আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগু ছাগু করে চিল্লায় যারা তারা আসলে কারা??

যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে...যা হবে ভালোই হবে... আমি কখনোই এই ব্যাপারটাতে জড়াতে চাই নাই। কারণ যাদের জন্ম সম্পর্কে সন্দেহ তাদের নিয়ে কথা বলার মানে হয় না। যারা একটা দেশে থেকে অন্য দেশের গীত গায় তাদের জন্ম সম্পর্কে সন্দেহ জাগাটা খুবই স্বাভাবিক.। যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।

। দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে না জুয়ায়। নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়। । কবি এখানে শুধু যে ভাষার কথা বলেছেন তা নয়।

এই সময়টাতে কবিতাটা কে প্রাসঙ্গিক করতে হলে পুরো দেশকে এটার ভিতরে নিয়ে আসতে হবে। ছাগুদের আমি ছাগু বলতে চাই না, যুদ্ধাপরাধী বা রাজাকার যাই বলেন না কেন শব্দগুলো খুব বেশী ভদ্র আর আভিধানিক হয়ে যায়। একটা শব্দই পারে তাদের সঠিক ভাবে তুলে ধরতে তা হলো- জারজ । শুনতে কেমন তা বিবেচ্য হওয়ার কথা নয়, বেইশ্যাদের সঠিকভাবে বলতে তো আমরা 'বেইশ্যা' বা 'মা**' ধরণের শব্দকেই ব্যাবহার করি,তাই না? কোন শব্দটা তাদের নিখুত ভাবে বর্ণনা করতে পারে তাই হলো আসল কথা। তারা যদি পাকিস্তানে থাকতো তাহলেও আমরা তাদের পাকি বলতে পারতাম।

কিন্তু তারা থাকছে এদেশে। তাইলে বুঝেন এবার- তারা নিজেরাও নিজেদের জন্ম নিয়ে সন্দিহান। এবার আসল ব্যপারটায় আসি। আপনার এলাকায় যখন কোনো চোরের পিছনে জনতা দৌড়ায় তখন চোরটা কি করে? আমি যা দেখেছি তা হলো- সে যদি কিছুটা আগাই থাকে তাহলে সেও চোর চোর করে দৌড়াতে থাকে। কারণ কি? নিজেকে বাঁচানোর জন্য।

অন্য কারও উপর নিজের অপবাদটা চাপানোর জন্য। এটা সব জায়গাতেই প্রযোজ্য। সব জানোয়ার অন্যকে জানোয়ার বানিয়ে নিজেকে মানুষ বলে চালাতে চায়। তারা শুধু সূত্র খুজবে। বিন্দু মাত্র উসিলা যদি পায় তাইলে আপনার উপর ঝাঁপাই পড়বে।

আপনি তখন বিস্ময়ে বিস্মিত হয়ে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। যখন হুঁশ হবে তখন আপনি দেখবেন আপনি এরইমধ্যে চোর বলে পরিচিতি পেয়ে গেছেন। ঠিক এই ব্যপারগুলা কাজে লাগাচ্ছে জারজরা। কেমনে? খুব ভয়ংকর এবং বাজেভাবে '৭১ এ জারজগুলো ইসলামের সাথে দেশকে জড়িয়ে ফেলে। তারা দেশের মানুষগুলোকে ইসলাম বিমুখ করে ফেলে।

ব্যপারটা তারা এতোই চতুরতার সাথে করে যে আজও মানুষ ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের জারজদের হাতিয়ার হিসেবে দেখে। যদি ওই ব্যপারগুলো না হতো তাহলে দেশে ধর্ম নিয়ে এতো কিছু হতো না। এবং এই জায়গায় এসেই জারজগুলা সার্থক। তারা এমন একটা ব্যবস্থা করে গিয়েছে যে দেশ স্বাধীন হয়ার পরেও যা্তে দেশটাতে হিন্দু, মুসলিম শান্তিতে থাকতে না পারে। তাদের সূত্র ছিলো দুইটা- ১।

কেউ হিন্দু হলে বা তাদের পক্ষে হলে সে হবে ভারতপন্থী ২। কেউ মুসলমানদের পক্ষে হলে সে হবে পাকিপন্থী তারা তাদের উদ্দ্যেশে অনেকটাই সফল। সেটা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। সময়ই সব বলে দিচ্ছে। জারজ যারা এখনও এদেশে আছে বা তাদের উত্তরসূরি যাই বলেন না কেনো- তারা এখন ওই রোপন করে যাওয়া বীজ থেকে উঠা চারা গাছটায় পানি ঢালছে।

যে মুসলমান বা ইসলাম নিয়ে কথা বলছে তাদের গণহারে 'ছাগু' বিশেষণ দেওয়া হচ্ছে। এবং তারা ধরা খাচ্ছে এইজন্য যে তারা সব জায়গাতেই কথা গুলো বলছে, যেখানে তা প্রযোজ্য না সেখানেও। কারণটা পরিস্কার। সে নিজের জন্ম পরিচয় নিয়ে লজ্জ্বায় পরতে চায় না। তাই প্রশ্ন উঠার আগেই সে ব্যপারটা অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজের ব্যপারে সবাইকে চুপ করিয়ে দিতে চেষ্টা করে।

আর এই জায়গায় এসে আরেকটা জাতি তৈরি হয় যাদের আমরা বলি নাস্তিক বা কমুনিস্ট ডট ডট ডট। তারা করে কি- সব সময় হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে একটা ঝামেলা তৈরি করতে চায় আর সেখানে তারা কাজে লাগায় মুক্তিযুদ্ধের মতো পবিত্র আত্মাকে। তারা মুসলমানদের দাঁড় করাতে চায় যুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হিসেবে। তাদের বলে রাখি- যে বলবে যে যুদ্ধের সময়কার এবং এখনকার জারজগুলো মুসলমান, সে নিজেই মুসলমান না। আর সে যদি অন্য ধর্মের হয় তাহলে আমার কোনো কথা নেই।

বলি- যুদ্ধের সময় যারা প্রকৃত যোদ্ধা ছিলো তারা হলো সাধারণ কৃষক, তারা ছিলো মধ্যবিত্তের সন্তান, তারা ছিলো অতি সাধারণ। যারা আজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্যাক প্যাক করে তাদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন - আপনি যুদ্ধ করেছেন? আপনার বাবা? দাদা? উত্তর পাবেন না। দেওয়ার মুখ তাদের নেই। কেউ যাতে প্রশ্ন করতে না পারে তাই তারা এতো বকর বকর করে। তারা ছিলো তখনকার উচ্চবিত্ত পরিবারের মানুষজন।

যুদ্ধে যাওয়ার মতো কাজ তারা করবে কেনো? করেছে আজাদ,রুমি, জুয়েলের মতো ছেলেরা যারা উচ্চবিত্তের সন্তান হয়েও যারা ছিলো বাংলার সন্তান। আর কিছু বলতে চাই না এই ব্যাপারে। ধৈর্য রাখতে পারেছেন কিনা যানি না। এতো কিছু লিখতে চাইও না। অযথা কিছু পুরনো বাতিল মাল নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন দেখি না।

কিন্তু যখন দেখি জারজ গুলো সব জায়গায় ছোক ছোক করে, ধর্মের কথা বললেই চিল্লা-ফাল্লা শুরু করে, যেখানে সেখানে তাদের ফাও কথা না বললে হয় না- তখন ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে যাই। আর যখন সেই কথা আমাকে কেউ বলে তখন সময় নষ্ট করে বাতিল মাল নিয়ে এতো বড় খা না লিখে পারি না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.