মুসলমানগণের বড় সমস্যা তারা তাদের শত্রুদের চেনে না। জাতিসংঘ ওরফে ইহুদী সংঘ ইহুদী-নাছারা ও মুশরিক কর্তৃক মুসলমানগণের ক্ষতির জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মুসলিম দেশসমূহের উচিত এই ইহুদী সংঘ থেকে বেরিয়ে নিজেদের শক্তিশালী একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
১৯৪৫ সালে এই ইহুদী সংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলমানগণের কোনো সমস্যার সমাধান দেয়নি; বরং সমস্যাগুলোকে জিইয়ে রেখেছে। কাশ্মীর, প্যালেস্টাইন, কসোবো, বসনিয়া, চেচনিয়া, মিন্দানাও, আরাকান, ইরাক, আফগানিস্তান কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
অথচ সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান, ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে বিচ্ছিন্ন করেছে। খ্রিস্টান অধ্যুষিত অজুহাতে এই দুটি অঞ্চলকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ মুসলমানগণের কোনো সমস্যা এই ইহুদী সংঘ আজ পর্যন্ত সমাধান করেনি।
বাংলা ভাষার স্থান ৪র্থ হওয়া সত্ত্বেও ইহুদী সংঘ বাংলাকে এই সংঘের ভাষা হিসেবে মর্যাদা দিচ্ছে না। অথচ এই সংস্থার চরম অবস্থায় বাংলাদেশ তার সীমিত সশস্ত্র বাহিনী পাঠিয়ে এই সংস্থাকে সহায়তা করেছে।
এই সংস্থা মুসলমানগণের কোনো উপকার, যা যতোই ন্যায়সঙ্গত হোক না কেন- তা করবে না।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মায়ানমারে মুসলমানদের উপর লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞের খন্ডচিত্র
এ পর্যন্ত জালেম বৌদ্ধরা আরাকানে প্রায় ৬০০০ মুসলমান নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে হত্যা করেছে বলে স্থানীয় সুত্র নিশ্চিত করেছে।
১. অসংখ্য মুসলমান নারীদেরকে তারা ধর্ষণ করে হত্যা করেছে ও পরবর্তীতে লাশ গুম করেছে।
২. তারা মসজিদ থেকে নামায পড়ে বের হওয়ার পর পরই ১০ জন মুসলমানকে জবাই করার মাধ্যমে এই হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এ পর্যন্ত তারা ৩০ টির উপর মসজিদ এবং অনেক মাদ্রাসা জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং ইমামদেরকে জবাই করেছে।
৩. আগুন দিয়ে তারা মুসলমানদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। আগুন নিভানোর নাম করে তারা পানির বদলে তেল ঢালছে। কোন মুসলমান আগুন নিভাতে বেরিয়ে আসলে তাকে গুলি করে হত্যা করছে।
৪. বাড়ী-ঘর থেকে বিতাড়িত মুসলমানরা যখন প্রাণ নিয়ে ট্রলারে করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসছিলো, তখন এদেশের জালেম সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদেরকে জোর করে ফিরিয়ে দেয় এবং কয়েক শত অসহায়-অভুক্ত মুসলমানসহ ৩ টি ট্রলারকে বৌদ্ধ নাসাকা বাহিনী তাদেরকে সাগরে ডুবিয়ে দেয়! ২ টি ট্রলার আশ্রয়ের সন্ধানে ভেসে চলতে থাকে অজানার উদ্দেশ্যে। এছাড়াও বর্তমানে ২০ টি ট্রলার শত শত মুসলমানদেরকে নিয়ে সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে আশ্রয়ের সন্ধানে।
ঐ ট্রলারগুলোতে খাবার-পানীয়ের অভাবে ইতোমধ্যে অনেকে মারা গেছে।
৫. এছাড়াও কৌশল হিসেবে তারা মুসলমানদের মৃতদেহকে মাথা ন্যাড়া করে ও বৌদ্ধদের পোশাক পরিয়ে বৌদ্ধরা মারা গিয়েছে বলে অপপ্রচার করেছে।
৬. সেখানকার অসহায় নর-নারীরা এই বলে কান্নাকাটি করছে যে, ‘পুরো বাংলাদেশে আমাদেরকে সাহায্য করার মতো কোন মুসলমান কি নেই’?
আশ্চর্যের বিষয় হলো- জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত নির্বিকার, নিষ্ক্রিয়, নীরব। যে জাতিসংঘ খ্রিস্টানদের গায়ে একটু টোকা লাগলে আর্তচিৎকার দিয়ে উঠে। যে জাতিসংঘ খ্রিস্টানদের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে তাদেরকে আলাদা রাষ্ট্র করে দেয় সে জাতিসংঘ মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যার ব্যাপার নিশ্চুপ, নিথর।
মুসলমানগণ শত্রুকে চিনুক। এটাই আমাদের প্রথম কাজ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।