আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামিলীগের সেরা নিয়োগ - বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী!!!!

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত হাই কোর্টের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী সারা বছরেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন। তিনি প্রায় সময়েই স্বতঃ স্ফুত হয়ে রুল জারী করেন যার অধিকাংশই বিতর্কিত এবং সমালোচিত। আদালতে তার অনেক মন্তব্যই দেখা যায় সরকারী দল আওয়ামিলীগের স্পোকসম্যানের মত হয়ে যায়।

এমন কি তিনি দেশের বাহিরে গিয়ে আওয়ামিলীগের অংগ সংগঠনের আয়োজিত বিভিন্ন সেমিনারে রাজনৈতিক বক্তিতা ও দিয়ে থাকেন। আজকে তিনি আদালতে অযাচিত ভাবে যারা সাগর ও রুনির হত্যাকান্ড নিয়ে সমালোচনা করেন তাদেরকে তিরস্কার করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারির সময় আদেশে এ কথা বলেন। আদালত আদেশে বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। একাধিক তদন্ত সংস্থা ওই ঘটনায় পুরো সত্য বের করে আনতে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী ঘটনাটি তদারকি করছেন। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, কিছুসংখ্যক রাজনীতিবিদ তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছেন। কিছু রাজনীতিবিদ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ধরনের মন্তব্য করছেন। ’ আদালত আরও বলেন, গতকাল লালমনিরহাটে বিরোধীদলীয় নেতা একটি রায় দিয়েছেন, সরকারই খুন করেছে। এই মন্তব্যের সমালোচনার ভাষা আমাদের নেই।

এর মাধ্যমে তিনি রায় দিয়ে দিয়েছেন। এই বক্তব্য তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে। এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য। যুক্তরাজ্য বা এর মতো দেশে হলে এ ধরনের মন্তব্য করলে জেলে যেতে হতো। তাঁর এই মন্তব্য শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীনই নয়, আদালত অবমাননার শামিল।

কারণ, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। আইনের শাসন এবং সাংবিধানিক শাসনের জন্য এটা হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের বক্তব্য যাঁরা দিচ্ছেন, তাঁদের নিহত সাংবাদিক দম্পতির প্রতি সহানুভূতি নেই বলে আদালত মন্তব্য করেন। আদালত আশা প্রকাশ করেন, বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। আদালত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ণয় এবং খুনিদের আইনের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে, এমন বিবৃতি গণমাধ্যমে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘জজ মিয়া প্রস্তুত’, ‘জজ মিয়া খোঁজা হচ্ছে’সহ তদন্তপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে—এমন সংবাদ প্রকাশ না করার বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে তথ্যসচিবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সূত্র আওয়ামিলীগের সেরা নিয়োগ - বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী!!!! ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৬  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.