আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে বাসে পুড়ে মারা গেলেন চিত্রনায়িকা শাবনুরের বাবা

ফুলের সৌরভে সুরভিত কলমের কণ্ঠস্বর সিলেটে বাসে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তিনি কাজী নাসির (৭০) বলে দাবি করেছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জোছনা বেগম। নিহত ব্যক্তির জুতা ও অন্যান্য আলামত দেখে তাঁকে কাজী নাসির বলে শনাক্ত করেন জোছনা বেগম। কাজী নাসিরের প্রথম ঘরের বড় মেয়ে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবনূর। প্রথম আলো সুত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চণ্ডীপুলের বদিকোনার কাছে সিলেটমুখী ‘সিলেট হবিগঞ্জ সুপার এক্সপ্রেস’ নামের যাত্রীবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।

বাস থেকে বের হতে না পেরে পুড়ে মারা যান নাম-পরিচয়হীন এক যাত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কাজী নাসিরের মূল বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাঘমারা গ্রামে। কলকাতা থেকে উচ্চাঙ্গসংগীতের ওপর শিক্ষা নিয়ে ১৯৬৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্যাংক ও ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। অবসর নেওয়ার পর তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

জোছনা বেগম জানান, ১৯৯০ সালে কাজী নাসিরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁরা বগুড়া সদরের মালতীনগরে বসবাস করতেন। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে দেখা যায়, জোছনা বেগম (৩৮), মেয়ে কাজী আফসানা (১৫) ও ছেলে কাজী তনয় (৪) থানায় অবস্থান করছেন। থানা হেফাজতে থাকা নিহত ব্যক্তির জুতা, ঘড়ি ও একটি ভিজিটিং কার্ডের একাংশ দেখানো মাত্র তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

পরে তাঁরা আগুনে পোড়া সেই বাস, ঘটনাস্থল এবং নগরের মানিকপীরটিলার কবরস্থানে যান। দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক ও বাস পোড়ানোর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তিই কাজী নাসির। জোছনা বেগম জানান, একটি প্রকাশনার কাজে বাড়ি থেকে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় যান কাজী নাসির। সেখান থেকে পরদিন একটি অনুষ্ঠানে গান করার জন্য মৌলভীবাজারে যান। ১৬ ডিসেম্বর রাতে মেয়ের সঙ্গে তাঁর (নাসির) সর্বশেষ কথা হয়।

জোছনা বলেন, ‘পুড়ে মারা যাওয়া বাসযাত্রীর জুতা নিয়ে ২২ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় একটি লেখা প্রকাশিত হয়। সেটি পড়ে ধারণা হয়, জুতাটি আমার স্বামীর (কাজী নাসির) হবে। তাই প্রথমে আমরা বগুড়া থানায় যোগাযোগ করি। পুলিশের সহযোগিতায় গত শনিবার সিলেটে আসি। ’ যোগাযোগ করা হলে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুতাসহ কিছু আলামত দেখে ওই পরিবার নিহত যাত্রীকে শনাক্ত করেছে।

তারা কিছু নথিপত্র, ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র পুলিশকে দিয়েছে। এগুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করে নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হবে। ’ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।