মানুষ আমার সাধন গুরু. সেই মোকামে যাত্রা শুরু রমনা বটমূলে বোমা হামলার ১৪ বছর : মামলা হিমাগারে তিন বছর
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হন। আহতের সংখ্যা অনেক। পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে বোমা হামলার ১৪ বছর পূর্ণ হলো আজ।
বোমা হামলার ১৪ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম শেষ হয়নি। তদন্তকারী সংস্থা নানা অজুহাতে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছে।
সাত বছর পর মামলায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাত মাস ধরে এ মামলার বিচারকাজ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তিন বছর পার হলেও সুপ্রিম কোর্ট কোনো নির্দেশনা পাঠাননি। যে কারণে এ মামলাটির বিচারকাজ তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্তিতিতে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে আনছে না রাষ্ট্রপক্ষ।
একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলাটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, মামলার সাক্ষীর সংখ্যা ৮০ জন। সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৫৯ জন। প্র্রতি বছর গড়ে ৪ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। সরকারের গাফিলতিতে মামলার বিচার সম্পন্ন হতে এতো দেরি হচ্ছে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহিদ সরদার জানান, রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা ইউসুফ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বর্তমানে তার জেরা চলছে। ৭ বছর পর মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। সাত মাস বিচারক ছিলেন না।
বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আসামিদের আদালতে আনা সম্ভব হয় না। যে কারণে বিচারকাজ বিলম্বিত হয়েছে।
তিনি জানান, এ মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ হলে যুক্তিতর্ক শুরু হবে। আশা করি, দুই থেকে চার মাসের মধ্যে এ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।
এর আগে হরতালের অযুহাত দেখিয়ে গত ৯ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আসেননি।
মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা ৮০ জন। ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ ও হাফেজ ইয়াহিয়া কারাগারে আছেন।
কারাগারে থাকা এসব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
আসামি মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে হেলালউদ্দিন জামিনে আছেন। এছাড়া আসামি মাওলানা মোহাম্মদ তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান, ও মুফতি আবদুল হাই পলাতক আছেন।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।