এমন বেঁচে থাকা ছিল এক নায়িকার !
লিংক দিলাম, লেখাটি পড়ুন।
কি মনে হচ্ছে আপনার? নিজেকে আর মানুষ ভাবতে পারছেন কি?
আমি অন্তত পারছি না। একটা অপমানবোধ, একটা লজ্জা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে এই রিপোর্টটি পড়ার পর থেকে। ছি:.....
রাগ হচ্ছে চ্যানেল আই আর হানিফ সংকেতের ওপর। চ্যানেল আই যখন তাকে পুরস্কৃত করলো, তখন কি জানতো না উনি কোথায় থাকেন? কোথা থেকে বের হয়ে তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন, একবারও জানার প্রয়োজন মনে করেনি চ্যানেলটির লোকজন? শুনলাম (দেখিনি) কবিতার মৃত্যুর পর তার একটি সাক্ষাতকার চ্যানেলটি প্রচার করেছে।
সেখানে কবিতার রাগ-ক্ষোভের জায়গাগুলো যথারীতি এডিট করে দেখানো হয়েছে।
কী ক্ষতি ছিল এই রিপোর্টটি আগে প্রচার করলে? আমি নিশ্চিত কিছু মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে যেত, হয়তো তাকে এভাবে মরতে হতো না।
আর হানিফ সংকেত? উনাকে না হয় বুঝলাম যে, অভিমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। হতে পারে নিষেধও করেছিলেন। কিন্তু যে অবস্থা নিজের চোখে দেখলেন হানিফ সংকেত, উনি কি করে পারলেন চুপ করে থাকতে? একটা রিপোর্ট কেন উনি করলেন না? লিখলেও তো পারতেন? মিডিয়াকে খবরটা পৌঁছে দিলেও পারতেন।
আজ এ অবস্থায় এভাবে মরতে হতো না কবিতাকে।
আমার আসলে আমাদের কর্তব্যবোধ, দায়িত্ববোধ আর মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই খবরে। আমরা তো মানুষ নামের কলংক!
চোখের সামনেই তো দেখি শিল্পীদের রমরমা বাণিজ্য। অথচ অপর একটা শ্রেণী অবহেলিত, বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।
এটা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রেও যেমন ঘটছে, তেমনি ঘটছে প্রকৃত পেশাদার লোকজনের ক্ষেত্রেও।
এখানে এখন 'পোশাকি' চালচলনেরই জয়-জয়কার। পেশাদারীত্বের কোন জায়গা কোথাও নেই।
বিষয়টি আমাকে ভাবাচ্ছে খুব। আরেক শিল্পী রানী সরকারকে চেনেন নিশ্চয়ই আপনারা? উনিও কিন্তু এরকমভাবেই মানবেতন জীবন চালাচ্ছেন। আমাদের এখন সত্যি সত্যিই ভাবতে হবে, মানুষের জীবন আমরা চাই কিনা!!!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।