৭১ এ ছোট ছিলাম, যুদ্ধে যেতে পারি নাই, এই আক্ষেপ ফুরাবার না
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আজ আদালতে অসাধারণ একটি বক্তব্য দিয়েছেন। অল্প কিন্তু মন স্পর্শ করা বক্তব্য।
'৩৩ বছর ধরে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সর্বদা আমি মাথা উচু করে চলেছি। এমন একটি ঘটনাও নেই যেখানে আমি একজন শিক্ষক বা মানুষ হিসাবে ব্যর্থ হয়েছি।
১৯৭৬ সালে আমি এবং আমার ভাই কর্ণেল আবু তাহের বিশেষ সামরিক আদালতে বিচারের সম্মুখিন হয়েছিলাম। আমার ভাইয়ের ফাঁসি হয়েছিল আর আমার হয় যাবজ্জীবন। সেটা সম্ভব হয়েছিল কেননা বিশেষ সামরিক আদালত স্বাধীন ছিল না এবং সকলে জানতে আইনের নামে কি হচ্ছে।
আজ আমি আবার আদালতে বিচারের সম্মুখীন। তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। আমার সামনে যিনি বিচারক হিসাবে আছেন তাঁর সুযোগ আছে যা তিনি সঠিক মনে করেন সেটাই বলার। কোন চাপ ছাড়া রায় দেওয়ার অধিকার তাকে দেওয়া হয়েছে।
আমি আমার বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমি কোনো ভুল করিনি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পাশে দাড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্ব এবং আমি যদি আবার কখনো সুযোগ পাই তাহলে আবারো দাড়াবো।
যা আমি ১৯৯০ সালে করেছি এরশাদ পতনের সময়, ২০০১ সালে সামসুন্নাহার হলে ছাত্রীদের উপর হামলার সময় তাদের পাশে দাড়িয়েছি। একই কাজ আমি আবার করেছি গত ২০, ২১, ২২ ও ২৩ আগস্ট।
মহামান্য আদালত, রায় দেওয়ার আগে আপনার ভুলে গেলে হবে না যে, সব আইন আইন নয়, সব রায় রায় নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক অথবা কোনো ছাত্র শকুন বা শেয়ালের খাদ্য হবে না। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।