হরবোলা ঘটনা-১ পুলিশের সেক্স বৃদ্ধি।
অতি সাম্প্রতি বাংলাদেশী পুলিশের সেক্স বেড়ে গেছে। পুলিশ এখানে সেখানে হাগ (Hug) করছে। করছে ধর্ষন ও নির্যাতন। পুলিশে চাকুরে আমার বন্ধুর কাছে এর কারণ জানতে চাইলাম।
সে বলে, “পুলিশের সেক্স বাড়েনি। তেমনই আছে যেমন আগে ছিল। পরিবর্তনটা হলো, পুলিশের উপর সাংবাদিকের নজরদারী বেড়েছে। আমরা হুজুগে বাঙ্গালী। কোথাও চুলকানী হলে ওটাকে চুলকিয়ে ঘাঁ না করে ক্ষ্যান্ত দিই না।
১৮ কোটি মানুষের দেশে এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। হঠাৎ করে পুলিশের উপর নজরদারী বেড়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছে পুলিশ খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আর পুলিশ যদি খারাপও হয় তবে তা এক মাসে হয়নি। ধীরে ধীরে হয়েছে। পুলিশ এই সমাজেরই অংশ।
পুলিশ যদি খারাপ হয় তবে অন্য অংশ যে খুব ভাল আছে তা বলা যাবেনা। আমি এর চেয়ে বেশী বলতে চাই না। সাংবাদিকের ছোঁয়ায় ৩৬ ঘাঁ। ”
ঘটনা-২ পুলিশের লাঠির নিচে সাংবাদিক।
ইদানিং পুলিশ ক্ষেপেছে সাংবাদিকের উপর।
এখানে সেখানে করছে লাঠি পেটা। পুলিশ-সাংবাদিক পরিপূরক। তবে পুলিশ কেন সাংবাদিক পেটাচ্ছে? এই প্রশ্ন রেখেছিলাম আমার এক সাংবাদিক বন্ধুর নিকট। সে বলে, “পারস্পরিক সহনশীলতার মাত্রা কমে গেছে। এটা সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব পালনে পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু পুলিশ তা না করে সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ হিসাবে নিচ্ছে। এটা পারস্পরিক আস্থার সংকট। যা একদিনে তৈরী হয়নি। সমাজের ধীর পরিবর্তন গুলো আমাদের চোখ এড়ায়।
হঠাৎ বিস্ফোরণের মাধ্যমে এটি দৃশ্যমান হয়। তাছাড়া, আমরা হুজুগে বাঙ্গালী। এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে চাইনা। পুলিশের ছোঁয়ায় আঠার ঘাঁ। ”
ঘটনা-৩ শিক্ষাবিদ ও সংসদ সদস্য মুখোমুখি।
সংসদে একজন শিক্ষাবিদকে যাচ্ছেতাই ভাবে গালমন্দ করা হল। এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলাম আমার এক শিক্ষক বন্ধুর কাছে। তার ভাষায়, “এদেশে শিক্ষকদের পকেটে টাকা নাই, পেটে ভাত নাই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই। কিন্তু বাহিরে ঠাট আছে, আদর্শের ভাব আছে। এদের চিন্তাশক্তি প্রখর, তাই মুখে কথার খই ফুটে।
আদর্শিক দিক থেকে যাকে তাকে আক্রমণ করে। বুঝেনা লোহায় কামড় দিলে দাঁত থাকেনা। বুঝেনা যে, চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। এর চেয়ে বেশী বলতে চাইনা। পাগলা গারদ আছে যে।
”
ঘটনা-৪ সংসদ ও বিচারবিভাগ মুখোমুখি।
সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য বিচারবিভাগ ও সংসদকে হাত ধরাধরি করে চলতে হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য-আজ বিচারবিভাগ ও সংসদ মুখোমুখি। কারণ জানতে চেয়েছিলাম আমার এক অ্যাডভোকেট বন্ধুর কাছে। সে বলে, “যে বিচারপতিকে নিয়ে সংকটের উদ্ভব তিনি শুধু একজন বিচারপতি নন একজন মুক্তিযোদ্ধাও বটে।
এদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধার স্যাডিস্ট হওয়াটা অসম্ভব কিছু না। কারণ এমন বাংলাদেশের জন্য তারা যুদ্ধ করেনি। একজন মুক্তিযোদ্ধা স্যাডিস্ট হওয়ার জন্য এদেশের রাজনীতিবিদরা কি দায়ী নন? হায়দার হোসেনের গানটি কি স্যাডিস্ট হওয়ার কারণ বলে না?
কি দেখার কথা কি দেখছি।
কি শুনার কথা কি শুনছি।
..............................
চল্লিশ বছর পরেও স্বাধীনতাকে খুঁজছি।
তাছাড়া, আমরা হুজুগে বাঙ্গালী। এর চেয়ে বেশী কিছু বলে সংসদ ও বিচারবিভাগকে অবমাননার দায়ে পড়তে চাই না। ”
ঘটনা-৫ সাগর-রুনি ও মাহফুজুর রহমান।
এই ঘটনা আমার কাছে ধোঁয়াশা মনে হয়। ছব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম ও ১১৪ দিন পার।
অতঃপর মাহফুজুর রহমানের সরল বয়ান। সবই এক ঘোলক ধাঁধাঁ। আমাদের সবার চোখ বাঁধা। খেলারাম, খেলে যা।
এই পাঁচটি ঘটনার মূল্যায়ণ করতে বলেছিলাম আমার এক রাজনীতিবিদ বন্ধুকে।
সে বলে, “সবই ষড়যন্ত্র বন্ধু, সবই ষড়যন্ত্র। পুলিশের সেক্স, সাংবাদিক নির্যাতন, শিক্ষাবিদকে গালমন্দ, সংসদ ও বিচারবিভাগের মুখোমুখি, সাগর-রুনি ও মাহফুজুর রহমান, সবই একসূত্রে গাঁথা। এইদেশটা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। মীরজাফর ও ঘষেটি বেগমেরা যুগযুগ ধরে এদেশে সক্রিয়। ক্ষমতার মোহ দ্রোহ সৃষ্টি করে।
আর দ্রোহের আগুনে ঝাঁপ দেয় পাখা গজানো পিপীলিকা। এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে চাইনা। তাছাড়া, আমরা হুজুগে বাঙ্গালী। ” আমরা কি আসলেই হুজুগে বাঙ্গালী? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।