আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিনিয়োগকারীর কথায় উত্তেজিত ড. কামাল

ফারিয়াজ বৃহষ্পতিবার ২ সিসি রিটের শুনানির পর ড. কামাল হোসেন আদালত থেকে বের হয়ে তাঁর চেম্বারের দিকে যাচ্ছিলেন । এ সময় জাহাঙ্গীর নামে এক বিনিয়োগকারী তাকে উদ্দেশ্য করে বিনয়ের সাথে বলেন ‘স্যার পরিচালকরা তো টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে চায় এটা হয় কিভাবে? ওরা তো কোম্পানিতে থাকাকালে ফাষ্ট কোয়াটারে ভাল ইপিএস (শেয়ার প্রতি আয়) দেখায়। এরপরে সেকেন্ড কোয়াটার, থার্ড কোয়াটার ও ফোর্থ কোয়াটারে এই ইপিএস খারাপ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারনা করে”। প্রতিউত্তরে ড. কামাল বলেন, আপনি প্রমান দেখাতে পারবেন? আপনি কে ? আপনার পরিচয় কি? ড. কামাল ওই বিনিয়োগকারীর কথায় এ সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আপনার পরিচয় দেন।

আমি মানহানির মামলা করব। প্রমাণ ছাড়া আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। আমাকে প্রমাণ দিলে ওদের বিরুদ্ধে কথা বলব। এসময় ওই বিনিয়োগকারীও পরিচালকদের নিয়ে নানা কটুক্তি করায় ড. কামাল আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। অন্য আইনজীবিরা ওই বিনিয়োগকারীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

পরে ওই বিনিয়োগকারী সাংবাদিকদের বলেন, আসলে আমি একটু বেশিই উত্তেজিত হয়ে গেছিলাম । কি করব বলেন, আমার ১০ বছরের নাতি আমাকে বলে, নানা তুমি কি মিথ্যা ব্যবসা কর। আজ ওই আইনজীবিদের কারণে আমরা সৎ পথে থেকেও মিথ্যুক হয়ে যাচ্ছি। আর ওনারা দেশের জন্য বড় বড় কথা বললেও আমাদের নিয়ে ভিন্ন কথা বলেন। এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা ।

দেশ স্বাধীন করতে আমরা পরিশ্রম করেছি। আর ওনারা কথার বুলি দিয়ে দেশপ্রেমিক বলে নিজেদের জাহির করেন। আর কত ধৈর্য্য ধরব। দেড়বছর ধরে অবাধ পতনে আজ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাড়িয়েছি। এখন মূতুকে ভয় লাগে না।

শুনানিতে আজ আদালতে যা ঘটেছে: নিধারিত সময় সকাল ১১ টায় কোটের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নতুন ছয় বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠানের কারনে দুপুর ১২ টায় কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের কোর্টে আইনজীবীরা শুনানির জন্য আবেদন করেন। এ আবেদনের কার্যক্রম শেষে জানা যায় এসইসির ২ সিসি ধারার শুনানি দুপুর ২ টার পরে শুরু হবে। এ সময়ে আদালত কক্ষে বাদী পক্ষের আইনজীবী ও বিবাদি পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তবে প্রথম বারের মতো এসইসির সদস্য হেলাল উদ্দিন নিজামী আজ আদালতে এসেছিলেন।

তার সঙ্গে ছিলেন এসইসির আইন বিভাগের সদস্য আব্দুল সালাম সিকদার। দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা আদালত কক্ষে ঢুকে ২ টার পরে শুনানি হবে বিষয়টি জেনে তারা চলে যান। এরপরে ২ টা ১০ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় । অন্যান্য রিটের মোশন গ্রহণের পর ৩ টা ২৯ মিনিটে ২ সিসির বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী ড. কামাল হোসেন তার আগের দিনের অসমাপ্ত শুনানি শুরু করে।

৩০ মিনিট তিনি শুনানিতে অংশ নিতে পেরেছেন। এরপরে তার শুনানি অসমাপ্ত রেখে আজকের দিনের মতো আদালত মুলতবী ঘোষনা করে। অসমাপ্ত শুনানি পূনরায় আগামী রোববার শুরু হবে। ৩০ মিনিটের শুনানিতে ড. কামাল আদালতে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তার কয়েকটি অংশ তুলে ধরা হলো । তিনি ২ সিসি ধারা বিষয়ে আদালতে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন এসইসির ২ সিসি গাইড লাইনের বিষয়টি নাকি আইনের প্রিয়াম্বলে রয়েছে।

কিন্তু প্রিয়াম্বলে এ ধরনের কোন গাইড লাইন নাই। ড. কামাল এসইসিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা প্রতারনা করেছে তারাই উপকৃত হয়েছে। কারো সীমাহীন ভোগের জন্য বাংলাদেশের জন্ম হয় নাই। নতুন করে ৫ শতাংশ শেয়ার রাখার মধ্যে দিয়ে এ জিনিস করা হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.