আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন মানবিক হই

রোহিন্গারাই পৃথিবির সকল মানবতার একমাত্র টার্গেট হয়া উচিৎ। আপনার বাড়ির সামনের রাস্তায়/বস্তিতে যে মানুষগুলি না খেয়ে মরে তাদের মানবিকতা ভুলেও দেখাতে যাবেন না। কারন তারা মুসলিম কিনা আপনি শিওর না। রোহিন্গারা যে মুসলিম সেটা শিওর। তাছাড়া ঘরের এত্ত কাছে মানবিকতা দেখালে আপনার ফুটানি কমে যাবে।

আরেকটা ব্যাপার আছে। ঘরের সামনের বস্তিবাসীর জন্য কোন মানবিক কথা বাড়তা বলাটা রিস্কি। দেখাযাবে আপনাকেই নিজের গাটের পয়সা খরচ করে তাদের জন্য কিছু করতে হবে। তা না করে রোহিন্গাদের জন্য ব্লগ/ফেসবুক লিখে ভরিয়ে ফেলুন। একপয়সাও খরচ নাই।

ফ্রিতে ফ্রিতে মানবিকতাও হয়ে গেল। সকল দ্বায় সরকার এর উপর। আর পাহাড়ী গ্রাম বাসীদের উপর। আমাদের কি। ভাল কথা, এই পাহাড়ী গ্রাম বাসীদের তো নাকি রোহিন্ঘাদের নেয়ার ইচ্ছা নাই।

থাকবে কেমনে? তারা কি মুসলমান? তাদের যেমন ঈমান এর সর্টেজ ঠিক তেমনি তাদের মানবিকতারও সর্টেজ। তাদের তো উচিৎ নিজে না খেয়ে হলেও রোহিন্ঘাদের খাওয়ানো। নিজের সার্ট খুলে রোহিন্ঘাদের দিয়ে দেয়া। তোরা মানবিকতা না দেখিয়ে যাবি কই। প্রয়োজনে তোদের মানবিকতা আমরাই ঢাকায় বসেই দেখিয়ে দিব।

আমাদের তো আর কিছু দিতে হবে না। হেহে। কিছু রোহিন্ঘাদের নাকি অলরেডি আমরা পালতেছি। হতে পারে তারা বাংলাদেশি না এবং তারা ক্রাইম ছাড়া আর কিছু করে না। কিণ্তু তাদের পাইলা আমাদের ধর্মানুভুতিতে যে কি প্রবল আরাম হচ্ছে তা কি ভেবে দেখেছেন? তাছাড়া তাদের এইসব ক্রাইম তো আর ঢাকায় বসে আমরা দেখি না।

ঐ পাহারী এলাকায় কি ক্রাইম হল তাতে আমাদের কি। ধর্মানুভুতিটাই মুল কথা। ১৯৭১ সালে হিন্দুরা সাহায্য করসিলো বইলা বান্গালি বাইচা গেসে। বড় ভাই দের নিয়া অনেকের বাড়ি গিয়াও আমরা তাদের পাই নাই। বড় ভাই দের কাছে আমরা ছোট হইসি।

আজ সেই উসিলা দিয়া কিছু রোহিনঘা দেশে ঢুকানো যেতে পারে। যাদের ঈমান মজবুত না তাদের এই কথা বললে মন গলবে। ১৯৭১ এ কত জন মরসিলো আর বার্মাতে যে মাত্র ৩৫ জন মরসে সেই সব কথা বলার দরকার নাই। ঘটনা পেচায় যাবে। আর সরকার যদি আমাদের নায্য দাবী এ অতিষ্ট হয়ে রোহিংগাদের ঢুকতে দেয় আর তাদের সাহায্য করার খড়চ বাবদ রোহিন্ঘা ট্যাক্স ধার্য করে তাহলে কিন্তু সবই শমশির নিয়া জিহাদ এর প্রস্তুতি রাইখেন।

জান থাকতে কেউ এক পয়সাও দিবেন না। আমিন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।