মত প্রকাশের মুক্ত মাধ্যম তৈরী হোক
amardesh রাজধানীর রমনা কালীমন্দিরে দু’টি মূর্তি ভেঙেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। শনিবার রাতের এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলের ৩ ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, অনিমেষ, গোবিন্দ ও প্রকাশ। কালীমন্দিরের গেটে দোকানের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই মূর্তি ভাংচুর করা হয়েছে বলে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে। এদিকে, কালীমন্দিরে মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করছে বলে পুলিশ জানায়।
জানা যায়, শনিবার রাত দেড়টার দিকে ২০/২৫ জনের একটি দল চাপাতি, রড, হকিস্টিক নিয়ে মন্দির এলাকার দোকান ভাংচুর শুরু করে। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক শ্যামল কুমার সাংবাদিকদের জানান, এ সময় তারা মন্দিরে রামপ্রসাদ ও সারদা দেবীর মূর্তি ভাংচুর করে। এছাড়া ব্রাহ্মণের কক্ষেও তারা ভাংচুর করে চলে যায়। পুলিশ জানতে পেরেছে, জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগ নেতা উত্পল সাহা গ্রুপের কর্মীরা মূর্তি ভাংচুর করেছে। তবে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরে পূজা উদযাপন কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হামলা হয়।
শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর শহিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভাংচুরের পর রাতেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, পূজা উদযাপন কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উত্পল গ্রুপের কর্মীরা মূর্তি ভাংচুর করেছে। তিনি মন্দির গেটের কাছে দু’টি দোকানের মালিকানার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে ছাত্রলীগ নেতা উত্পল সাহা মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পঙ্কজের গ্রুপ মূর্তি ভাংচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এব্যাপারে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।