এতোদিন পত্রিকায় লিখলাম এবার ব্লগে লিখব শেয়ারবাজারের দরপতন কিছুতেই সামলানো যাচ্ছে না। ২০১০ সালের শেষের দিকে এ দরপত শুরু হয়, আর তা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে।
তবে ইদানীং দরপতন আরো চরম আকার ধারণ করছে। আজ ঝরে গেল একটি তাজা প্রাণ, কোন উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত সর্বস্ব হারিয়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নিলেন গোপীবাগের কাজী লিয়াকত আলী যুবরাজ। এতিম হলো ৪ বছরের মেয়ে মল্লিকা।
স্বামী হারালেন শহীদ নবী স্কুলের শিক্ষিকা তাহমিনা বেগম সাথী। শেয়ারবাজার নিয়ে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হলে বাজার অল্প সময়ে স্থিতিশীল হবে।
১. চাপ সৃষ্টি করে হলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরিয়ে আনতে হবে।
২. যারা শেয়ারবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন ঘাপটি মেরে বসে আছে তাদেরকে বাজারে অতীতের পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করতে বাধ্য করতে হবে।
৩. ব্যাংকগুলো বারবার ঘোষণা দিয়েও বাজারে ৫০০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেনি।
তাই তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে ৫০০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করতে চাপ দিতে হবে।
৪. সূচক যখন অনেক উপরে ছিল তখন ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজার থেকে অনেক মুনাফা তুলে নিয়েছিল। তাদের লাভ করা টাকার অংশ এখন বাজারে দিতে তাদেরকে বাধ্য করা উচিত।
৫. হঠাৎ হঠাৎ সিদ্বান্ত পরিবর্তন করা চলবে না, এতে বাজার আরো খারাপ হয়ে যায়। আর তখনই অল্প দামে শেয়ার ক্রয় করে এক শ্রেণীর সুবিধা ভোগী চক্র।
এরপর দাম বাড়লে সব বিক্রি করে টাকা নিয়ে যায় এবং দাম আবার পড়ে যায়।
৬. এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলোকে বাজারে আসতে অনুরোধ করা যেতে পারে। কিছুদিন আগে কথা উঠেছিল তারা বাজারে আসবে, কিন্তু এখন আবার সে কথা ঝিমিয়ে গেছে।
৭. তেতত্রিশ লক্ষ বিনিয়োগকারীর মানে তেতত্রিশ লক্ষ্য পরিবার, অতএব এ শেয়ারবাজারকে কিংবা বিনিয়োগকারীদের পটকাবাজ না বলে বরং কিভাবে তাদের আস্থা ফেরানো যায় তা জরুরী ভিত্তিতে করা উচিত।
৮. শেয়ারবাজার এখন অনেকটা হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগে আছে।
অতএব অনেক রক্ত দিয়ে অথাৎ টাকা দিয়ে এ বাজার কে সুস্থ করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
৯. শুধু বারবার মিটিং করলে হবেনা, এ পর্যন্ত যত মিটিং হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন না হলে বাজার ভালো হবেনা।
১০.এসইসিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা যত বেশি শক্তিশালী হবে বাজার ততো ভালো হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।