেখেই মেজাজ খিচে আছে মাজহারের!
: দোস্ত, সরি ডিস্টার্ব করলাম।
: তোরে না কইলাম কাইলকা আইতে!
: বুকের ভিতর ধুক ফুক করতেছিলো! কিছু কথা না কইলেই না!
: কি এমুন জরুরী কথা?
: দোস্ত, আমি তোমার কেমন দোস্ত? তুমি কি আমার কিছু হইতে দিবা?
: আরে ডরাস কেন? আমি একটু পাগলা, তাই বইলা নিজের দোস্তের কিছু হইলে আমি চুপ থাকুম কেন? তোগো লিগা আমার জান কুরবান।
বয়, আমাগো লগে এক সাথে খাইয়া যা। তোর ভাবী আজকে গরূ ভূনা আর খিচূড়ি রানতাছে!
: দোস্ত ভাবীরে একটু ডাকবা?
: ওকে।
মাজহার কীচেন থেকে শাহানাকে ডেকে নিয়ে আসে!
শাহানা: কি হলো? গরুটা একটু নাড়তে হবে তো! আরে শাহেদ দেখি! কেমন আছো?
শাহেদ চুপ করে আছে!
মাজহার: আরে ওর স্ক্রু ঢিলা। তোমাকে বলা হয়নি। ও একটা মেয়ের প্রেমে পড়ছে! অখন মাথা নষ্ট!
শাহানা: কি হইছে শাহেদ?
মাজহার: কিরে চুপ করে আছিস কেন?
শাহেদ উঠে শাহানার সামনে দাড়িয়ে বললো," শাহানা, আই লাভ ইউ।
অখন বাকী সব তোমার হাতে!"
শাহানা হা হয়ে গেলো, মাজহারও হা হয়ে গেলো। কীচেনে গরু পোড়ার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।