আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৫)

অন্য রকম একটা জীবনের স্বপ্ন আমার আজও গেল না.............. একদিন রাতের বেলা আমি জব করছি। ২.০০-২.৩০ টার দিকে চার জন লোক এসে একটা ডাবল বেড রুম নিল। এর পাঁচ মিনিট পর ৫ টা মেয়ে এসে আরেকটা ডাবল বেড রুম। একটু পরে আবার কয়েকজন। এরপরে আবার।

আমি তো ভাবছি ওহ চরম বিজনেস হচ্ছে তো আজকে। কিন্তু আদতে এরা সবাই ছিল একই গ্রুপের। একসাথে যদি বড় একটা কালোদের গ্রুপ আসে তাহলে আমরা সাধারনত রুম দেই না। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যাই। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা খারাপ।

অনেক মোটেলেই এই কাজ করে। তাই এরা ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসছে। সবাই স্মোকিং রুম নেয়ায় একই হলওয়েতে কাছাকাছি রুম পরেছে সবার। এদিকে আবার ঝামেলা হলো গভীর রাত্রে আসায় এদের সবাইকেই নিয়েছি সিস্টেমের বাইরে। নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে আপনাদের মনে সিস্টেমের বাইরে রূম দেয়া আবার কি? আমাদের মোটেলের মেইন মালিক ব্র্যান্ড নামের সার্ভিস চার্জ, কমিশন আর সরকারী ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার জন্য রাত্রে বেলা যারা আসে, তাদের সিস্টেমে না ঢুকিয়ে হাতে লেখা রেজিস্ট্রেশন ফর্মের মাধ্যমে চেক-ইন করায়।

এর মানে হলো, মোটেলের প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে, যেটা সেন্ট্রাল রিজার্ভেশন সিস্টেম অথবা আমাদের মোটেল ব্র্যান্ডের মেইন সার্ভারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত তাতে চেক-ইন না করিয়ে ব্ল্যান্ক রেজিস্ট্রেশন ফর্ম বের করে তাতে হাতে গেস্টদের নাম আর অন্যান্য ইনফরমেশন লিখে তাদের চেক-ইন করানো। এতে ওই রুমগুলো যে বিক্রি হয়েছে তা মেইন সার্ভার জানতে পারেনা। ওই রূম গুলো যে বিক্রি করেছি তা আমরা কাগজে লিখে বা সিস্টেমে ডার্টি, আউট অফ অর্ডার দিয়ে রাখি যাতে ভুলে একই রূম দুই বার বিক্রি না হয়। এতে মোটেল ব্র্যান্ডকে ওই রুমগুলোর রেভিনিউ থেকে কোনো কমিশন দিতে হয় না অথবা সরকারকে কোনো ট্যাক্স ও দিতে হয় না। কারণ সাদা চোখে দেখা যাচ্ছে এই রূম গুলো বিক্রিই হয়নি !!!!! অবশ্য এই কাজটা শুধু যারা ক্যাশ পেমেন্ট করে তাদের সাথেই করা যায়।

ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ডে পে করলে সিস্টেমের মাধ্যমে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের সবার ধারণা এই টাকা মোটেলের অন্যান্য শেয়ার হোল্ডাররাও পায় না। মোটেলের ৬৫ ভাগ শেয়ার ওনার একার, আর বাকি ৩৫ ভাগ আর তিনজনের। সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার হওয়ায় ম্যানেজমেন্ট উনিই দেখেন। রাতের বেলা সব সময় আমি আর ইমেল ভাই কাজ করায় এই কাজ আমাদেরই করতে হয়।

উইক-এন্ডে ৫০ এর উপর রুম সেল হলেই সিস্টেমের বাইরে ঢুকানো শুরু হয়। ম্যানেজার এটা ইল্লিগাল বলে বেশি করতে চায় না কিন্তু আমি আর ইমেল ভাই এমনিতেই ইল্লিগালি জব করি ঐখানে আমাদের আর বলার কি থাকে? আমাদের দুইজনের স্যালারিও এই টাকা থেকে দেয়া হয়। আপনারা ভাবতে পারেন আমেরিকায় কি করে সম্ভব এগুলা? উত্তর হলো- আমেরিকা আর বাংলাদেশ নাই, দুর্নীতি সব জায়গায় হয়। কোথাও সবার সামনে, কোথাও গোপনে। হ্যা এটা ঠিক যদি ধরা পরে তাহলে কঠিন শাস্তি হবে।

বাংলাদেশের মত পার পেয়ে যাবে না। জরিমানা দিতে দিতে হয়ত ফতুর হয়ে যাবে, মোটেল বিজনেসের লাইসেন্স চলে যাবে। কিন্তু আইন যেখানে থাকে সেখানে আইনের গলদ ও সমান্তরাল ভাবে থাকে। ধরা যদি পরেও তাও মালিক নিরাপদে থেকে যাবে। ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট রেইড দিলে মালিক বলবে এখানে যে সিস্টেমের বাইরে রুম নেয়া হচ্ছে তাই আমি জানি জানি না।

কারণ আমি এখানে থাকি না। থাকে এমপ্লয়ীরা। এরাই মিলে মিশে এই কাজ করছে। আমার কোনো ধারনাই ছিল না এই ব্যাপারে। ফেঁসে যাব আমরা।

হয়ত এমনও হতে পারে যে মালিক নিজেই ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট এর পাশাপাশি আরেকটা কেস দিয়ে দিল। আমার আর ইমেল ভাইয়ের রিস্ক কম কারণ ক্যাশে জব করায় পে রোলে আমাদের কোনো নাম নেই। আমরা এখানে ইনভিন্সিবল। ঝামেলায় পরবে ম্যানেজার আর মানু কাকা। এই জন্যই ম্যানেজার সিস্টেমের বাইরে রূম বিক্রি করতে চায় না।

কিন্তু জব টিকিয়ে রাখতে গেলে বিপদ মাথায় নিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক কিছুই করতে হয়। চেক ইন করার ঘন্টা খানেক পর আমি বুঝতে পারলাম এরা সব একসাথে। লবিতে সব ভীর করে হুড়াহুড়ি শুরু করলো। আমি রিকোয়েস্ট করলাম যে এখন অনেক রাত প্লিজ তোমরা এরকম কর না। রুমে চলে যাও।

ওরা কথা শুনে ভালো মানুষের মত বাইরে চলে গেল। কতক্ষণ যাওয়ার পর দেখলাম সবগুলা পিল পিল করে রুমে ঢুকে যাচ্ছে। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কিন্তু আসলে ঝামেলার তখন ছিল মাত্র শুরু। এরা বাইরে গিয়েছিল সম্ভবত ড্রিঙ্কস বা ড্রাগস কেনার জন্য।

হার্টফোর্ড সিটিতে ১০ টার পর সব লিকার স্টোর বন্ধ হয়ে যায়। এরা অত রাত্রে কোথা থেকে কিনলো তাও এক আশ্চর্যের বিষয়। এমনও হতে পারে সাথে করেই নিয়ে এসেছিল। ভোর ৪.০০ টার দিকে শুরু হলো এদের যন্ত্রণা। রুমে বসে গলা পর্যন্ত ড্রিঙ্কস করে এরা হলওয়েতে এসে মাতলামি শুরু করলো।

চিল্লাচিল্লি, অন্য সব রুমের দরজায় লাথি দেয়া, নিজেরদের রুমে ভাংচুর। অন্যান্য গেস্টরা প্রচুর ভয় পেয়ে গেল। তারা বার বার ফোন দিয়ে বলল আমাকে এদের ম্যানেজ করতে। এক-দুই জন হলে আমি সাধারনত যাই কিন্তু এই ১৬-১৭ জন মাতালের কাছে পৈত্রিক প্রাণটা খোয়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না তাই ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে বের না হয়ে আমি তাদের রুমে ফোন দিলাম। মানা করলাম এগুলো করতে।

কে শোনে কার কথা !!!!! ডজন খানেক গালি শুনলাম ফ্রি তে, এই লাভ হলো ফোন দিয়ে। পুলিশ কেও কল করতে পারছি না কারণ সিস্টেমে নেইনি। পুলিশ এসেই প্রথমে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখতে চাবে। আই.ডি. এর কপি দেখে নিজেদের ডাটাবেজে খুঁজে দেখবে। কিন্তু এদের তো রেজিস্ট্রেশন কার্ডই নেই !!!!! হাতে লেখা দেখলে পুলিশ সন্দেহ করতে পারে।

ম্যানেজার, মানু কাকা কেউ নেই। ইমেল ভাইও ঐদিন রাত্রে ইউনিভার্সিটির এক ফ্রেন্ডের বাসায় ছিলেন। ৫.০০ টার দিকে অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গেল। কেউ উপরে ঝামেলা করতেছে, কেউ নিচে এসে ফ্রন্ট ডেস্কের সামনে বসে আমার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে। আমার পুরা মাথা নষ্ট অবস্থা।

কি করি কি করি ভেবে জান শেষ। ম্যানেজারকে ফোন দিলাম সেই সাত সকালে। দুর্ভাগ্যের কি শেষ আছে? ওনার ফোন বন্ধ। শেষ মেশ সিস্টেমে ওদের নাম এন্ট্রি করলাম হাতে লেখা রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখে। এরপর পুলিশ ফোন করলাম।

মিনিট পনের পরে পুলিশ এলো। আফসোস আর কারে বলে। দেড় বছরের আমেরিকার জীবনে ওই দুইজনের মত ছোট খাটো আর শুকনা পুলিশ আজ পর্যন্ত দেখলাম না। সবেধন নীলমনি ওই দুইজনকে নিয়েই উপরে গেলাম। ওদের অনেকেই তখন হলওয়েতে।

যেয়ে বললাম তোমরা রুম ছেড়ে দাও। এইভাবে তোমরা থাকতে পারবে না। ওরা পুলিশের সামনেই বলল আমরা যাব না। পুলিশ বলল চলে যাও। ওরা বলল টাকা দিয়ে রুম নিয়েছি যাব কেন? এরপর আমার দিকে তাকিয়ে আবার গালাগালি।

পুলিশ না থাকলে আমাকে মাইর দেয় এমন অবস্থা। পুলিশরা তখন বলল ঠিক আছে না যাও রুমে চুপ চাপ থাক। ঝামেলা কর না। ওরা বলল আচ্ছা ঠিক আছে। এই বলে আমরা নিচে চলে আসলাম।

পুলিশ দুইজন কিছুক্ষণ থাকলো। এর মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই। পুলিশ গেল আর বলতে গেলে সাথে সাথেই আগের অবস্থা শুরু। ওদের মধ্যে যে লিডার টাইপের ছিল এইবার সে নিচে এসে আমাকে বলল তোমার সাহস থাকলে বাইরে এসে এখন আমার সাথে কথা বল। এই বলেই গ্লাসে ঘুসি।

এইবার আমারও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেল। গালির প্রতি উত্তর গালি দিয়েই দিলাম। বাইরে যাবার সাহস অবশ্য হয়নি। আবার পুলিশ ফোন দিলাম। বললাম আমাকে থ্রেট করছে।

বাইরে বের হতে দিচ্ছে না। আমার কপাল.......কপালের নাম গোপাল। ওই আগের দুই জনই আসলো। দুই ভোদাই এসে এদের রিকোয়েস্ট করলো রুমে যাবার জন্য। আমি বললাম অফিসার এদের এরেস্ট করছ না কেন? ওরা বলল এত জন এরেস্ট করার মত ব্যাক-আপ এখন আমাদের সাব স্টেশনে নেই।

আমরা দুই জন এত জনকে কিভাবে এরেস্ট করব? আমরা ব্যাক-আপ কল করেছি। পুলিশ নিচে আমার সাথেই থাকলো। ওরা থাকায় বাইরে আর ঝামেলা না করে আবার রুমে ভাংচুর শুরু করলো। আবার সেই পাশের রুমগুলো থেকে গেস্টদের কমপ্লেইন। এই করতে করতে সকাল ৭ টার মত বেজে গেল।

পুলিশের ব্যাক-আপের নাম গন্ধ নাই। এর মধ্যে ওরাও একটু শান্ত হলো। ম্যানেজার এসে পড়ল একটু পরেই। সব ঘটনা শুনে ম্যানেজার পুলিশ নিয়ে উপরে যেয়ে বলল তোমাদের রিফান্ড দিচ্ছি চলে যাও। ওরা রাজি হয়ে নিচে আসলো।

নিচে এসে বলে ওরা নাকি এক একটা রুম ২০০ ডলারে নিয়েছে !!!!! বলে রেজিস্ট্রেশন কার্ডে আমরা কম টাকা দেখিয়েছি। এর মধ্যে আবার একজন দেখে ফেলছে নিচে সাইন নেই। যেইটায় সাইন আছে ঐটা পুলিশের সামনে বের করতে পারছি না। আমাদের তো মাথায় হাত। রুম বিক্রি করেছি ৬৯ ডলারে, এখন ব্যাটারা বলে কি? ম্যানেজার বলল রিফান্ড পাবে না।

রুমে থাক। ১১.০০ টায় চেক আউট টাইম। তখন ঝামেলা না করে চেক আউট হয়ে যাবে। ওদের মধ্যে যে লিডার টাইপ সে বলল ঠিক আছে। পুলিশ দুই জন আবারও চলে গেল।

এই বার ১ ঘন্টা পর এক গেস্টকে দিল ওদের একজন ঘুসি। শুধু শুধুই। আবার নিচে এসে ম্যানেজারকে গালাগালি। আমাদের এক ইয়ং সুন্দরী হাউজকিপার ছিল তখন। ও তখন মাত্র কাজে এসেছে।

বলে ওকে পাঠাও আমার রুম ক্লিন করতে। কি ড্রাগস নিয়েছে কে জানে.......সব গুলা তখন চরম হাই। লবি পুরা দখল করে রাখছে। অন্য কোনো গেস্ট ব্রেকফাস্ট খেতে পারছে না ওদের জন্য। ম্যানেজার আবার পুলিশকে ফোন করে পুরো অবস্থা বলল।

আবার ওই দুই জন আসলো। কিন্তু এইবার ওরা বলার পরেও কেউ রুমে গেল না। পুলিশ দুই জন আবার ব্যাক-আপ কল করলো। শেষ পর্যন্ত আধা ঘন্টা পর তাদের ব্যাক-আপ আসলো। প্রচুর পুলিশ।

১২-১৫ টা গাড়ি। এই দানবের মত এক একটা অফিসার এইবার। মোটেলের সামনে পুরো ভরে গেল পুলিশে। এসে কোনো কথা নাই। শুধু প্রথম দুই জনের সাথে কথা বলল আর ওই গ্রুপের এক একটা ধরেই মাটিতে ফেলে দিল।

মাটিতে ফেলে হ্যান্ড কাফ পরিয়ে গাড়িতে উঠালো। যেই গেস্টকে ঘুসি মেরেছিল তাকে জিগ্গেস করলো তুমি কমপ্লেইন করবা কিনা। ওই গেস্ট আবার সেইদিনই অন্য স্টেটে যাবে তাই ও আর ঝামেলার মধ্যে গেল না। পুলিশ বলল নিয়ে যাচ্ছি ওদের কিন্তু কোনো কমপ্লেইন ছাড়া বেশিক্ষণ আটকানো যাবে না ড্রাগস নিয়ে চিল্লা চিল্লি করার কারণে। আমরা রুমে ভাংচুরের কমপ্লেইন করতে পারতাম কিন্তু আমরাও ইল্লিগালি চেক-ইন করিয়েছিলাম ওদের।

পরে সিস্টেম থেকে যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বের করেছিলাম তাতে ওদের সাইন ছিল না। এটা বাড়াইতে গেলে উল্টা নিজেদের ঝামেলায় পরার আশংকা থাকে। তাই ম্যানেজার কোনো কমপ্লেইন না করার ডিসিশন নিলেন। পুলিশ ওদের নিয়ে গেল। পরে কি ওই গ্রুপের কি হয়েছিল জানি না কিন্তু আমাদের ৩ টা রুমের একদম বেহাল অবস্থা ছিল।

বেড ফ্রেম ভাঙ্গা, চেয়ার ভাঙ্গা এমনকি একটার দরজা কব্জা থেকে খুলে ফেলছে। ওই রুমগুলো বেশ কিছুদিন ডাউন রেখে রিপেয়ার করতে হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত যে আমরা নিজেরা সেফ থেকে ওদের বের করতে পেরেছি এইটাই বেশি। (চলবে) অন্যান্য পর্ব: আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৩) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৪) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৫) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৬) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৭) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৮) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৯) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১০) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১১) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১২) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৩) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৪) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৫) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৬) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৭) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৮) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৯) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২০) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২১) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২২) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৩) আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৪) ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।