সাধারণ মানুষের সাধারণ কথা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়া সত্ত্বেও একজন মুসলমান হিসেবে নামাজ পড়া হয়নি কখনও। বিগত পাঁচ বছরে জুমার নামাজও পড়া হয়নি। কিন্তু নামাজের শিক্ষা এবং নিয়মিত নামাজ পড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছেন আমেরিকা থেকে। অনেকের কাছে হয়ত কাল্পনিক মনে হতে পারে।
তবে ঘটনা সত্যি। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশীরা কিন্তু আমাদের চেয়ে অনেক ধার্মিক। তাদের নামাজ বাদ পড়ে না কুটি কয়েক ছাড়া। আমাদের দেশে তার উল্টো চিত্র। আমরা নামাজ পড়ি না কুটি কয়েকজন ছাড়া।
অনেক ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ তিনি। একটা নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসেন! প্রতিটি দিনের কিছু সময় আমরা উনার সাথে কথা বার্তা বলার সুযোগ হয়। সবসময় পজেটিভ মানসিকতার অধিকারী তিনি। বিজনেস এওয়ার্ড নেয়ার জন্য কোম্পানীর ম্যানেজিং পার্টনার হ্ওয়ায় মে'১২ মাসের মাঝামাঝিতে আমেরিকায় যাওয়া। বৈচিত্র্যময় অনেক কিছু দেখে এসেছেন ১৫/২০ দিনের সফরে।
দীর্ঘ সময় ধরে পরিবারের কিছু মানুষ আমেরিকায় বসবাস করে আসছিলেন। সেই সূত্র ধরে থেকেছেন তাদের বাসায় এবং ঘুরেছেন অনেকগুলো রাজ্যে এওযার্ড পরবর্তী সময়ে। তিনি সবচেয়ে বেশী মুগ্ধ হয়েছেন এত বছর ধরে আমেরিকার মত দেশে থেকেও তার পারিবারিক সদস্যরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন এবং নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করছেন। তাদের সান্নিধ্যে আস্তে আস্তে নামাজের দিকে ঝুকে যান তিনি। এখন তিনি নিয়মিত নামাজ পড়ছেন।
বাংলাদেশে এসে সবাইকে বলেছেন নামাজ ক্বাজা করবেন না। এই কথাগুলো শুনে সবাই চমকে গেলাম। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় ছাড়া কোন উপায় নেই। কারন আল্লাহর রহমত আর হেদায়াত কার উপর কখন আসে আমরা কেউ জানি না। সবই তার খেলা, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
এই খেলাটুকু তাকেই মানায়, কারন তিনি আমার ষ্রষ্টা।
তাই আসুন, যে অবস্থায় থাকি না কেন, তাকে স্মরণ করি!!! আল্লাহ আমাদের উপর রহমত, বরকত আর হেদায়াত দান করুক! আমীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।