ভালো। পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে গোপন অভিসারে গিয়ে খুন হয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য কোহিনুর বেগম। তবে মৃত্যুর খবর পরিবারের জানার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে তাকে। ২৮ মে জরুরি কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন কোহিনূর। ৩১ মে পত্রিকার খবর দেখে নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা বিষয়টি জানতে পারেন।
খবর পেয়ে লাশ আনতে গিয়েও লাশ পায়নি স্বজনরা। কারণ এর আগেই বেওয়ারিশ হিসেবে বিবাড়িয়াতে লাশ দাফন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক প্রেমিক অমিত কুমার গা-ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাহমুদ জানান, ২৮ মে সাতগ্রাম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য, নোয়াদ্দা গ্রামের বাসিন্দা কোহিনুর জরুরি কাজের কথা বলে কয়েক দিনের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পরে গুজব ওঠে তিনি তার পরকীয়া প্রেমিক একই এলাকার আশোহাট গ্রামের অমিত কুমারের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘুরতে গেছেন।
কোহিনুরের সঙ্গে আশোহাট গ্রামের অমিত কুমারের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। কোহিনুর ব্যক্তিজীবনে দুই সন্তানের জননী। সেদিন থেকে তার স্বজনরা অনেক খুঁজেও তাকে পায়নি। এমনকি মোবাইলে যোগাযোগ করেও কোন ফল হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের রহমানীয়া হোটেল থেকে ৩০ মে পুলিশ কোহিনুরের লাশ উদ্ধার করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।