আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওয়াদার চেয়েও বেশি কাজ করেছি

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইশতেহারে দেওয়া ওয়াদার বেশির ভাগই পূরণ হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা ওয়াদার চেয়েও বেশি কাজ করেছি। তিনি বলেন, আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারলে দেশের দারিদ্র্যের হার ২৬ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকার সম্পর্কে এ মূল্যায়ন ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রধানদের ভাষণ দেওয়ার অংশ হিসেবে এ ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ প্রধান। দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অভিনন্দন ও শুভাশিস জানাই আমাদের কষ্টসহিষ্ণু, সাহসী এবং প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা যুবসমাজকে।

বিশেষ করে এবারের নির্বাচনে যে তরুণরা প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছে, তাদের জন্য শুভ কামনা জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের নির্বাচিত সরকার তার অঙ্গীকার পালন করেছে। আমরা ২০১৩ সালে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ইন্টারনেট সুবিধা গ্রাম পর্যন্ত পেঁৗছে দিয়েছি। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পাঁচ বছরে ১২১ কোটি ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ১৭২টি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাথাপিছু আয় এখন ১০৪৪ ডলার। দারিদ্র্যের হার ৪১.৫ থেকে কমে ২৬ শতাংশের নিচে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়েছি ৬০ থেকে ৭০ ভাগ। ২০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের নূ্যনতম বেতন ৪১৭৫ টাকা করেছি।

গার্মেন্ট শ্রমিকদের নূ্যনতম বেতন ৫ হাজার ৩০০ টাকায় বৃদ্ধি করেছি। শেখ হাসিনা সরকারি চাকুরেদের বয়স বাড়ানো, পেশাজীবীদের পদমর্যাদা বাড়ানোসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, পাঁচ বছরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদেশে ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছি। আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। ১৬ লাখ কৃষককে বিনামূল্যে সার দেওয়া হয়েছে।

কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা করেছি। ১৬ হাজার ২৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করেছি। গড় আয়ু বেড়ে এখন ৬৯ বছর। মাতৃমৃত্যু হার ও শিশুমৃত্যু হার কমিয়েছি। সাক্ষরতার হার ৭১ ভাগে উন্নীত হয়েছে।

২৬ হাজার ২০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছি। ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ ও ৫৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার ৬টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। আমি ওয়াদা করেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ মানুষকে উপহার দেব। ৪ হাজার ৫১৬টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

সব জেলায় ই-সার্ভিস সেন্টার চালু হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স চালু করেছি। মোবাইল ফোনে থ্রি-জি সেবা চালু করেছি। ৩ কোটি ৮৬ লাখ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ১১ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশে।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র ট্রাইব্যুনালে জিতে সমুদ্র জয় করেছি। ব্রিজ-কালভার্ট-সড়ক-মহাসড়কসহ যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। ১০ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বিচারের রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সর্বাত্দক চেষ্টা করেছি বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে। ২০১০ সাল থেকে বার বার আমি বিএনপি নেতাকে আহ্বান জানিয়েছি আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় আসতে। তিনি সংলাপের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন। বার বার আমাকে আলটিমেটাম দিয়েছেন।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.