ভেঙে ভেঙে নিজেকে আবার গড়েছি । এইবার হয়তো থাকতে পারবো ।
আমাদের হুদাই হুজুগে বাংগালি বলে না। আমাদের শিক্ষা জীবন শুরু হয় ভালো স্কুল এ ভর্তি হওয়ার প্রতিযোগিতা দিয়ে এই প্রতিযোগিতা চলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পর্যন্ত। আমরা এমন অধম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় আমাদের পছন্দের বিষয় হল "ভালো ভার্সিটিতে ভালো কোনো সাব্জেক্ট পাইলেই হবে"।
যারা ভালো ভার্সিটিতে ভালো সাব্জেক্ট পায় তাদের সাত খুন মাফ তারা সোনার ছেলে আর যারা কিছু পায় না তারা বংশের কলংক। কিন্তু সবচেয়ে মজা তখন লাগে যখন দেখি ভালো ভার্সিটিতে ভালো সাব্জেক্ট পাওয়াটাই শেষ না। যখন দেখি কোনো ভালো যায়গা থেকে পাস করে বের হয়ে সৎ ভাবে উপার্জন করে যখন কেউ কম আয় করে তখন সে হয়ে যায় ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চা আর যে অসৎভাবে হলেও ভালো টাকা আয় করে সে হয় সফল। সততার আসলে কোনো দাম নাই। আরো মজা লাগে যখন দেখি সবাই এক সাথে বিসিএস এর জন্য লড়াই করতে নামে।
তার থেকে বড় কথা এক সময় যে সোনার ছেলে ছিলো সে যদি বিসিএস দিয়ে না হয় আর এক সময়ের বংশের কলংক যে ছিলো তার যদি বিসিএস এ হয়ে যায় তাহলে দাবার বোর্ড যায় উল্টে। আমাদের বাবা মা আমাদের ভালো চায় কিন্তু নিজেদের সন্তান্দের প্রতিনিয়ত প্রমান করে নিজেদের সামাজিক সম্মান বাড়ানো আমি কোনোভাবেই ভালো চোখে দেখি না। আমরা দুনিয়াতে কে কত ভালো এইটা প্রমান করতে আসি নাই আর ভালো যায়গায় পড়লে ভালো টাকা আয় করবো আর ভালো থাকবো সব ভালো হবে এইটা সবাইর ক্ষেত্রে হয় না কারন উপরে একজন আছেন যিনি সব ঠিক করে রেখেছেন । আমাদের ভালো থাকার জন্য যে এত চেষ্টা আমরা কখনও চিন্তা করে দেখি নাই আমাদের ক্লাস ২-৩ এর বাংলা বই এর সুখি মানুষ নামে একটা গল্প ছিলো। ঐ সুখি মানুষের মনে সুখ ছিলো কিন্তু গায় কোনো জামা ছিলো না।
ভালো মানুষ হতে শিখলে ভালো থাকা যায়। আমরা যতই চেষ্টা করি তথাকথিত সভ্য সমাজের ভালোর মান দন্ড অনুযায়ী ভালো থাকার আমরা কখনই তা পারবো না কারন এই মান দন্ড আমরাই ইচ্ছামত পরিবর্তন করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।