সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ http://www.socialnewsbd.com/
ধুমপান ছাড়া কোনো সহজ কাজ নয়। যারা ১৫-২০ বছর ধরে ধুমপান করছেন তাদের জন্যে ধুমপান ছাড়া খুব ই কঠিন কাজ। কিন্তু কাজটা অসম্ভব নয়। ধুমপানের কারনে সামাজীক এবং পারিবারিক কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা অনুধাবন এবং পারিপার্শিক সমর্থন নিয়ে ধুমপান ছাড়া যায়।
কিভাবে ধুমপানের এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন তার ধাপে ধাপে বর্ননা দেয়া হল।
১। প্রথমে ধুমপান কেনো ছাড়বেন তা খুজে বের করুন। প্রতিটি মানুষ ই ভিন্ন, তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন কারনটি ই বেছে নিন ধুমপান ছারার জন্যে। এটা হতে পারে আপনার সন্তান এবং পরিবারের ক্ষতির কথা মাথায় রেখে অথবা ধুমপানের শারিরিক কূফলের কথা মাথায় রেখে। একটা পরিষ্কার লক্ষ্য ধুমপান ছারার জন্যে সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়।
২। যেদিন ধুমপান ছাড়বেন তার তারিখ নির্ধারন করুন, তবে এটা ১ সপ্তাহের বেশি যেন না হয় কারন বেশি দিন হলে আপনি হয়ত বারবার তারিখ পরিবর্তন করবেন। এই ৭ দিনে ধিরে ধিরে ধুমপানের পরিমান কমিয়ে দিন। যদি আপনি এই কয়দিন এই ভেবে বেশি ধুমপান করেন যে আর তো কখনো করবো না তাহলে যেদিন ধুমপান ছাড়বেন সেইদিন আপনার মন বেকে বসবে।
৩।
আপনি যে ধুমপান ছাড়বেন সেটা সবার সাথে শেয়ার করুন। পরিবার এবং বন্ধুদের কাছে শেয়ার করলে আপনার দায়বদ্ধতা বাড়বে এবং তাদের কাছে ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাবেন যে আপনি তাদের কাছ থেকে কি চান, সাধারনত হয়ত চাইবেন কেউ যেনো আপনার সামনে ধুমপান না করে। কোনো বন্ধুকে আপনার সাথেই ধুমপান ছাড়তে উদ্বূদ্ধ করুন। সবার সাপোর্ট ধুমপান ছাড়তে অনেকখানি সহায়তা করে।
৪।
লিখে রাখুন বা মনে রাখুন কখন আপনি ধুমপান করেন। হতে পারে সেটা খাওয়ার পড় অথবা কাজের বিরতির সময়ে। আপনি যখন মনে রাখবেন আপনার ধুমপান করার সময় কখন, তখন আপনি সেই সময় আসার আগেই নিজের মনকে মোটিভেট করতে পারবেন অন্য কোনো কাজের জন্যে।
৫। যেদিন ধুমপান ছাড়বেন, সেদিন আপনার রুটিন পরিবর্তন করুন।
সেই হবে একটা নতুন দিন যা আপনাকে স্বাস্থের প্রতি যত্নবান হতে শেখাবে, তাই নিজেকে দাড় করান পুর্বের ভুল ত্রুটি শুধরিয়ে। যদি আপনার পূর্বের রুটিন থাকে এরকম, আপনি হাটতে বের হবেন, আপনার কুকুর কে নিয়ে হাটবেন এবং সকালের নাস্তার আগে একটা সিগারেট খাবেন, তাহলে এই রুটিন পরিবর্তন করুন। ঠিক করুন এভাবে, আপনি আপনার কুকুর কে নিয়ে হাটবেন, এবং বাসায় ফিরেই গোসল করে নিবেন গরমের ভাবটা দূর করার জন্যে।
৬। নতুন কিছু করুন এবং নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন।
এমন কিছু যা আপনাকে শারিরিক ভাবে ধুমপান থেকে বিরত রাখে। কিছু উদাহরন হতে পারে সাতার কাটা, ইয়োগা, ভিডিও গেইম খেলা ইত্যাদী। এমন কিছু যায়গায় বেশি সময় ব্যায় করুন যেখানে ধুমপান নিষিদ্ধ যেমন পশুদের আবাস অথবা শিশুদের হাসপাতাল ইত্যাদী।
৭। ধুমপান ছাড়ার পর আপনার মনের ইচ্ছাকে লিখে রাখুন।
ধুমপান ছাড়ার প্রথম ১ সপ্তাহের ফিলিংস খুব ই খারাপ হবে, তাই এমন ভাবে লিখুন যাতে আপনার আবেগ বা অনুভূতি আপনাকে স্পর্শ করতে না পারে, আপনার সাফল্য এবং মেজাজ যাতে একটা উন্নতির পথে নিয়ে যায় সেভাবে লিখুন। কয়েকমাস ধরে এভাবে লিখলে দেখবেন আপনার লেখায় পরিবর্তন এসেছে এবং ধুমপান না করে আপনি ভাল আছেন সেটা আপনি লিখছেন। যদি আপনি কখোনো আবার ধুমপান শুরুও করেন, এই নোটগুলো আপনাকে সাহাজ্য করবে ধুমপান না করার জন্যে।
৮। নিজেকে প্রতিদিন পুরষ্কৃত করুন ধুমপান না করার জন্যে।
একটি জাড় বা মাটির ব্যাংকে টাকা জমান প্রতিদিন যে টাকা আপনি ধুমপানের জন্যে ব্যয় করতেন। কিছুদিন পর দেখবেন এতো বেশি টাকা জমে গেছে যেটা দিয়ে আপনি হয়ত খেলাধুলার কিছু কিনতে পারছেন অথবা নিজের শারিরিক আরামের জন্যে কোনো কিছু কিনতে পারছেন।
মনে হয়না সামুর ব্লগার দের খুব একটা কামে আইবো
পোস্ট টি পূর্বে এখানে প্রকাশিত : কিভাবে ধুমপানের আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।