আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাশূন্যে ষ্টেশন নির্মাণের লক্ষ্যে এবার চীন নভোচারী প্রেরণ করতে যাচ্ছে!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ Shenzhou 9 Tiangong 1 Shenzhou 8 ইয়াং লিউয়ি(প্রথম চীনা নভোচারী) সেই ১৯৬৭ সালেই চীন মহাশূন্যে স্যাটেলাইট প্রেরণ তথা স্পেস প্রোগ্রাম নেয়। যদিও প্রথম ১৯৬৯ সালেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের চেষ্টা করেছিল যা ব্যার্থ হয়। কিন্তু এর পরের বছর ১৯৭০ সালের ২৪শে এপ্রিল দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় Dong Fang Hong(The East Is Red I) নামক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন ও মহাশূন্যে স্থাপনে সক্ষম হয়। এর পরে এগিয়ে চলে চীনাদের মহাশূন্য অভিযান। যোগাযোগ, আবহাওয়া, গবেষণা ও সামরিক দিক দিয়ে যেন আরো এগিয়ে শক্তিশালী হতে পারে মহাকাশ বিষয়েও জোর দেয়।

এখানে বলে রাখা ভাল এই বিষয়ে সহজে কেউ কাউকে সহযোগীতা করে না। তবে সাবেক সোভিয়েত ও রুশরা এই বিষয়ে ভারতকে সহযোগী করেছিল। শুধু বিপুল অর্থ হলেই চলে না কার্যকরী প্রযুক্তিও থাকা চাই। ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট যা ১৯৭৫ সালে উৎক্ষেপণ করে সেটা ছিল সোভিয়েত নির্মিত রকেটে; http://www.thespacereview.com/article/768/1 কিন্তু যেহেতু চীন পরাশক্তি ছিল তাই তাকে কি সোভিয়েত কি মার্কিনি কেউই সহায়তা করেনি। সে নিজস্ব অর্থ, প্রযুক্তি বলেই এতদূর আসতে পেরেছে।

অনেক চেষ্টার পরে প্রথম নভোচরী পাঠায় ২০০৩ সালে। তার নাম ইয়াং লিউয়ি। এটা ছিল ভবিষ্যতের বিশাল কর্মসূচীর ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। অতীতে সোভিয়েত ও মার্কিনিরা কেউই আগে মানুষ তথা নভোচারী পাঠায়নি। কুকুর, বানর পাঠিয়ে তাদের উপর গবেষণা করে নির্ধারণ করেছিল মহাশূন্যে গেলে কি প্রতিক্রিয়া হবে।

এর জন্য অর্থ, গবেষণা ও সময়ের প্রয়োজন হয়। মহাশূন্যে নিজেদের শক্তিশালী কার্যক্রমের জন্য সেখানে একটি স্পেস ষ্টেশন থাকা জরুরী। এই লক্ষ্যেই চীন ২০১১র ২৯শে সেপ্টেম্বর টিয়ানগংগ-১ নামক মনূষ্যবিহনী একটি গবেষণাগার পাঠায়। এটা আসলে মূল স্পেস ষ্টেশনের পরীক্ষামূলক একটি ছোট অংশ। টিয়ানগংগ-১ পৃথিবীর চর্তূদিকে একটি কক্ষপথে ঘুরছে।

এখানে এখন পরীক্ষা চলছে যে কিভাবে ভবিষ্যতে পৃথিবী হতে বিভিন্ন রকেট বা মহাকাশ যা এখানে এসে ভিড়বে। কারণ এটা নেহায়েতই সাগর হতে বন্দরে জাহাজ ভিড়ার মত নয়। মহাশূন্যে মধ্যাকর্ষণ হীন পরিবেশে স্থির কিংবা চলমান কোন বস্তুতে সংযোগ করার উদ্দেশ্যে কোন নভোযানের গমন অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। একটি মোক্ষম বা উপযূক্ত সময়ে দুটি যানের সংযোগ ঘটাতে হয়। এই সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় একের পর এক পরীক্ষা চালিয়ে তার কৌশল অর্জন করতে হয়।

এগুলোই মার্কিন, রুশ ও ইউরো স্পেশ এজেন্সি অন্য কাউকে দিতে চায় না। জাপানেরও এই প্রযুক্তি আছে। ঐ একই বছরের নভেম্বরে মনূষ্যবিহনী শেনঝ্যু-৮ মহাকাশ যান সাফল্যের সাথে টিয়ানগংগ-১ এ ভিড়ে তথা যূক্ত হয়। সোভিয়েত-রুশ, জাপান এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সীর পর চীন এই মহাশূন্যের এই গবেষণায় প্রাথমিক সাফল্য পেল। চীনের লক্ষ্য ২০২০ সালে পূর্ণাঙ্গ ও মূল মহাকাশ ষ্টেশন স্থাপন করা।

শেনঝ্যু-৮ এর সাফল্যের পর এবার চীনারা টিয়ানগংগ ১ এর দিকে মনূষ্যবাহী নভোযান তথা নভোচারী পাঠাবে শেনঝ্যু-৯ এ করে। এটা ২০১২র এই জুন মাসের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে উৎক্ষেপণ করা হবে। চীনের উত্তর পশ্চিমে অবস্থতে জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন ঘাটি হতে এটা পাঠানো হবে; Click This Link চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা এখন এই মুহুর্তে এর বিভিন্ন ফাংশনাল সহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক পরীক্ষা চূড়ান্ত করছেন। ইতিমেধ্য চীন প্রাথমিক ভাবে মার্কিনি ও রুশদের(Glonass) পরে নিজস্ব জিপিএস সিষ্টেম স্থাপন করেছে। ২০২০ সাল নাগাৎ পৃথিবীর যেখানেই নৌ, স্থল অথবা আকাশ পথে কোন চীনা নাগরিক কিংবা যান যাই হৌক না কেন নিজেদের জিপিএস ব্যাবহার করে অবস্থান ও ন্যাভিগেশন নির্ধারণ করতে পারবে।

এর নাম Beidou বেইডুউ; http://www.thepresidentpost.com/?p=15566 এটার কর্মসূচী সেই ২০০০ সালে নেওয়া হয়। প্রায় ৩৫টি স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারিদিকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করবে। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে চীনের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.