আউলা মাথার বাউলা পোলা। অনেকেই বলে যে, প্রেমে পড়লে নাকি বন্ধুরা সব পর হয়ে যায়। তখন দিনরাত ২৪ ঘন্টা মাথার ভেতর খালি জান্টুস পাখিই কিচির মিচির করতে থাকে। তার সংগ প্রত্যাশায় মন ব্যাকুল হয়।
বন্ধুদের সংগ আর ভাল লাগেনা।
আড্ডায় আর মন বসেনা। জান্টুসকে নিয়ে বন্ধুদের ফাযলামিও চরম শত্রুতা মনে হয়। অনেক সময় তো প্রেমঘটিত ব্যাপার নিয়ে বন্ধুদের ভেতর মনোমালিন্য , মারামারি আরও কতকিছুই না হয়ে যায়।
কিন্তু ঠান্ডা মাথায় একটু ভাবুন তো, প্রেম পিরীতি আর বন্ধুত্বের ভেতর কতটা ফারাক। বিয়ের আগে প্রেম, ভালবাসা বলে আমাদের সমাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন যা চলে তা নিছক টাইম পাস, নোংরামি, বাপের টাকার পকেট ফাঁকা করা এবং করতে চাওয়া ছাড়া আর কিছুই না।
সত্যিকার বন্ধুত্বকে এত নিচ পর্যায়ে কেমন করে আনা যায় তা আমার মাথায় আসেনা। বন্ধুত্বের স্থান অনেক উঁচুতে। যেকোন বিপদ বা পেরেশানির সময় যখন নিজেকে অসহায় বলে মনে হয়, তখন কেবলমাত্র একজন সত্যিকার বন্ধুকেই মনের কথা নির্ভয়ে খুলে বলা যায়, সাহায্য চাওয়া যায়। আপনার ওই পিরিতির মানুষকেও কখনও নিজের জীবনের সব কথা খুলে বলতে
পারবেন না। এটাই বাস্তবতা।
যদিও সত্যিকার প্রেম বা বিয়ের পর অনেক কথা শেয়ার করা যায় কিন্তু আমাদের সমাজে এমন নির্স্বার্থ সম্পর্ক খুব কমই দেখা যায়। সেক্ষেত্রে, আমার মনে হয় খুঁজলে সত্যিকার বন্ধুত্ব অনেক পাওয়া যাবে।
যাক অনেক কথা বলে ফেললাম। ফেসবুক থেকে পাওয়া এক বাস্তব গল্প দিয়ে শেষ করব। গল্পটা এরকমঃ
একটি ছেলে মারা যাবার তিন মিনিট আগে ২ টি মেসেজ করল, একটি তার প্রেমিকাকে এবং আরেকটি তার বন্ধুকে “আমি চলে যাচ্ছি”
প্রেমিকার উত্তরঃ কোথায় যাচ্ছ? ঠিক আছে পরে কথা হবে।
এটি শুনে ছেলেটি দুঃখ পেলো।
বন্ধুর উত্তরঃ আরে শালা একা কোথায় যাচ্ছিস, দাঁড়া আমিও আসছি।
এটি শুনে ছেলেটি হাসল এবং বলল,
“আজ আবার প্রেম; বন্ধুত্বের কাছে হেরে গেল। ”
___________________________________
শেষ কথাঃ আসলেই কোথায় বন্ধুত্ব আর কোথায় প্রেম পিরীতি !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।